ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেগম জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট, ৩১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ;###;কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পুলিশ গ্রেফতারের ব্যবস্থা নেবে ;###;শুনানি ২৮ মে

যাত্রাবাড়ী পেট্রোল বোমা মামলার চার্জশীট ॥ আসামি খালেদা

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৭ মে ২০১৫

যাত্রাবাড়ী পেট্রোল বোমা মামলার চার্জশীট ॥ আসামি খালেদা

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় হতাহতের ঘটনায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধান আসামি করে ৩৮ জনের নামে আদালতে চার্জশীট দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলার চার্জশীট দেয়া হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলাটির চার্জশীট দেয়ার পর বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হচ্ছে। বুধবার ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশীট দুটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই বশির আহমেদ। বুধবার রাতে দৈনিক জনকণ্ঠকে চার্জশীট দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর। এই মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও চার্জশীটভুক্ত অন্য আসামিরা হচ্ছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী এমকে আনোয়ার, বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বরকত উল্লা ভুলু, আমান উল্লা আমান, কাইয়ুম কমিশনার, সাবেক এমপি সালাউদ্দিন (দৌড় সালাউদ্দিন), ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, সহ-ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শরাফত উল্লাহ সপু, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ আলী নেওয়াজ ও বিএনপিপন্থী শিক্ষক নেতা সেলিম ভুইয়া। যাত্রাবাড়ীর ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ‘বোমা রাসেল’ পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় আসামির তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। প্রায় ৩ মাস তদন্ত শেষে তদন্তকারী সংস্থা ডিবি বুধবার চার্জশীট দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে। গত ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা ছোড়া হলে বাসের ৩০ যাত্রী দগ্ধ হন। দগ্ধদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামক এক বৃদ্ধ যাত্রী। এ ঘটনায় গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক কে এম নুরুজ্জামান। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/২৫(ঘ) ধারায় দায়ের করা মামলায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির ১৮ নেতার নাম উল্লেখ করা হয় মামলার এজাহারে। এছাড়াও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে যাত্রাবাড়ী বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনসহ যাত্রাবাড়ী থানায় দুটি মামলা করার পর আসামি করা হয় ২০ দলীয় জোটের আরও ৬৮ নেতাকর্মীকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসেবে যাত্রাবাড়ী থানা থেকে মামলাটির তদন্তভার ন্যস্ত করা হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি)। গোয়েন্দা পুলিশ মামলার তদন্তভার হাতে নিয়ে গ্রেফতার করেন সোহাগ, লিটন ওরফে সাব্বির, রফিকুল ইসলাম ওরফে মাসুম ও নজরুল ইসলামকে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে তারা। তাদের জবানবন্দীতে নৃশংস ও মর্মান্তিক এই ঘটনার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে হামলার শেষ পর্যন্ত যারা জড়িত ছিলেন তাদের নাম পরিচয় উঠে আসে তদন্তে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের পর অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশদানের দুই দিনের মাথায় বুধবার যাত্রাবাড়ী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলাটির চার্জশীট দিয়েছেন ডিবি পুলিশ। বিএনপি-জামায়াত জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ-হরতালের