ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মোহামেডান-শেখ জামাল দ্বৈরথ অমীমাংসিত

প্রকাশিত: ০৬:৩৯, ৭ মে ২০১৫

মোহামেডান-শেখ জামাল দ্বৈরথ অমীমাংসিত

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত লীগের শিরোপাধারী শেখ জামাল ধানম-ি ক্লাব লিমিটেড এবারও শিরোপা ধরে রাখার ক্ষেত্রে ফেবারিট। কিন্তু তাদের খেলা দেখে অনেক ফুটবলপ্রেমীই বলছেন, জামাল এবার মোটেও জামালের মতো খেলছে না। তারই প্রমাণ কদিন আগেই তারা দেয় ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। তারই ধারাবাহিতায় এবার তারা আবারও নষ্ট করল পয়েন্ট। বুধবার ‘মান্যবর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে শেখ জামাল ১-১ গোলে ড্র করল ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের সঙ্গে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত প্রথমার্ধে ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ০-০। গোল করেন মোহামেডানের জুয়েল রানা এবং শেখ জামালের লিওনেল সেইন্ট প্রিয়ক্স। মজার ব্যাপারÑ এটি ছিল দুই দলেরই অষ্টম ম্যাচ এবং দুই দলেরই এটি টানা দ্বিতীয়। আগের ম্যাচে মোহমেডান ১-১ গোলে ড্র করেছিল ফেনী সকারের সঙ্গে। তবে ড্র করেও ২০ পয়েন্ট নিয়ে লীগের শীর্ষ স্থানেই আছে জামাল। আর সমান ম্যাচে মোহামেডানের সংগ্রহ ১৪, পয়েন্ট অবস্থান তৃতীয়। গত মৌসুমের লীগে হেড টু হেড লড়াইয়ে ৩ ম্যাচের ১টিতে জিতেছিল জামাল (৩-০)। বাকি দুই ম্যাচই ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। ম্যাচের শুরুর ৪ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় জামাল। ডান প্রান্ত থেকে জামালের গাম্বিয়ান মিডফিল্ডার ল্যান্ডিং ডার্বোয়ের ক্রসে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে শট নেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনেল সেইন্ট প্রিয়ক্স। ঝাঁপিয়ে পড়ে বলটি মাঠের বাইরে পাঠিয়ে বাঁচান মোহামেডানের গোলরক্ষক আশরাফুল হক রানা। ১০ মিনিটে মিডফিল্ডার জুয়েল রানার শট কোনমতে আটকান জামালের গোলরক্ষক মাজহারুল ইসলাম। ১২ মিনিটে মোহামেডানের গিনির ফরোয়ার্ড ইসমাইল বাঙ্গুরা বক্সের বাইরে থেকে শট নিলে বল বাইরে পাঠান জামালের গোলরক্ষক। ২৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে জুয়েল রানার দুর্বল শট সহজেই আটকে দেন জামালের গোলরক্ষক মাজহারুল। ৫৩ মিনিটে এগিয়ে যায় ‘ব্ল্যাক এ্যান্ড হোয়াইট’রা। এ সময় ইসমাইল বাঙ্গুরা বল পাস দেন সতীর্থ জুয়েল রানাকে। মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে জামালের বক্সে বল নিয়ে ঢুকে চমৎকার শটে গোল করে নিজ দলের সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটান জুয়েল রানা (১-০)। ৫ মিনিটের মধ্যেই সমতা আনে ‘বেঙ্গল ইয়োলোস’রা। ৫৮ মিনিটে ইয়ামিন মুন্নার বাড়িয়ে দেয়া বলে শট নেন সোহেল রানা। তা গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বলে স্কয়ার শটে গোল করেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড লিওনেল সেইন্ট প্রিয়ক্স (১-১)। ৬৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ হারায় জামাল। কিন্তু লিওনেলের ক্রস ফরোয়ার্ড সাখাওয়াত হোসেন রনির হেড বারপোস্টের ওপর দিয়ে চলে মাঠের বাইরে। হতাশায় পুড়তে হয় জামাল শিবিরকে। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেই পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মারুফুল হক এবং কাজী জসিম উদ্দিন জোসির শিষ্যরা। এবারের লীগে জামাল তাদের ছয় ম্যাচে হারিয়েছে ফরাশগঞ্জকে ৪-১, রহমতগঞ্জকে ২-১, ফেনী সকার ক্লাবকে ২-০, চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৪-০, টিম বিজেএমসিকে ২-১ এবং শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে। আর ড্র হওয়া দুই ম্যাচের কথা তো আগেই বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে মোহামেডান এর আগে হারায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৫-০, টিম বিজেএমসিকে ২-০, ফরাশগঞ্জকে ২-১ এবং মুক্তিযোদ্ধাকে ৩-২ গোলে।
×