ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ৬ মে ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

কারাগারে টেলিফোন বুথ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুরসহ দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দীদের মধ্যে গোপনে বেআইনী মোবাইল ফোন অহরহ ব্যবহার হচ্ছে। জেল কর্মকর্তা ও কারারক্ষীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে বহু কারাবন্দীই এখন গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে। পত্র-পত্রিকান্তরে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জেনে অবাক হই যে, কারাগারের একশ্রেণীর অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে বিভিন্ন কারাগারে বন্দীরা মোবাইল ফোন দিয়ে তাদের বাসাবাড়ি ও বন্ধুদের খোঁজখবর নিয়ে থাকে। আবার অনেকে কারাগার থেকে চাঁদা দাবিও করে থাকে। বেআইনী ফোন কল বন্ধ করতে হলে এবার সরকারকে কারাগারে টেলিফোন বুথ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়ে মানবাধিকার সংরক্ষণ করতে হবে। এতে করে আর কোন বন্দী গোপনে কারও সঙ্গে কারাগারের বাইরে কথা বলার সুযোগ পাবে না। কারাগারে স্থাপিত টেলিফোন বুথ থেকে যেসব বন্দী বাইরে কথা বলবে, তার ফোন বা মোবাইল নম্বর নিবন্ধন খাতায় এন্ট্রি করতে হবে। তাছাড়া যখন কথা বলবে তখন জেলপুলিশ বা কারারক্ষীদের উপস্থিতিতেই কথা বলতে হবে। ফলে কারাগারে বেআইনী মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ হবে। বাংলাদেশ ও ভারতের কলকাতাসহ বিভিন্ন রাজ্যের কারাগারে বেআইনী মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। ইতোমধ্যে ভারতের বেঙ্গালুর, চেন্নাইসহ বিভিন্ন কারাগারে টেলিফোন বুথ চালু করা হয়েছে। জরুরীভিত্তিতে আমাদের দেশের কারাগারগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থায় টেলিফোন বুথ চালু করা হোক। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী গেণ্ডারিয়া, ঢাকা। আঁখিয়া মেলাকে... একটা সময় গেছে, সব বয়সের লোকেরা প্রেক্ষাগৃহে ভিড় করত। যখন বয়স ছিল পনেরো কি ষোলো, দেখেছি, সত্তর বছর বয়সীদেরও প্রেক্ষাগৃহে। আসল কথা, সেইযুগে-হিংসা ও যৌন সুড়সুড়িহীন-সুরাইয়া, মীনাকুমারী, মধুবালা, নার্গিসের ছবিগুলো প্রদর্শিত হতো। বহু স্মৃতি জড়িয়ে রইল ‘রতন’ ছবিতে জোহরা বাঈর গাওয়া- ‘আঁখিয়া মেলাকে, জিয়া ভরমাকে চলে নাই যানা’ শৈশবে দেখা সিনেমার একটি স্মরণীয় গান-ই বলব এটি। তখনকার বহু দর্শক এই গানের দৃশ্য দেখার জন্য প্রতি সন্ধ্যার শোতে টিকিট কেটে ছবিঘরে ঢুকত। কত ছবি হিট হয়েছিল তখনকার দিনে, দলে দলে সব বয়সের মানুষ পাশাপাশি বসে দেখেছেন- ‘আনমোল ঘড়ি’, ‘দর্দ’, ‘নাটক’, ‘দিলাগি’, ‘দস্তান’, ‘দিওয়ানা’সহ কত কি ছবি। সেদিন কী আর ফিরবে? কিন্তু এখনকার দিনে প্রযোজকরা যৌনতা ও নগ্নতাকে প্রমোদের অঙ্গ হিসেবে ছবি বানান ফলে বয়স্করা কিংবা রুচিশীলরা প্রেক্ষাগৃহে যেতে আগ্রহী নন। আর নতুনপ্রজন্ম ভ্রান্ত পথে কি চালিত হচ্ছে না? লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা
×