ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় মালিকের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মামলা

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ৮ মে ২০১৫

পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় মালিকের বিরুদ্ধে এক কোটি টাকার মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বিশ্ব ঐহিত্য সুন্দরবনে জাহাজ ডুবির ঘটনায় পরিবেশগত ক্ষতির আশঙ্কায় ডুবে যাওয়া সারবাহী কার্গো জাহাজের মালিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বনবিভাগ। বনের জলজ এবং বাস্তুসংস্থানগত পরিবেশের এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে মর্মে বুধবার রাতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) কামাল উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে শরণখোলা রেঞ্জের মরাভোলা নদীর বিমলের চর এলাকায় ডুবে যাওয়া সারবোঝাই ‘এমভি জাবালে নূর’ নামে লাইটারেজ জাহাজের উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে প্রায় নিমজ্জিত জাহাজের অভ্যন্তরে থাকা গলিত পটাশ সার বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে অন্য কার্গোতে স্থান্তারিত করা হচ্ছে। এসিএফ কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, দুটি মেশিনের মাধ্যমে কার্গোর মধ্যে থাকা গলিত পটাশ সার দ্রুত অপসারণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত তিন দিনেও জাহাজটি উদ্ধার করা যায়নি। মামলা দায়ের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বুধবার রাতে শরণখোলা থানায় এক কোটি টাকার ক্ষতির কথা উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সারবাহী লাইটারেজ জাহাজ এমভি জাবালে নূরের মালিক আমিনুল ইসলাম, মাস্টার আবদুল মতিন, ইঞ্জিনচালক মাসুম বিল্লাল ও চালক মোঃ হাফিজুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১ মে দুর্ঘটনাকবলিত লাইটারেজ জাহাজটি মংলা বন্দরের অদূরে পশুর নদীর হারবারিয়া এলাকা থেকে ৬৭০ মেট্রিক টন পটাশ সারবোঝাই করে আশুগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয়। ৪ মে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের মরাভোলা নদীর বিমলের চরে আটকা পড়ে জাহাজটি। মঙ্গলবার বিকেলে জাহাজটির তলা ফেটে পটাশ সার সুন্দরবনের মরাভোলা নদীতে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। একপর্যায়ে কর্গোটি কাত হয়ে ডুবে যায়।
×