ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেনাপোলে শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষ ॥ বোমা বিস্ফোরণ গুলি, আহত ৯

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ১১ মে ২০১৫

বেনাপোলে শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষ ॥ বোমা বিস্ফোরণ গুলি, আহত ৯

স্টাফ রিপোর্টার, বেনাপোল ॥ বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী এক নারী যাত্রীকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। রবিবার দুপুর থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত থেমে থেমে চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় সন্ত্রাসীদের বোমা বিস্ফোরণ ও পুলিশের মুহুর্মুহু গুলির শব্দে বেনাপোলের ইমিগ্রেশন এলাকার মানুষসহ পাসপোর্টধারী যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে দিগি¦দিক ছোটাছুটি করে। সংঘর্ষ চলাকালে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। সংঘর্ষে পুলিশসহ নয়জন আহত হয়। এরমধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ বেনাপোল হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও বেনাপোল পৌরসভার কাউন্সিলর রাশেদুজ্জামান রাশেদসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশ। বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আসলাম খান জানান, ২/৩ দিন আগে নড়াইলের কালিয়া এলাকার আসলামের স্ত্রী শাহিদা বেগম (৩৭) ভারত থেকে দেশে ফেরেন। ওই সময় চেকপোস্ট আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা তার ল্যাগেজের মালামাল অবৈধ হওয়ায় আটক করে কাস্টমস হাউসে জমা দেয়। পরে ওই নারী ঘটনাটি রাশেদকে জানালে রবিবার দুপুরের দিকে রাশেদ দলবল নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যায়। এ সময় গেটে দায়িত্বরত পুলিশ রাশেদকে ঢুকতে বাধা দেয়। এ নিয়ে পুলিশ ও রাশেদের লোকজনের সঙ্গে তর্কতবির্ক হয়। এ সময় রাশেদের লোকজন সাখাওয়াত ও মেজবাহ নামে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে বেধড়ক মারধর করে। এ অবস্থায় ইমিগ্রেশনে থাকা পুলিশ, কাস্টমস ও পাশের বিজিবি সদস্যরা এলে তারা পালিয়ে যায়। কিছু সময় পর রাশেদ বন্দর হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নে এসে শ্রমিকদের নিয়ে আবারও বেনাপোল ইমিগ্রেশনে হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। শ্রমিকরা ভেতরে ঢুকে ইমিগ্রেশনের গ্লাস এবং আসবাবপত্র ভাংচুর ও পুলিশকে মারধর করে। খবর পেয়ে বেনাপোল পোর্ট থানা, শার্শা ও ঝিকরগাছা থানার পুলিশ সদস্যরা এসে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। মুহূর্তের মধ্যে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আহত অবস্থায় আটক করে রাশেদুজ্জামান রাশেদ (৩৫), তার সহযোগী ইদ্রিস আলী (৩৪), ল্যাগেজ ব্যবসায়ী নারী শাহিদা বেগম (৩২), তার স্বামী আসলাম হোসেন, বেনাপোলের গয়ড়া গ্রামের আমির হোসেন, তালসারি এলাকার আনসার ড্রাইভারের ছেলে গাজী, সাদিপুর গ্রামের মোস্তফার ছেলে রাসেল (২৩) ও বড় আঁচড়া গ্রামের রহিমের ছেলে মনিরকে। ঘটনার পর শ্রমিকরা বেনাপোল বন্দর এলাকায় রাস্তায় ওপর টায়ারে আগুন লাগিয়ে দেয়। ফলে বন্ধ হয়ে যায় আমদানি-রফতানি। যশোরের এএসপি ভাস্কর সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনীপ্রধান রাশেদসহ সাতজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
×