ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঘরোয়া টি২০তে আমির

প্রকাশিত: ০৬:১৩, ৪ মে ২০১৫

ঘরোয়া টি২০তে আমির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আরও কাছাকাছি বহুল আলোচিত পাকিস্তানী ক্রিকেটার মোহাম্মদ আমির। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির অনুমতি মিলেছিল আগেই। কিন্তু ইনজুরির জন্য সেটি পুরোপুরি হয়ে ওঠেনি। নতুন খবর হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি থেকে প্রায় সেরে ওঠা আমির ১১ মে থেকে শুরু হওয়া পাকিস্তানের ঘরোয়া সুপার এইট টি২০ টুর্নামেন্টেই রাওয়ালপিন্ডির হয়ে খেলবেন। দলটির এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘আমির যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পেয়েছে। তাই সে এবার আমাদের দলের হয়ে খেলছে।’ ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে লর্ডস টেস্টে আলোচিত স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন তৎকালীন অধিনায়ক সালমান বাট, পেসার আমির ও মোহাম্মদ আসিফ। জেল খাটার পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন তিনজন। তবে বয়স কম হওয়ায় আমিরের শাস্তি কিছুটা কমানো হয়। ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে এ বছরই। তবে কয়েকমাস আগেই ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পান প্রতিভাবান এই পেসার। দীর্ঘ বিরতির পর এরই মধ্যে খেলেছেন নন-ফাস্ট ক্লাস প্যাট্রনস ট্রফিতে। যেখানে চার ম্যাচ খেলে ২২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি। তবে এই টুর্নামেন্টে খেলার সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিতে পড়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে ছিলেন আমির। সুস্থ হয়ে ওঠায় আবারও মাঠে দেখা যাবে ২৩ বছর বয়সী পেসারকে। বছরের শুরুতেই ফেরার পথ উন্মুক্ত হয় স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগে ৫ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাইরে থাকা ক্রিকেটারের। গড়াপেটায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাস্তি হিসেবে লন্ডনে জেলও খেটেছেন তিনি। নিষিদ্ধ খেলোয়াড়দের প্রতি আইসিসি কিছুটা নমনীয় হয়। বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার আগে ওই ক্রিকেটাররা যেন ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আমির ৫ বছর, বাট ১০ বছর এবং আসিফ ৭ বছর নিষিদ্ধ হন। ২০০৯-২০১০ দুই বছরে পাকিস্তানের হয়ে ১৪ টেস্ট ও ১৫ ওয়ানডে খেলে যথাক্রমে ৫১ ও ২৫টি করে উইকেট নেন দারুণ প্রতিভাবান আমির। আগমনেই বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেন তিনি। বোলিংয়ের পাশাপাশি ভাল ব্যাটিং করতে পারা আমিরের মাঝে অনেকে ওয়াসিম আকরামের ছায়াও দেখতেন।
×