ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল এক শতাংশের বেশি

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ৬ মে ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচক বাড়ল এক শতাংশের বেশি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টানা তিন দিনের বড় পতনের পরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। প্রাতিষ্ঠানিক ও সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের শেয়ারের ক্রয়াদেশ বাড়ার কারণে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সব ধরনের সূচকই বেড়েছে ১ শতাংশের বেশি। সেখানে মোট ৬৯ ভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে মোট ৫৪.৬৩ পয়েন্ট। ফলে ডিএসইর প্রধান সূচকটি আবারও চার হাজারের পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমা ছাড়িয়ে গেল। তবে দর বাড়তে থাকায় দিনটিতে ক্রয়াদেশের তুলনায় বিক্রির আদেশ কম ছিল। যার কারণে শেয়ার বিক্রিতে অনেকেই ধীরে চলো নীতি অনুসরণ করেছে। ফলে দিনশেষে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ সামান্য কমেছে। ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের বড় পতনের পরে দিনটিতে ডিএসইতে বেশিরভাগ কোম্পানির দর বৃদ্ধি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে লেনদেনের সঙ্গে সূচকও বাড়তে থাকে। এভাবে সূচকের ওঠানামা চলতে থাকে। দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি মোট ৩ হাজার ৯৬০ পয়েন্ট থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ১৪ পয়েন্টে। আর আগের দিনের ৩৩০ কোটি ৪৪ লাখ টাকার লেনদেন কমে হয়েছে ৩২৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এর আগে সোমবারের বড় ধরনের পতনের পরে এক জরুরী সভায় ব্রোকার হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারের এই মুহূর্তে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে বলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) জানানো হয়। একই সঙ্গে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ বাজারে আস্থা ফেরাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাড়ানোসহ নানা প্রস্তাব তুলে ধরে। একই সঙ্গে ডিএসইর পক্ষ থেকে জানানোও হয়েছে বাজারে আস্থার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলবে সংস্থাটি। এই কারণে উভয় পুুঁজিবাজারে ইতিবাচক প্রবণতা ফিরে এসেছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, গত ছয় মাস ধরে পুঁজিবাজার পতনের মধ্যে রয়েছে। এ সময়ে ডিএসইর ৫ হাজার ১শ’ পয়েন্ট থেকে কমে এখন অবস্থান করছে ৪ হাজার পয়েন্টে। এই পতনের পেছনে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা নিয়ে নির্দেশনাকে দায়ী করছেন অনেকেই। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মঙ্গলবারে লেনদেনের শুরু থেকেই পুঁজিবাজার উর্ধমুখী ছিল। এছাড়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বাড়তে থাকে। লেনদেন হওয়া ৩১১টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২১৪টির, কমেছে ৭০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ২৭টির দর। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : লেনদেনের শীর্ষে স্থান দখল করেছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এই দিন কোম্পানিটির ৩৩ কোটি ৯৪ লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা এসিআই ফরমুলেশন্সের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। ২২ কোটি ৭৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে এসিআই। এরপরে ইফাদ অটোস, মবিল যমুনা, সাইফ পাওয়ারটেক, গ্রামীণফোন, শাহজিবাজার পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা, আরএকে সিরামিকস। ডিএসইর দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : সাইফ পাওয়ার টেক, কাসেম ড্রাইসেল, সালভো কেমিক্যাল, ফার কেমিক্যাল, লিগ্যাসি ফুটওয়ার, আনালিমা ইয়ার্ন, জাহিন স্পিনিং, এসআলম স্ক্রিস্টাল, হাক্কানী পাল্প ও ফার্মা এইড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, কে এ্যান্ড কিউ, ইসলামিক ফাইন্যান্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ও স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্স।
×