ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুন্সীগঞ্জে ১০ লাখ পিস নকল ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট ধ্বংস

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১৪ মে ২০১৫

মুন্সীগঞ্জে ১০ লাখ পিস নকল ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট ধ্বংস

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ মুন্সীগঞ্জের একটি ওষুধ কোম্পানিতে অভিযান চালিয়ে নকল ও ভেজাল ১০ লাখ পিসের বেশি ক্যাপসুল ও ট্যাবলেট ধ্বংস করা হয়েছে। সোমবার দেশে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ওষুধ কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ দল এ অভিযান চালায়। বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। পুলিশ বাদী হয়ে গ্লোব ল্যাবরেটরিজ লি.-এর মালিকদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে। অভিযানে জব্দ করা নকল-ভেজাল ক্যাপসুল-ট্যাবলেট ও সংশ্লিষ্ট সামগ্রীর বাজারমূল্য ৭০ লাখ টাকা হবে বলে জানিয়েছে পরিদর্শন দল। অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদীয় কমিটির পরিদর্শন দলের সদস্য ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কেন্দ্রীয় ওষুধ পরীক্ষাগারের ড. এ বি সিদ্দিক, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের উপ-পরিচালক আলতাফ আহমেদ, সংশ্লিষ্ট এলাকার ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মাসুদউদ্দিন ভূইঞা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব দিদারুল আলম। দেশে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ওষুধ কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে এই পরিদর্শন আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান পরিদর্শন দলের সদস্যরা। বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান অধ্যাপক আ ব ম ফারুক জনকণ্ঠকে জানান, দেশে মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদনে ওষুধ কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি কর্তৃক গঠিত বিশেষজ্ঞ দলের অভিযান দ্রুত গতিতে চলেছে। কেশবপুরের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত তিন রাজাকার গ্রেফতার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল নিজস্ব সংবাদদাতা, কেশবপুর, ১৩ মে ॥ মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত কেশবপুরের তিন রাজাকারকে গ্রেফতার করেছে। যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ১১ রাজাকার গ্রেফতারের জন্য মঙ্গলবার রাতে কেশবপুরের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলী বিশ্বাসের ছেলে বিল্লাল হোসেন, চিংড়া গ্রামের মফেজ উদ্দিনের ছেলে ওজিয়ার রহমান ও ভালুকঘর গ্রামের মৃত ইউনুস আলীর ছেলে আকরাম হোসেনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল মঙ্গলবার ১১ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। তাদের মধ্যে গত বছরের ২৯ নবেম্বর মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন ঢাকায় গ্রেফতার হয়। যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-খ) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে ওই রাতেই ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
×