ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফরাশগঞ্জ-চট্ট. আবাহনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ ড্র

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৫ মে ২০১৫

ফরাশগঞ্জ-চট্ট. আবাহনী প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দুই গোল করলে এক গোল ফ্রি! এমন অদ্ভুত ও মজার ঘটনা ঘটেছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। সোমবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে অনুষ্ঠিত একমাত্র ম্যাচে ‘নীলকুঠি’ খ্যাত পুরনো ঢাকার ক্লাব ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব ২-২ গোলে ড্র করে প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের সঙ্গে। প্রথমার্ধে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল ফরাশগঞ্জ। ম্যাচের তখন ৫৩ মিনিট। ম্যাচের প্রেসবক্সে কর্মরত ক্রীড়া সাংবাদিকরা হঠাৎ সবিস্ময়ে আবিষ্কার করলেন স্কোরবোর্ডে গোলের স্কোরলাইন দেয়া আছে ৩-২, মানে ফরাশগঞ্জ এগিয়ে! সবার তো মাথা নষ্ট হওয়ার জোগাড়! কিভাবে, কখন সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে গোলটি হলো, আর কেউই তা দেখল না! না, একটু পরেই স্কোরার তার ভুল সংশোধন করলেন। তখন প্রেসবক্সে শোনা গেল দুটি মজার মন্তব্য, ‘দুই গোল করলে এক গোল ফ্রি’ এবং ‘ফরাশগঞ্জের তৃতীয় গোলটি ছিল গায়েবি গোল!’ ছোট দলের বড় ম্যাচ! ম্যাচটি সত্যিকার অর্থেই ছিল যথেষ্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ৬ ম্যাচে এটা আবাহনীর প্রথম ড্র। পয়েন্ট ৪। অবস্থান ১১ দলের মধ্যে নবম। পক্ষান্তরে ফরাশগঞ্জের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে একধাপ। তলানিতে থেকে দশম স্থানে উন্নীত হলো তারা। তলানিতে ঠেলে দিল টিম বিজেএমসিকে। ৬ ম্যাচে এটা তাদের দ্বিতীয় ড্র। পয়েন্ট ২। ম্যাচের ২ মিনিটেই গোল করে এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। গোল করেন মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হিমু (১-০)। নাইজিরিয়ান মিডফিল্ডার উচে ফেলিক্স ১৩ মিনিটে গোল করে সমতায় ফেরান ফরাশগঞ্জকে। সতীর্থ মিডফিল্ডার মলয় বমর্ণের স্কয়ার পাস পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন উচে (১-১)। ২৪ মিনিটে আবারও গোল করে এগিয়ে যায় ‘নীলকুঠি’রা। সতীর্থের কাছ থেকে থ্রু পাস পেয়ে বল নিয়ে বিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন মিডফিল্ডার নাজমুল ইসলাম রাসেল। তীব্র গড়ানো শটে তিনি পরাস্ত করেন আবাহনীর গোলরক্ষক মোহাম্মদ সেলিমকে (২-১)। দ্বিতীয়ার্ধে উভয় দলই আক্রমণ পাল্টাআক্রমণ করে খেলে। ফরাশগঞ্জের গোলপ্রচেষ্টা সফল না হলেও সফল হয় আবাহনীর প্রচেষ্টা। ম্যাচের তখন ৭০ মিনিট। বদলি মিডফিল্ডার মোহাম্মদ হানিফ গোল করলে আনন্দে উদ্বেলিত হয় আবাহনী শিবির (২-২)। বাকি সময়ে আর কোন গোল হয়নি। রেফারি ভারত চন্দ্র গৌড় খেলায় শেষের বাঁশি বাজালে দুই দল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ত্যাগ করে।
×