ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে ছয় মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন

প্রকাশিত: ০৪:৫৭, ১৪ মে ২০১৫

পুঁজিবাজারে ছয় মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ এক দিনের মূল্য সংশোধনের পরে আবারও দর বৃদ্ধির ধারায় ফিরে এসেছে দেশের পুুঁজিবাজার। প্রাতিষ্ঠানিক ও সাধারণ সব ধরনের বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে প্রধান পুুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের প্রায় ৫৮ ভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে সার্বিক সূচক বেড়েছে। সূচকের এই উর্ধগতির দিনে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা; যা বছরের সর্বোচ্চ লেনদেন। উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ১৮ নবেম্বর ডিএসইতে ৬২৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল। এই হিসেবে লেনদেন গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বুধবার ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৮৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার বা ১৫ শতাংশ। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৫৫৪ কোটি ৩৯ লাখ। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩০৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭১টির, কমেছে ১১৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার দর। সকালে সূচকের ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে প্রধান বাজারের লেনদেন শুরু হয়। শুরুতে সূচকের উর্ধগতি বেশি থাকলেও দিনশেষে কিছুটা কমতে থাকে। শেষ পর্যন্ত সার্বিক সূচক বা ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৩৪২ পয়েন্টে। ডিএসইএস বা শরিয়াহসূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ৪৮ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৩৫ পয়েন্টে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বুধবারে সর্বোচ্চ লেনদেনের দিনে আধিপত্য বিস্তার করেছে জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলো। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির যথারীতি লেনদেনের শীর্ষে ছিল। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ১৭ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১৬ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৮ ভাগ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাতটি। সারাদিনে খাতটির লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৪ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ ভাগ। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হচ্ছেÑ ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ন্যাশনাল ব্যাংক, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি, বেক্সিমকো, ইফাদ অটোস, সাইফ পাওয়ারটেক এবং আরএকে সিরামিকস। সিএসইর দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : প্রিমিয়ার সিমেন্ট, মেঘনা সিমেন্ট, খুলনা প্রিন্টিং এ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড, আর্গন ডেনিমস, আফতাব অটোস, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ ও ঢাকা ডায়িং। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : একটিভ ফাইন, ফাস ফাইন্যান্স, সামাতা লেদার, পিএফআই ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, রিলায়েন্স ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, এনসিসি ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড, আইসিবি ৩য় এনআরবি, ইমাম বাটন, পিএইচপি মিউচুয়াল ফান্ড ১ম এবং এ্যাপেক্স ফুটওয়্যার। এদিকে ঢাকার বাজারের মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার দিনে সিএসইতে মোট ৫৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪০০ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৪৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৯টির, কমেছে ৯৬টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ন্যাশনাল ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বেক্সিমকো, গ্রীন ডেল্টা, মবিল যমুনা বাংলাদেশ, সাইফ পাওয়ার টেক ও মোজাফফর হোসেন স্পিনিং।
×