ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাপানী আগ্রাসনের ইতিহাস নিয়ে সতর্ক থাকবে চীন

প্রকাশিত: ০৭:৩১, ১০ মে ২০১৫

জাপানী আগ্রাসনের ইতিহাস নিয়ে সতর্ক থাকবে চীন

মস্কোয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবসান স্মারক অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট শি জিন পিয়াংয়ের উপস্থিতিকে সামনে রেখে চীনের সামরিক বাহিনী শনিবার হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, আগ্রাসন ইতিহাস অস্বীকারে জাপানের চেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে। খবর ওয়েবসাইটের। সামরিক বাহিনীর সংবাদপত্র ‘পিপলস লিবারেশন আর্মি ডেইলি’ জানিয়েছে, জাপানের কোন কোন রাজনৈতিক গ্রুপ ও ব্যক্তি এখনও জাপানী আগ্রাসনের বর্বর অপরাধ অস্বীকার করছে এবং যে সকল অপরাধীর হাত রক্তে কলঙ্কিত হয়েছে তাদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। দৈনিকটি এক সম্পাদকীয়তে বলেছে, জাপান ঔপনিবেশিক শাসন ও আক্রমণকে মহিমান্বিত করার মধ্য দিয়ে মানুষের জ্ঞানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে এখনও। পত্রিকা বলেছে, এ ব্যাপারে ব্যাপকভাবে সতর্ক থাকতে হবে আমাদের। ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অবসান উপলক্ষে আয়োজিত মস্কোয় সামরিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে শি জিন পিংয়ের যোগ দেয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে মন্তব্যটি প্রকাশিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এবং তার আগে চীনের বিভিন্ন অংশ জাপান দখল করে নেয়ার তিক্ত স্মৃতি চীন-জাপান সম্পর্ককে অস্বস্তিকর করে তোলে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঞ্চলিক বিরোধ এবং জাপানের আরও সাহসী নিরাপত্তা নীতি ও চীনের সামরিক দৃঢ়প্রত্যয়ের কারণেও শীতল হয়ে পড়েছে দু’দেশের সম্পর্ক। চীন বলেছে, জাপানী সৈন্যরা ১৯৩৭-এ নানজিং হত্যাকা-ে ৩ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল। যুদ্ধোত্তর মিত্রশক্তির আদালতে ওই হত্যাকা-ে নিহতের সংখ্যা বলা হয়েছিল ১ লাখ ৪২ হাজার। জাপানের অতীত স্বীকার করার জন্য দেশটির প্রতি চীন আহ্বান জানিয়েছে বারবার। জাপানী প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে গত মাসে ওয়াশিংটনে মার্কিন কংগ্রেসে এক ভাষণে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের ভূমিকার বিষয়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন।
×