ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেঙ্গলে ইকবাল বাহার চৌধুরীর একক আবৃত্তি সন্ধ্যা

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৭ মে ২০১৫

বেঙ্গলে ইকবাল বাহার চৌধুরীর একক আবৃত্তি সন্ধ্যা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সাংবাদিক ও আবৃত্তিকার ইকবাল বাহার চৌধুরীর একক আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে ধানম-ির বেঙ্গল শিল্পালয়ে বুধবার। সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকা বেতার থেকে অবসর নিয়েছেন আবৃত্তির ভুবনে খ্যাত এ শিল্পী। অনুষ্ঠানে তাঁর কণ্ঠে ধারণ করা কবিতা আবৃত্তির সংকলন ‘প্রাণের জয়বার্তা’ শিরোনামের অডিও এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। ইকবাল বাহার চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে বাংলা কবিতা আবৃত্তি করে শ্রোতাদের অভিভূত করেছেন। প্রকাশিত এ্যালবামটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের রচনা থেকে নির্বাচন করে সাজানো হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলামের কয়েকটি কবিতা রচিত হয় ইকবাল বাহার চৌধুরীর পিতা মুহম্মদ হবীবুল্লাহ বাহারের মাতামহ খান বাহাদুর আবদুল আজিজের চট্টগ্রামের বাসভবনে অতিথি হিসেবে কবির অবস্থানকালে। এ্যালবামে পঠিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত কবিতা হলো-নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ, ভালোবেসে সখী, তুমি সন্ধ্যার মেঘমালা, প্রাণ, ১৪০০ সাল, হঠাৎ দেখা, তোমার সৃষ্টির পথ, কৃষ্ণকলি, সোনার তরী, বর্ষার দিনে, পরিচয়, প্রশ্ন, বলাকা, অতিথি, পৃথিবী ও তবু মনে রেখো। এবং কাজী নজরুল ইসলামের রচিত কবিতা হলো-বাতায়ন পাশে গুবাক তরুর সারি, সাম্যবাদী, বাংলার আজিজ, বিদ্রোহী, বাহার-নাহার, শিশু যাদুকর, নারী ও সিন্ধু (তৃতীয় তরঙ্গ)। এ্যালবামটির আবহসঙ্গীত পরিচালনা করেছেন কমল খালিদ। এ্যালবামের মোড়ক উন্মোচনের পর আবৃত্তি সংকলন থেকে ইকবাল বাহার চৌধুরী কিছু কবিতা আবৃত্তি করেন। নেপালে দুর্গত মানুষের সাহায্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ॥ নেপালে সাম্প্রতিক ভয়াবহ ভূমিকম্পে আট হাজারেরও অধিক মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং পঁচিশ হাজারের কাছাকাছি আহত হয়েছে। যদিও এই পরিসংখ্যান বৈজ্ঞানিক হিসাব-নিকাশের সঙ্গে অনেকাংশেই মিলবে না। একথা নিশ্চিত যে নেপালে এখন ভয়াবহ দুর্যোগ চলছে। হিমালয় কন্যা নেপাল এখন বিধ্বস্ত জনপদ। খাবার নেই, চিকিৎসা ও আশ্রয় নেই, প্রয়োজনের তুলনায় সব কিছুই অপ্রতুল। নিহত এসব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও দুর্গত মানুষের সাহায্যার্থে এক শোকসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বুধবার বিকেলে। মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ও রাইটার্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সহায়তায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এশিয়ান মিউজিক ইনস্টিটিউট। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নেপালের রাষ্ট্রদূত হরি কুমার শ্রেষ্ঠ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী, কবি আজিজুর রহমান আজিজ ও গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর। সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান। শুরুতে নেপালে ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী ড. আবুল আজাদ। শোকসভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সাহায্যের কথা এখনও দেশবাসী ভুলে যায়নি। দেশটির জাতীয় নেতা গিরিজা প্রসাদ কৈরালা চাঁদা তুলে এগারো কোটি রূপী সংগ্রহ করে সেদিন মুজিবনগর সরকারকে অস্ত্র কিনে দিয়েছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশকে তৃতীয় স্বীকৃতি দানকারী রাষ্ট্র নেপাল। শুধু মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নেপাল-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব জড়িয়ে আছে তা নয়, বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদের উদ্ধার কার্যও আমরা নেপাল থেকে পাই। সেই নেপালে চলছে এখন ভয়াবহ দুর্যোগ। আসুন আমরা সবাই নেপালের পাশে দাঁড়াই। আলোচনা শেষে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের কণ্ঠে ‘আমরা করব জয়’ দলীয় গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ পর্ব। অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন কবি আজিজুর রহমান আজিজ, আসলাম সানী ও নুরুল হুদা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী বুলবুল মহলানবীশ, নমিতা ঘোষ, ফকির আলমগীর প্রমুখ। জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসবের দ্বিতীয় দিন ॥ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মদিন সামনে রেখে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে চলছে ষড়বিংশ জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় পাঁচ দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করেছে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা। উৎসবের স্লোগান-‘হও মৃত্যুতোরণ উত্তীর্ণ, যাক, যাক ভেঙে যাক যাহা জীর্ণ।’ বুধবার ছিল উৎসবের দ্বিতীয় দিন। এদিন সন্ধ্যায় শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত ও আবৃত্তি। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করেন ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন আহমেদ মায়া ভা-ারী, আঞ্জুমান ফেরদৌসী কাকলী, বিলু সিদ্দিকী, মীরা মণ্ডল, রানু কর্মকার, তামান্না মুশতারী মৌ, ওয়াহিদা রহমান, শিল্পী রায়, রীতা মুসা প্রমুখ। উৎসব আগামী শনিবার পর্যন্ত চলবে।
×