ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব ॥ সাঁথিয়া স্কুলে অচলাবস্থা

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ১৫ মে ২০১৫

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দ্বন্দ্ব ॥ সাঁথিয়া স্কুলে অচলাবস্থা

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ১৪ মে ॥ ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে মারাত্মক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামায়াত নেতার ছেলেকে করণিক ও প্রধান শিক্ষক পদে যোগ্যতাহীন ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগদানের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করায় এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির ৭ সদস্য ও ১৮ শিক্ষক এ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। তারা অবৈধ এ নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় যোগ্যব্যক্তিকে নিয়োগের দাবি জানিয়েছে। জানা গেছে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামায়াত নেতা আবু তালেব প্রামাণিক ৮ মে প্রধান শিক্ষক পদে বিজয় কুমার ও করণিক পদে নিজ ছেলে মাসুমের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই দিন শাহজাদপুর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করলে এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। নেতা কর্মী শূন্য উপজেলায় জামায়াত নেতা ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। শিক্ষক, এলাকাবাসী ও ম্যানেজিং কমিটির ৭ সদস্য অভিযোগ করেছেন, সভাপতি জামায়াত নেতা ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিত্বহীন বিজয় কুমারকে পরীক্ষায় প্রথম করেন। করণিক পদে নিজ ছেলেকেও নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম দেখান। প্রধান শিক্ষক পদে অন্য প্রার্থীরা অভিযোগে করেছেন, বিজয় কুমার নিয়োগ পরীক্ষায় কিছু না লিখলেও তাকে প্রথম করা হয়। পূর্ব থেকে প্রশ্ন দিয়ে ও বাড়ি থেকে উত্তরপত্র লিখে এ দু’জনকে প্রথম করা হয়েছে বলে এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষার শুরুর ২-৩ দিন আগেই সভাপতি বিজয় কুমারে কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে প্রধান শিক্ষক করাসহ নিজ ছেলেকে করণিক পদে নিয়োগ দিচ্ছেন বলে স্থানীয় সংবাদপত্রে সংবাদ বের হয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির ১০ সদস্যের মধ্যে ৭ জন এ অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। উক্ত ২টি পদে ২৩ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় প্রধান শিক্ষক পদে বিজয় কুমার ও করণিক পদে সভাপতির ছেলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ায় এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২টি নিয়োগ পরীক্ষাতেই ডিজি প্রতিনিধি ছিলেন পাবনা সরকারী গার্লস হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক জায়েদুর রহমান ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম আক্তার। এ ব্যাপারে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
×