ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

পয়লা বৈশাখে নারী নির্যাতন এবং আমাদের মিডিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১০ মে ২০১৫

পয়লা বৈশাখে নারী নির্যাতন এবং আমাদের মিডিয়া

একাত্তর টিভির চার সাংবাদিক ফারজানা রূপা, সামিয়া রহমান, নবনীতা চৌধুরী ও মিথিলা ফারজানা কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে একযোগে ঘোষণা করেছেন, যেখানে নারী নির্যাতন সেখানেই প্রতিরোধ লড়াইয়ে ওরা একাট্টা এবং সর্বশক্তি দিয়ে লড়বে। ঘরে-বাইরে, অফিসে-রাজপথে মানুষের ভিড়েÑ সর্বত্র। প্রশ্নটি হলো, ওরা নারী বলে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে একা লড়বে আর আমরা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে চেয়ে চেয়ে দেখব তা হতে পারে না। আমাদের মতো বুদ্ধি বিক্রেতাদেরও আজ বলতে হবে, সহযোদ্ধারা, তোমরা একা নও, আমরাও আছি তোমাদের সঙ্গে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, আমাদের বিশাল মিডিয়া জগতের বড় অংশের ভূমিকা মোটেও স্বস্তিদায়ক নয়। বরং রীতিমতো লজ্জাকর। অতীতে দেখেছি, আমাদের সংবাদপত্র জগতে উড়ে এসে জুড়ে বসা ভদ্রলোক, যিনি পবিত্র ধর্ম নিয়ে মিথ্যাচার করে এবং তা তার ‘আমার দেশ’-এ প্রকাশ করে মানুষের ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত দিয়ে নোংরা দেশবিরোধী রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করার চেষ্টা করেছিলেন। যে কারণে তাকে গ্রেফতারও করা হয়। তখন আমাদের বড় বড় মিডিয়ার বড় বড় সম্পাদকরা তার মুক্তি দাবি করে একযোগে যৌথ বিবৃতি দিয়েছিলেন। অথচ ৭১ টিভির ফারজানা রূপা যখন সিসি টিভির ফুটেজ থেকে তথ্য উপাত্ত নিয়ে পয়লা বৈশাখের সেই নারী নির্যাতনের বিস্তারিত রিপোর্ট করলেন, যখন তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হলো তখন কিন্তু আমাদের বড় বড় মিডিয়ার বড় বড় সম্পাদকরা রহস্যজনকভাবে নীরবতা পালন করছেন। এ আমাদের লজ্জা নয় কি? কি ঘটেছিল পয়লা বৈশাখে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সড়ক দ্বীপ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মাঝখানটায় যেখানে ব্লগার অভিজিত রায় নিহত হয়েছিলেন, ঠিক সেখানটায় ওই দিন নারী নির্যাতনের লজ্জাকর ঘটনাটি ঘটে। বস্তুত শাহবাগ মোড় থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত রাস্তা, দু’পাশে টিএসসি, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছিল লোকে লোকারণ্য। মানুষ স্ত্রী-সন্তানের হাত ধরে, কিশোর-কিশোরী-যুবতী, ছাত্র-ছাত্রী, গৃহবধূরা ঘুরে ঘুরে নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করছিল। সন্ধ্যার আগে দেখা গেল (একাত্তর টিভির সৌজন্যে) একদল যুবক (দুর্বৃত্ত) সড়ক দ্বীপের পাশে মানুষের ভিড়ে ঘুরে ঘুরে কিশোরী-যুবতী-নারীদের গায়ে হাত দিচ্ছে, এমনকি নয়-দশ বছরের কিশোরীও নির্যাতিত হতে দেখা গেছে। একটি ছাত্র সংগঠনের কয়েকজন নেতা বাধা দিলে তাদের একজনের হাত ভেঙ্গে দেয়া হয়। এক ছাত্র তার গায়ের পাঞ্জাবি খুলে এক যুবতীকে তার শরীর ঢাকতে সাহায্য করে। দুর্বৃত্তরা দীর্ঘ সময় ধরে এ হীন কর্মকাণ্ড চালিয়ে নির্বিঘেœ সটকে পড়ে। শত সহস্র মানুষ দাঁড়িয়ে দেখেছে, কেউ প্রতিবাদ করেনি। অদূরে বেশ কয়েকজন কর্মরত (অন ডিউটি) পুলিশ ছিল, তাদের একজন এগিয়ে এলেও অন্যরা ঠায় দাঁড়িয়ে থেকেছে বলে জেনেছি। কিন্তু কেন? প্রফেসর মুনতাসীর মামুনের ভাষায়, তাদের মনোজগতে এখনও সেই ‘পাকিস্তানী মন’ বিরাজ করছে। লেখার শুরুতে আমি বলেছিলাম, সহযোদ্ধারা, তোমাদের এ যুদ্ধ কেবল তোমাদের একার যুদ্ধ নয়, এ যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী আমাদের সকলের এবং আমরা সংখ্যায় ওদের চেয়ে অনেক অনেক বেশি। মিডিয়া আমাদের, মঞ্চ আমাদের, রাজপথ আমাদের, শুধু মাথা তুলে দাঁড়াবার সময় এখনই। ভয় কি? আমাদের মাথার ওপরে ছায়া তো রয়েছেই। এখনও যুদ্ধে আছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক কলামিস্ট ও একুশের মহান সঙ্গীতের রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, যুদ্ধে আছেন প্রফেসর আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিক, প্রফেসর মুনতাসীর মামুন, তোয়াব খান, স্বদেশ রায়, প্রফেসর আবুল বারকাত, প্রফেসর আবদুল মান্নান, প্রফেসর এ. আরাফাত, সৈয়দ শামসুল হক, রামেন্দু মজুমদার, নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, আলী যাকের, সেলিনা হোসেন, নির্মলেন্দু গুণ, মহাদেব সাহা, আতাউর রহমান, মামুনুর রশীদ, আসাদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান খান, আবেদ খান, শ্যামল দত্ত, মনজুরুল আহসান বুলবুল, নঈম নিজাম, মন্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, জ.ই মামুন, শাহরিয়ার কবির, হারুন হাবীব, প্রফেসর জাফর ইকবাল, জাফর ওয়াজেদ, মুন্নী সাহা, শাহনাজ মুন্নী, মাসুদা ভাট্টি, এমনি আরও অনেকে। আমরা আছি রূপা, সামিয়া, নবনীতা, মিথিলাদের সঙ্গে, কলম যুদ্ধে। যে কলমকে বলা হয়, বন্দুকের নল থেকে শক্তিধর। সারা বাংলায় ঘরে ঘরে এ সব মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমাদের মাথার ওপর রয়েছেন এ সময়ের এ অঞ্চলের সবচেয়ে সাহসী রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর সঙ্গে রয়েছে দেশের তাবত দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল শক্তি ও সবার ইস্পাতদৃঢ় ঐক্য। এখানে একটা কথা বলা দরকার, জীবদ্দশায় নাকি মানুষের গুণ গাইতে নেই। আমি সেই ভ্রান্ত ধারণাটা ভেঙ্গে দিলাম এ জন্যে যে, তাদের দেখে আমাদের ভাবী প্রজন্ম উদ্বুদ্ধ হবে। এমনকি বর্তমান প্রজন্মও। যারা আজও নারীর ক্ষমতায়নে নাক সিটকায় বা তেঁতুল শফীর মতো নারীকে খারাপভাবে মূল্যায়ন করে তাদের জেনে রাখা দরকার, নারীর ক্ষমতায়নকে যতই রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বলা হোক, সেই মহীয়সী বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত থেকে শুরু করে সর্বজন শ্রদ্ধেয় সুফিয়া কামাল, শহীদ জননী জাহানারা ইমাম, শেখ হাসিনা আমাদের মাথার ওপর জ্বলজ্বল করছেন। আজ হাইকোর্টের বিচারপতি নারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নারী, সরকারের সচিব নারী, নারীরা যেমন সরকার চালাচ্ছেন, তেমনি পার্লামেন্টেও পৌরহিত্য করছেন। এখন রাজপথে তাকালে দেখা যাবে ক্যামেরা কাঁধে, হাতে কাগজ-কলম-বুম নিয়ে বাইক চালিয়ে আমাদের মেয়েরা ছুটছে সমাজ বাস্তবতার চিত্র তুলে আনতে এবং নিউজ রুমে গিয়ে কি সাহস আর দক্ষতার