ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বাকৃবিতে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রমাণিত

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ১১ মে ২০১৫

বাকৃবিতে কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি স্বজনপ্রীতির অভিযোগ প্রমাণিত

বাকৃবি সংবাদদাতা ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মচারী নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম গঠিত তদন্ত কমিটি। প্রশ্নবিদ্ধ নিয়োগে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল হক, নিয়োগ কমিটির সদস্য, কতিপয় আওয়ামীপন্থী প্রভাবশালী শিক্ষক সম্পৃক্ত ছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। ওই নিয়োগে বাকৃবি ছাত্রলীগ, স্থানীয় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের সম্পৃক্ততাও পেয়েছে তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কর্মচারী নিয়োগে উপাচার্যের আর্থিক লেনদেন, শিক্ষক ফোরামের শৃঙ্খলাভঙ্গের বিষয় খতিয়ে দেখতে গত ৯ এপ্রিল তদন্ত কমিটি গঠন করে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম। কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. পরেশচন্দ্র মোদককে প্রধান করে তিন সদস্যের ওই কমিটির অপর দুই সদস্য ছিলেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল আলীম এবং ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.খ.ম. গোলাম সারওয়ার। দশ পৃষ্ঠার ওই তদন্ত প্রতিবেদনে উপাচার্যের অবৈধ নিয়োগ, নিয়োগে দুর্নীতি, নিয়োগবাণিজ্য, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের এবং গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের কতিপয় শিক্ষকের চরিত্র হননের চেষ্টার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নৈতিকস্খলন ও নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের ব্যানারে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের আন্দোলন বানচাল করতে চেষ্টা করে অভিযুক্ত কয়েক শিক্ষক। এ সময় দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রসাশনের স্ব স্ব পদে বহাল থাকে শিক্ষক ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এম এ সালাম, তৎকালীন ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. জহিরুল হক খন্দকার, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন-অর-রশিদ, শহীদ নাজমুল আহসান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোঃ আব্দুল আওয়াল, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ মহিরউদ্দীন ও অধ্যাপক ড. মোঃ এহসানুর রহমান আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মানহানিকর প্রচারপত্র বিলি করে বলে প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি। শান্তি হিসেবে ওই প্রতিবেদনে সংগঠনের নিয়ম অগ্রাহ্য করায় তাদের সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশও করে কমিটি। এদিকে তদন্ত কমিটি ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল হকের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যসহ নৈতিক স্খলনের প্রমাণ পেয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একজন শিক্ষক হিসেবে এমন কর্মকা-েযুক্ত থাকায় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে কমিটি গঠন করে উপাচার্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনিকভাবে বিচার করার সুপারিশ করা হয়।
×