ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান সাকিব

প্রকাশিত: ০৬:২১, ৫ মে ২০১৫

ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান সাকিব

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ খুলনায় রেকর্ডময় একটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ দল। ২৯৬ রানে পিছিয়ে থেকেও তৃতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ (৬ উইকেটে ৫৫৫) গড়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ড্র করেছে। বল হাতে জ্বলে উঠতে না পারলেও বিশ্বসেরা টেস্ট অলরাউন্ডার এই ইনিংসে ৭৬ রানে ছিলেন অপরাজিত। দল হয়ত জিততে পারেনি কিন্তু পরাজয় যেখানে কড়া নাড়তে শুরু করেছিল সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ দলের এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে এমন প্রত্যাশাই জানিয়েছেন তিনি। সোমবার বাংলাদেশ দলের কোন অনুশীলন ছিল না। এই ফাঁকে সামাজিক প্রচারণার কাজে নেমে পড়েছিলেন সাকিব। বাংলাদেশের চিকিৎসাসংক্রান্ত গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডাইরিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ, (আইসিডিডিআরবি) পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার সাকিব ও তামিম ইকবাল। সে সময় সাকিব এ কথা বলেন। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৫ রান করেন সাকিব। দলও মাত্র ৩৩২ রানে গুটিয়ে যায়। কিন্তু এর জবাবে পাকরা প্রথম ইনিংসে ৬২৮ রান তুলে ম্যাচে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে। একটি উইকেট শিকার করতে পারলেও সেজন্য ১৪৬ রান খরচা করতে হয়েছিল সাকিবকে অথচ ব্যাটে-বলে সাকিবের উদ্ভাসিত নৈপুণ্যই পারে বাংলাদেশ দলকে ভাল কোন কিছু এনে দিতে। এর আগে বাংলাদেশ ৭ টেস্ট জিতেছে যার মধ্যে ৬টি বিজয়ের সাক্ষী সাকিব নিজেই ছিলেন। ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। তিনি বোলিংয়ে তেমন ছাপ দেখাতে না পারায় বিশাল সংগ্রহ পায় পাকরা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সেটার প্রতিদান দিয়েছেন। হার না মানা ৭৬ রানের একটি ইনিংস খেলে দলকে বাঁচিয়েছেন। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এর আগে ৮ টেস্ট খেলে সবটিতেই হেরেছিল বাংলাদেশ দল। এই প্রথম সম্মিলিত ব্যাটিং নৈপুণ্যে ড্র করতে সক্ষম হয়েছে মোক্ষম জবাব দিয়েই। সেটার রচয়িতা অবশ্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েস। দু’জনে ৩১২ রানের অবিস্মরণীয় জুটি গড়েছিলেন। এ দু’জনের আলোকিত নৈপুণ্যের কারণে সাকিব যেন ছায়ার অন্তরালেই চলে গেছেন। সাকিব একই সঙ্গে ব্যাটে-বলে নিজেকে দলের জন্য মেলে ধরতে পারেন সেটা আরেকবার দেখিয়েছেন। ব্যাটে না পারলে বল হাতে আর বল হাতে না পারলে ব্যাট চালিয়ে সবসময়ই কিছু দিয়েছেন বাংলাদেশ দলকে। তবে খুলনা টেস্টে বল হাতে একেবারেই প্রভাব খাটাতে পারেননি সাকিব। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে সর্বাধিক ১৪১ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। তবে পুষিয়ে দিলেন ব্যাট হাতে। টিম বাংলাদেশ এখন আর অবশ্য শুধু সাকিবে নির্ভরশীল দল নয় সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল খুলনা টেস্টেও। সাকিব না পারলেও ৬ উইকেট নিয়েছেন তরুণ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বাধিক ব্যক্তিগত টেস্ট ইনিংস ২০৬ উপহার দিলেন তামিম। ১৫০ রান করেছেন ইমরুল। দলগতভাবেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত খেলে ড্র করেছে টাইগাররা। বুধবার থেকে শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে কী করবে দল? এ বিষয়ে সাকিব বলেন, ‘বাংলাদেশ দল এখন খুব ভাল ক্রিকেট খেলছে। আশা করি, আমরা এই ধারাবাহিকতা সামনেও ধরে রাখতে পারব। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’ সব আলো এখন সাকিবের ওপর না থাকলেও দলের জন্য আগের মতোই অবদান রেখে যাচ্ছেন তিনি। নিজের নৈপুণ্যটাও ধরে রাখতে চান দ্বিতীয় টেস্টে।
×