সঙ্গে তা সম্প্রচার করছে। তাদের কণ্ঠ দেশের সীমানা অতিক্রম করে বহির্বিশ্বে পৌঁছে যাচ্ছে। একজন তেঁতুল শফী কিংবা দুই তিন জন খালেদা জিয়া কিছুই করতে পারবেন না, তা ২০১৩-এর ৯ মাস এবং এ বছরের প্রথম ৯২ দিন পেট্রোলবোমা মেরেও সফল হয়নি। সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর তো ঘরে ঢুকতেই বাধ্য হয়েছেন। পয়লা বৈশাখের ঘটনা কি কেবলই যৌন-অনাচার? নাকি এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে? আমরা যদি একটু পেছনে তাকাই দেখব দিবসটিকে ঐ দুর্বৃত্ত বা জঙ্গীদের বড় ভয়। এর কারণ পয়লা বৈশাখ, একুশে ফেব্রুয়ারির মতোই বাঙালীর হাজার বছরের ভাষা-সংস্কৃতি, কৃষ্টি, জীবনাচার এবং সামাজিক সম্প্রীতির এক অনন্য উৎসব। মনে পড়ে সেই ছেলেবেলার কথা, আমরা সারা বছর এ দিনটির অপেক্ষায় পয়সা জমাতাম। পয়লা বৈশাখে ঘুড়ি-নাটাই কিনতাম, রাধা চক্করে চড়তাম, বিকেলে বড় ভাইদের হাডুডু খেলা উপভোগ করতাম। আমাদের হিন্দু বন্ধুরা তাদের মার হাতে বানানো নাড়ু-সন্দেশ আমাদের খেতে দিত, কখনও সখনও লুচি-পঞ্চব্যঞ্জনের লাবড়া খাওয়ার দাওয়াত পেতাম। যে কারণে একবার মক্তবের হুজুর খুব করে শাস্তি দিয়েছিলেন। অনেকক্ষণ ধরে সূর্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয়েছে কপালে চাড়া দিয়ে যাতে দৃষ্টি না নড়ে। সত্যি, আজও মনে পড়লে রোমাঞ্চিত হই। পান্তা আবহমান বাংলার সাধারণ মানুষের পছন্দের ব্রেক ফাস্ট। সাধারণত আগের দিনের ভাত ভিজিয়ে রেখে ভোরে পেঁয়াজ-মরিচ পোড়া দিয়ে খেয়ে মানুষ কাজে বের হতেন। তখন যেহেতু পদ্মা-যমুনায় জাল ভরে ইলিশ পাওয়া যেত, অনেকে শুধু হলুদ-লবণ দিয়ে জাল দেয়া আগের দিনের ইলিশের ঝোল দিয়েও পান্তা খেত। এ জন্য বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিম গেয়েছেন, ‘আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম...’। গানের মাধ্যমে সেইসব চিত্র তুলে ধরেছেন। আজকে যে পয়লা বৈশাখে পান্তা-ইলিশ খাবার এক বিকৃত কালচার জন্ম নিয়েছে, তা আমাদের আবহমান বাংলার চিত্র তো নয়ই বরং যারা ১৬ হাজার টাকায় একটা ইলিশ কিনে পান্তা খান, মূলত তারা বাঙালিয়ানার ধারে কাছেও নেই। হঠাৎ গজিয়ে ওঠা উঠতি বড়লোক বা চুরি-ডাকাতির টাকায় একদিনের বাঙালী সাজার বীভৎস ডেমোনেস্ট্রেশন বৈ কিছু নয়। ১৯৭৩ সালে রমনার বটমূলে এই দৃশ্য দেখে এদেশের যুব আন্দোলনের সবচেয়ে সাহসী ও মেধাবী যুবনেতা, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম দুঃসাহসিক সশস্ত্র বিএলএফ বা মুজিব বাহিনীর অন্যতম লিডার এবং সম্পাদক শহীদ শেখ ফজলুল হক মনি তার দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকায় কড়া সমালোচনা করায় বেশ কিছুদিন তা আর দেখা যায়নি। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু ও মনি ভাইদের হত্যার পর আবারও পয়লা বৈশাখকে পান্তা-ইলিশের খারাপ সংস্কৃতির উৎসবে পরিণত করা হয়। মূলত এ পান্তা-ইলিশের কালচার এসেছে পয়লা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ বরণ উৎসবের যে ধারণা, তা থেকে মানুষকে অন্যদিকে নিয়ে যাবার চক্রান্ত হিসেবে। কেউ বুঝে করছে, কেউ না বুঝে। যেমন করে পাকিস্তান আমলে রবীন্দ্রসঙ্গীতের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠী দাঁড়িয়েছিল, বস্তুত