ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

স্বামী-সন্তানের নাম জানেন

ঠিকানা বলতে না পারা বৃদ্ধাকে নিয়ে বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ৮ মে ২০১৫

ঠিকানা বলতে না পারা বৃদ্ধাকে নিয়ে বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ ঠিকানাবিহীন অনুমানিক ৭০ বছর বয়সী নারীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। চারদিন ধরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এ নারী এখন সুস্থ হয়ে নিজের নাম, স্বামীর নাম ছেলে-মেয়েদের নাম বলতে পারলেও ঠিকানা বলতে না পারায় তাকে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না। এ প্রেক্ষিতে স্থানীয় প্রশাসন তাকে সেইফ হোমে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চারঘাট স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্র জানায়, গত সোমবার বেলা ১১টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। ওইদিনই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল আলীম বৃদ্ধাকে জরুরী বিভাগে ভর্তি করে দেন। তবে ঢাকার বাসিন্দা উল্লেখ করে নিজের নাম বলেন লতিফা বেগম। স্বামীর নাম জানান আব্দুল মমিন। এছাড়া আরিফ ও রোজিনা নামের তার দুই ছেলেমেয়ে আছে জানাতে পারলেও নির্ধারিত ঠিকানা জানাতে পারছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, অসুস্থ অবস্থায় বৃদ্ধাকে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করার পর এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন। তিনি বলেন, ঠিকানাবিহীন বৃদ্ধাকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন তারা। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে অবহিত করা হয়েছে। গলাচিপায় ছেলের হাতে মা খুন স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর গলাচিপায় ছেলের হাতে মা খুন হয়েছেন। পুলিশ মা হত্যাকারী ছেলে সবুজ খানকে (২৮) গ্রেফতার করেছে। উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের চরচন্দ্রাইল গ্রামে এ নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানায়, মা ফরিদা বেগমের (৪৮) সঙ্গে পারিবারিক বিষয়ে ছেলে সবুজ খানের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সোমবার ৪ মে বিকেলে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলে ধারালো দা দিয়ে মা ফরিদা বেগমের মাথা, ঘাড়, হাত-পা লক্ষ্য করে উপর্যুপরি কোপায়। তাকে তৎক্ষণাৎ প্রথমে গলাচিপা হাসপাতাল ও পরে বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। বরিশালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদা বেগম বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান। মেহেরপুরে শিশু হত্যা মামলায় যুবকের ফাঁসি নিজস্ব সংবাদাতা, মেহেরপুর, ৭ মে ॥ মেহেরপুরের ঝাঝা গ্রামের চাঞ্চল্যকর শিশু জারজিনা হত্যার দায়ে জাহাঙ্গীর নামের এক যুবকের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক টিএম মুসা এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার অপর দুই আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত জাহাঙ্গীর হোসেন (২৪) ঝাঝা গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে। মায়ের পরকীয়া সম্পর্কের জেরে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ভর দুপুরে গ্রামের একটি সরিষা ক্ষেতে জারজিনাকে জবাই করে হত্যা করে জাহাঙ্গীর। জারজিনার দাদি বাদী হয়ে ওই দিনই সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
×