নামে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী পেট্রোলবোমার সহিংস সন্ত্রাসের ঘটনায় দেড় শতাধিক নিহত হন এবং আহত হন সহস্রাধিক। হাজার কোটি টাকার যানবাহনের ক্ষতিসহ অর্থনৈতিকভাবে দেশকে পঙ্গু করে দেয়া হয়। গত ৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশব্যাপী সহিংসতা, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কুমিল্লায় পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন থানায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে বেশ কিছু মামলা হয়েছে। গুলশানে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করা হয়। এসব মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন মহল থেকে দাবি জানানো হচ্ছিল। পেট্রোলবোমার সহিংস সন্ত্রাসের ঘটনা ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে আরও পাঁচটি মামলা রয়েছে। এগুলো হচ্ছেÑ গ্যাটকো, নাইকো, বড়পুকুরিয়া, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা। এর মধ্যে নিম্ন আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে। অপর তিনটি মামলার বিচার কাজ হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মামলায় আদালতে হাজিরা দিচ্ছিলেন না খালেদা জিয়। আকস্মিকভাবেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আগে আদালতে হাজিরা দিয়ে নির্বাচনী প্রচারে নামেন তিনি। খালেদার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলার গতি বাড়াতে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয় বলে জানা গেছে। যাত্রাবাড়ীতে গাড়িতে হামলার ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তির জবানবন্দীতে উঠে আসে হরতাল ও অবরোধকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ঘটনার দুই দিন আগে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এ্যাপোলো হাসপাতালের পাশের একটি বাসায় বৈঠক করে ওই হামলার ছক চূড়ান্ত করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগরীর সদস্য সচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ বেশ কয়েকজন মধ্যম সারির নেতা। যাত্রাবাড়ী এলাকার জনি নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে মাঠ পর্যায়ের হামলার বিষয়টি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। লেগুনাচালক শহীদুল্লাহ, বোমা রাসেল, সাব্বির, সোহাগ ও পারভেজসহ কয়েকজন গাড়িতে আগুন দেয়ার সময় ঘটনাস্থলের আশপাশে উপস্থিত ছিলেন বলে তদন্তে জানা গেছে। যাত্রাবাড়ীর দুই আসামির স্বীকারোক্তি ॥ এ ঘটনায় আটককৃত যুবক শহিদুল্লাহ ও পারভেজকে কড়া নিরাপত্তা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম মাসুদ জামানের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের খাস কামরায় তারা স্বীকারোক্তিমূলক এই জবানবন্দী দেয়। আসামিরা জবানবন্দীর মূল বক্তব্যে বলেন, তারা টাকার বিনিময়ে পেট্রোলবোমা বানিয়ে বাসে নিক্ষেপ করে। আসামি পারভেজ স্বীকারোক্তিতে বলেছে, ‘গত ২৩ জানুয়ারি মাতুয়াইল এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়। ওই ঘটনার দু’দিন আগে সোহাগ ও শহিদুল রাত সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী লেগুনা স্ট্যান্ডে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। তারা জানায়, গাড়িতে আগুন দিতে হবে। আরও বলেন ওই কাজ করলে অনেক টাকা পাবে। তখন সোহাগ শহিদুলকে বলে, ‘ভাই আমার একটা ছেলে পরিচিত আছে। তার নাম বোমা রাসেল। আমি এ ব্যাপারে তার সঙ্গে কথা বলতে পারব।’ বোমা রাসেলের আগে থেকেই পরিচিত সোহাগ ও শহিদুল। এরপর তারা বোমা রাসেলের সঙ্গে কথা বলে। পরের দিন বোমা রাসেল যাত্রাবাড়ী যায়। সেখানে শহিদুল, সোহাগ, বোমা রাসেল, সাব্বির ও পারেভজ বোমা তৈরি করে বাসে নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করে। পরে ওরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সোহাগের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে জনি। সে শহীদুলকে সব ঠিকানা ও জায়গা দেখে রেকি করে আসতে বলে। ঘটনার দিন শহিদুল তার পরিচিত লোক দিয়ে দুই লিটার পেট্রোল ও দুটি সেভেন আপের বোতল বোমা রাসেলকে দেয়। সঙ্গে ২ হাজার টাকাও দেয়। বোমা রাসেল ওই বোমা বানায়। একটি পেট্রলবোমা সোহাগের হাতে এবং একটি পেট্রলবোমা রাসেলের হাতে রাখে। সাব্বিরের কাছে ছিল একটি ককটেল। পরিকল্পনা অনুযায়ী বোমা নিয়ে তারা কাঠেরপুল সংলগ্ন ঘটনাস্থলে যায়। রাত ৯টার দিকে পারভেজ একটু দূরে ওষুধের দোকানে দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে কিছুক্ষণ পর গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস আসে। বাসটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারে। মুহূর্তে বাসে আগুন লেগে যায়। পরে বাসে আগুন নিশ্চিত করে পারভেজ মাঠের কাছে সরে যায়। কিছুক্ষণ পর তার অপর সহযোগীরা মাঠে আসে। এরপর তারা মোবাইল ফোন বন্ধ করে যার যার মতো চলে যায়। পরের দিন ঘটনাস্থলে গেলে রাসেল তাকে ১০০ টাকা দিয়ে মোবাইল সিম পরিবর্তন করতে বলে। আসামি শহিদুল্লাহ শহিদুল তার স্বীকারোক্তিতে বলেছে, ঘটনার দুদিন আগে জনি তাকে ফোন করে। ফোন দিয়ে জানায়, সে তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। তাকে যাত্রাবাড়ী বাসস্ট্যান্ডে যেতে বলে। সেখানে বড় ভাই জনি মোটরসাইকেল নিয়ে আসে। তারপর তাকে মোটরসাইকেলযোগে বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় যায়। সেখানে গিয়ে দেখেন সোহাগও আছে। তখন সোহাগ তাকে জিজ্ঞাসা করে, কি কাজ করতে হবে। আমি বলি, মনে হয় গাড়ি ভাঙচুর করতে হবে। সোহাগ পারভেজকে ফোন দেয়, পারভেজ এসে বলে বোমা রাসেল ও সাব্বির এই কাজ ভাল করতে পারবে। পরে জনি ভাইকে ফোন করি। জনি তাকে বলে, তোদের পেট্রোল ও টাকা দিচ্ছি। তোরা বোমা বানা। পরের দিন জনি ভাই বিকেলে যাত্রাবাড়ীতে এসে বোমা রাসেল ও সাব্বিরকে সেভেন আপের দুটি বোতল, দুই লিটার পেট্রোল ও ২ হাজার টাকা দেয়। তখন জনি বলে, কাঠেরপুলের কাউন্সিল এলাকায় বাসে বোমা মারলে পালাতে সহজ হবে। তখন আমরা ঘটনাস্থল পছন্দ করে সম্মতি জানাই। এরপর রাসেলকে বোমা তৈরি করে ওই জায়গায় আসতে বলি। ঘটনার দিন রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে রাসেল ও সোহাগ বোমা তৈরি করে নিয়ে তার সঙ্গে ঘটনাস্থলের কাছে দেখা করে। এরপর তারা কাঠেরপুলের কাছে অবস্থান নেয়। সাব্বির, সোহাগ ও বোমা রাসেল কিছুদূরে অবস্থান নেয়। ওই সময় যাত্রাবাড়ী থেকে গ্লোরি পরিবহনের একটি বাস ডেমরার দিকে যাচ্ছিল। তখন বাসটি দেখে তারা তিনজন মিলে পরপর তিনটি বোমা গাড়িতে নিক্ষেপ করে। গাড়িতে আগুন লাগার পর তারা মাতুয়াইল পশ্চিম পাড়ায় নিরাপদ স্থানে চলে যায়। এরপর জনিকে মোবাইল ফোনে বলে, ‘জনি ভাই কাজ হয়ে গেছে।’ জনি তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে সাবধানে থাকতে বলে। পরের দিন বিকেল বেলায় তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বলে। জনিসহ যাত্রাবাড়ী নবীউল্লাহ নবী ভাই, মিলন ভাইসহ বিএনপির আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতার নেতার সঙ্গে দেখা করে। তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করে। সে নিজেকে লেগুনা গাড়িচালক বলে জানায়। এরপর আরও অনেক কাজ করতে বলে। তারা পারবে বলে স্বীকারও করে। বিনিময়ে তাদের দেখে রাখতে অনুরোধ জানাই। এরপর বড় ভাইয়েরা আরও কোন কোন স্থানে বোমা হামলা চালাতে হবে তা নির্ধারণ করে দেয়। যাত্রাবাড়ীতে বাসে আগুন দেয়ার এ ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বিস্ফোরক আইনে। অন্যটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে। দুইটি মামলার বাদী যাত্রাবাড়ী থানার এসআই কেএম নুরুজ্জামান। মামলা নম্বর-৫৮ ও ৫৯। গত ২৪ জানুয়ারি এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুটি মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতার নামে বিভিন্ন সময়ে নাশকতার মামলা হলেও দলের চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে এই দুটিই ছিল প্রথম মামলা, যে মামলাটির প্রথম চার্জশীটভুক্ত প্রধান হুকুমের আসামি হলেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।
×