তাদের চ্যালেঞ্জ করে নববর্ষ বরণ উৎসব আরও জাঁকজমকভাবে উদযাপিত হতে শুরু করে। অবশ্য অনেক আগে থেকেই গ্রামবাংলায় চৈত্র সংক্রান্তির এবং পয়লা বৈশাখের মেলা হতো। ঢাকায় শুরু হয় তৎকালীন পাকিস্তান মিলিটারি শোষক গোষ্ঠীর দ্বারা রবীন্দ্র সঙ্গীতের ওপর আঘাত এলে। সেই সময় উদীচী রমনার বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে, যা সর্বজনীন তো বটেই, বরং দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। এভাবে পয়লা বৈশাখের নববর্ষবরণ উৎসব হয়ে দাঁড়ায় ‘পাকিস্তানী মন’ বিরোধী বাংলা ও বাঙালী শিল্প-সংস্কৃতি অসাম্প্রদায়িকতা ও সামাজিক সম্প্রীতির দেয়াল রচনার উৎসব। এখানেই মনোজগতে ‘পাকিস্তানী মন’ লালনকারীদের যত ভয়। তাই তো তারা একদিকে পান্তা-ইলিশ চালু করে, অপরদিকে বোমা হামলার পথ বেছে নেয়। যার দৃষ্টান্ত হলো অতীতে পয়লা বৈশাখে পল্টনে, রমনা বটমূলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মানুষ হত্যা এবং সাম্প্রতিক নারী নির্যাতনের ঘটনা। এর মাধ্যমে তারা উৎসবটি বন্ধ করতে চায়। বিএনপি-জামায়াত তথা ২০ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেহেতু এ সাম্প্রদায়িক ‘পাকিস্তানী মনা’ গোষ্ঠীর নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সে কারণেই ডেইলি স্টার বা প্রথম আলোর মতো পত্রিকা তাদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ডেইলি স্টার পত্রিকা টিএসসির সড়ক দ্বীপের যৌন হয়রানির ওপর ৩ বৈশাখ “outrage over sex assault” শিরোনাম দিয়ে ফ্রন্ট পেজে গুরুত্ব দিয়ে নিউজটি ছেপেছে, কোন ছবি ছাপেনি। অথচ এ ডেইলি স্টারই ৮ বৈশাখ কারওয়ান বাজারে ইলেকশন ক্যাম্পেনে গেলে খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে কালো পতাকা প্রদর্শন বা তার গাড়িবহরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি হামলার ঘটনার ৪টি ছবি Khaleda’s motorcade comes under attack” শিরোনাম দিয়ে ফ্রন্ট পেজে ছেপেছে। তাতেও মন ভরেনি, দ্বিতীয় পৃষ্ঠায়ও আরেকটি ছবি ছেপেছে। এর দুদিন পর ১০ বৈশাখের স্টার এ “BCL men led the attack” শিরোনাম দিয়ে ব্যাক পেজে একটি বড় ছবিসহ ৩টি ছবি (সেদিন ক্রিকেটে বাংলা-ওয়াশ হয়েছিল বলে টাইগাররা ফ্রন্ট পেজে চলে আসে) এবং ওইদিনই ২-এর পাতায় আরও ৪টি ছবি ছাপা হয়। এমনকি ব্যাক পেজে ছাত্রলীগের কোন কোন নেতা নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের ছবি (পোর্ট্রেট) ১, ২ করে ৭ পর্যন্ত, ব্যক্তিগত ও সাংগঠনিক পরিচয় দিয়ে সারিবদ্ধভাবে ছেপে দেয়া হয়। প্রশ্নটি ওখানেই, এত ছবি ছাপা হলো অথচ খালেদা জিয়ার গাড়িবহর থেকে অস্ত্র উঁচিয়ে দৌড়ানো অবস্থায় তার কর্মী দেহরক্ষীদের দেখা গেল বা খালেদা জিয়ার গাড়ি যে লালশার্ট পরা একজনকে পিষ্ট করে চলে গেল, এসবের ছবি কিন্তু স্টার ছাপেনি। একাত্তরের ফারজানা রূপা সিসি টিভি থেকে নিয়ে টিএসসির সড়ক দ্বীপের পাশের পয়লা বৈশাখের নারী নির্যাতনের (গড়ষবংঃধঃরড়হ) সচিত্র প্রতিবেদন সম্প্রচার করতে পারলেও, ডেইলি স্টারের মতো ক্ষমতাধর পত্রিকার বড় সম্পাদক বা বড় বড় সাংবাদিকরা তা তুলে আনতে পারেন না। এ-ই আমাদের মিডিয়া? ঢাকা ॥ ০৭ মে ২০১৫ লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
×