ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঈদে সড়ক-মহাসড়কে কোন ভোগান্তি হবে না ॥ ও. কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১২ মে ২০১৫

ঈদে সড়ক-মহাসড়কে কোন ভোগান্তি হবে না ॥ ও. কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আসন্ন ঈদে সড়ক-মহাসড়গুলো কোন ভোগান্তির কারণ হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা ভাল কাজ করলে বা দক্ষতা দেখালে পুরস্কৃত হবেন আর খারাপ কাজের জন্য রয়েছে তিরস্কার। সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সঙ্গে অধিনস্ত অধিদফতর ও সংস্থাগুলোর প্রধানদের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির পর মন্ত্রী এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, প্রতিবছরেই ঈদের আগে ঘরে ফেরা মানুষের রাস্তায় দুর্ভোগের বিষয়টি আলোচনায় সামনে আসে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক-ঢাকা-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইল। তিনটি মহাসড়কেই ফোর লেনের কাজ চলছে। মূলত একারণেই গেল কয়েক বছর ধরেই ঈদের সময়ে রাস্তায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়। যদিও এবছর ঢাকা-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, চুক্তির আওতায় আমরা দফতরগুলো থেকে কাজ বুঝে নিতে চাই। এটি অনেকটা পেট্রন-ক্লায়েন্ট রিলেশনশিপের মতোই। মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট কাজের বিপরীতে অর্থ দেবে। আর মাঠ পর্যায়ে সে কাজ বাস্তবায়ন করবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। কাজটি সঠিক মান বজায় রেখে শেষ হলো কিনা, সেবা-গ্রহীতাগণ উপকার পেল কিনা তা বিভিন্ন পরিমাপকের মধ্যদিয়ে যাচাই করা হবে। এতে অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হবে, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে, অপচয় বন্ধ হবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করা হয়। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন সচিব এম এ এন ছিদ্দিক। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মন্ত্রণালয় হতে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় সকল সাপোর্ট দেয়া হবে। বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো প্রকল্প বাস্তবায়নসহ নানান কাজ সম্পাদন করবে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা বা প্রকৌশলীদের মাঠ পর্যায়ে দক্ষতা পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হবে। বিচক্ষণতার সঙ্গে সরকারী নিয়ম-নীতি পালন করে কাজ সম্পন্ন করার মাঝেই কর্মকর্তা বা প্রকৌশলীদের দক্ষতা ফুটে ওঠে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কোন কর্মকর্তা ভাল কাজ করলে বা দক্ষতা দেখালে তিনি পুরস্কৃত হবেন আর খারাপ কাজের জন্য রয়েছে তিরস্কার। তাই আমাদের সেøাগান- ভাল কাজের জন্য পুরস্কার/খারাপ কাজের জন্য তিরস্কার। নানান অজুহাতে প্রকল্পের কাজে দেরি করার জন্য ঠিকাদারদের কার্যাদেশ বাতিল করা শুরু হয়েছে জানিয়ে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে আমাদের টার্গেট হবে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করা। যদি কোন কর্মকর্তা কিংবা ঠিকাদারের ইচ্ছাকৃত গাফিলতি দেখা যায় তা সিরিয়াসলি দেখা হবে।’ তিনি আরও বলেন, প্রায়ই কাজের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে। এ চুক্তির মাধ্যমে কাজের গুণগত মানও বিবেচনায় আনা হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী) বাস্তবায়নে অতীতের শম্বুক গতির বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে। শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ব্যবস্থাপনা ক্ষেত্রে চমক সৃষ্টি করেছে। আসন্ন ঈদে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, রোজার ঈদে সড়ক-মহাসড়কগুলো ভোগান্তির কারণ হবে না। ঈদকে সামনে রেখে সড়ক সংস্কার ও মেরামতের কাজ এগিয়ে চলছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই আসন্ন ঈদে সড়ক-মহাসড়কগুলো ভোগান্তির কারণ হবে না। আশাকরি সবাই স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এর আগেও ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নিরাপদ করতে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী। বর্ষার আগেই সড়ক-মহাসড়ক যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তোলারও নির্দেশ দেন তিনি। মন্ত্রী জানান, ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্পগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু এগিয়ে রয়েছে। এরপরই রয়েছে মেট্রোরেল প্রকল্প। পদ্মা সেতুর কাজে সিডিউলের একদিনও আমরা পিছিয়ে নেই।
×