ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেসিসের সঙ্গে এসিজির মতবিনিময়

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ মার্কিন কোম্পানির

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১২ মে ২০১৫

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে  বিনিয়োগে আগ্রহ  মার্কিন কোম্পানির

ফিরোজ মান্না ॥ দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে এ্যাসোসিয়েশন ফর করপোরেট গ্রোথ (এসিজি)। ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করারও আগ্রহ দেখিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) কর্মকর্তারা এসিজির কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে মতবিনিময় করেন। ওই মতবিনিময়ে এসিজি কর্মকর্তারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের উন্নয়নে কাজ করার আশ্বাস দিয়েছেন। বেসিসের একটি প্রতিনিধিদল এ বছরের প্রথম দিকে এসিজির প্রধান নির্বাহী স্যালি পেরার সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ায় সাক্ষাৎ করেন। সেখানে বেসিস ও এসিজি সিলিকন ভ্যালির সদস্যদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী অংশীদারিত্ব ও পারস্পরিক সহযোগিতা বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তাদের বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ ও ব্যবসার আহ্বান জানানো হয়েছে। এই প্রস্তাবে এসিজি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফরে আসবে বলে জানিয়েছে। দেশে গত কয়েক বছরে তথ্যপ্রযুক্তির অভূতপূর্ব অর্জন হলেও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে এখনও তাল মেলানোর মতো দক্ষ জনবল তৈরি করা সম্ভব হয়নি। আইসিটি খাতে বিশ্বের বড় বড় কোম্পানিগুলোকে দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এসিজিকে দেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে। এসিজি এই আহ্বানে সাড়া দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করার জন্য উৎসাহী। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গ্রামের মানুষের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে মিনি কলসেন্টার। এসব কলসেন্টার থেকে গ্রামের মানুষ ৪৫ ধরনের সেবা পাচ্ছেন। এখান থেকে তারা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র, কৃষি তথ্য, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, পরীক্ষার ফল, ভর্তি ফরম পূরণ, বিভিন্ন দফতরের তথ্য জানাসহ ৪৫ ধরনের সেবা জনগণের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। থ্রিজি (তৃতীয় প্রজন্মের ফোন) সেবার মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা গ্রামগঞ্জ পর্যন্ত বিস্তার ঘটানো হয়েছে। দেশের ১৪ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি মানুষই মোবাইল সেবার মধ্যে রয়েছে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থার ইর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটেছে। গ্রামের সাধরণ মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন ঘটেছে। একইভাবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আগ্রহ বেড়েছে বহুগুণে। তারা ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা পেয়ে অনেক বেশি দক্ষ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে। এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠানকে দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরি করে দেয়ার জন্য সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গবর্নমেন্ট ফেস-২ (ইনফো-সরকার) মাধ্যমে সচিবালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৪৮৭টি উপজেলা ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। এছাড়া ১৮ হাজার ১৩০টি অফিস ইন্টারনেট কানেক্টিভিটির মধ্যে চলে আসবে এ বছরের জুনে। ৮শ’ অফিসকে ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে আসার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। কয়েক মাসের মধ্যে অফিসগুলো থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং করা যাবে।
×