ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

পল্লবীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে কলেজছাত্র নিহত

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ১৫ মে ২০১৫

পল্লবীতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে কলেজছাত্র নিহত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পল্লবীতে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই গ্রুপের সংষর্ষের মধ্যে পড়ে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় তিনজন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর কালশীর রইশেরটেক ও বুড়িরটেক এলাকার মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনার পর সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ জানান, নিহতের নাম আবদুর রহমান চঞ্চল। তার বাবার নাম হারেস আলী। চঞ্চলের আরেক ভাইয়ের নাম সাইফুল ইসলাম আর বোনের নাম হাসিনা বেগম। চঞ্চল মিরপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে মিরপুর সিরামিক ফ্যাক্টরি সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাণিজ্য বিভাগের অনার্সের প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করছিলেন। পড়াশুনার পাশিপাশি তিনি ভাই সাইফুল ইসলামের মিরপুর প ব্লকের ১ নম্বর সড়কের ৫৭৪ নম্বর নিজ বাড়িতে অবস্থিত মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে কর্মরত ছিলেন। সংঘর্ষে একই এলাকার শাহীন উদ্দিন (৩০), রাজীব হোসেন (২৮) ও মোহাম্মদ আলী (২৫) নামে তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোজাম্মেল হোসেন জানান, এদের মধ্যে রাজীবের বাঁ হাত ধারালো অস্ত্রের কোপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অন্যদের শরীরেও আঘাতের ক্ষত রয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ কমিশনার নিসারুল আরিফ বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে চারজন আহত হয়েছিল। তাদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়া হলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আহতরা কে কোন পক্ষের তা তিনি তদন্ত সাপেক্ষে জানাবেন বলে জানান। তবে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উত্তর কালশীর আলীনগর এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় চঞ্চল, রাজীব, শাহীন ও মোহাম্মদ আলী আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চঞ্চলকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তিনি জানান, জমিজমার বিরোধের জের ধরে এ ঘটনাটি ঘটে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দোষীদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। নিহত চঞ্চল হোসেনের ভাইয়ের শ্বশুর সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, সকাল ১১টার দিকে চঞ্চল হোটেল থেকে নাস্তা করে বের হয়। এ সময় চঞ্চল তার বড়ভাই সাইফুলের মোবাইল ফোন মেরামতের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় আকস্মিকভাবে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান। তখন তাকে প্রতিপক্ষ ভেবে একটি গ্রুপ কুপিয়ে জখম করে। প্রথমে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর সোয়া ১টার দিকে তিনি মারা যান। সালাহউদ্দিন আহমেদের দাবি, চঞ্চল কোন গ্রুপের ছিলেন না। কোন পক্ষের সঙ্গে তার কোন সম্পৃক্ততা ছিল না। অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে তিনজন ॥ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদরঘাটে অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ভাইসহ তিন ব্যক্তি আড়াই লাখ টাকা খুইয়েছেন। পরে তাদের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বেলা ২টার দিকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
×