ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘এবং অশ্বমেধ যজ্ঞ’ নাটকের মঞ্চায়ন কাল

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১৭ মে ২০১৫

‘এবং অশ্বমেধ যজ্ঞ’ নাটকের মঞ্চায়ন কাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মঞ্চস্থ হবে নাট্যধারার ১৫তম প্রযোজনা ‘এবং অশ্বমেধ যজ্ঞ’। রামায়ণের কাহীনি অবলম্বনে এর নাট্যরূপ দিয়েছেন অলোক বসু। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন দেবাশীষ ঘোষ। দল সুত্রে জানা গেছে ওইদিন নাটকটির ২৪তম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন অলোক বসু, বিশ্বজিৎ সরকার, আশরাফুন্নাহার, রফিকুল ইসলাম, সব্যসাচী চঞ্চল, শামীম আরা মুক্তা, তমাল, জুয়েল, মাসুদ পারভেজ প্রমুখ। নাটকের সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন লিটু সাখাওয়াত এবং আলোক পরিকল্পনা করেছেন ঠান্ডু রায়হান। নাটকে তুলে ধরা হয়েছে দূর যুগের সীতা থেকে শুরু করে আধুনিক যুগের নারী, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে তাদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি আগেও যেমন ছিল এখনও তেমনই আছে। সময়ের সঙ্গে সামাজিক নানা পরিবর্তন হলেও তাঁদের প্রতি সমাজের আচরণ বদলায়নি খুব একটা। রামায়ণ অবলম্বনে ‘এবং অশ্বমেধ যজ্ঞ‘ নাটকটি পৌরাণিক চরিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা নারীদের প্রতি পুরুষের অমানবিকতার একটি বাজে দৃষ্টান্তের উপস্থাপন। অমানবিকতার এই দৃষ্টান্ত আধুনিক নারীদেরও স্থাপন করতে হয় প্রতিদিন। তবুও যুগে যুগে সীতারা বিশ্বাস করে, বাঁচার শক্তি খুঁজে নেবে তারা নিজে নিজেই। পৌরাণিক শৃঙ্খল ভাঙ্গা নারী সীতার গল্প নিয়ে নাট্যধারার ১৫তম প্রযোজনা ‘এবং অশ্বমেধ যজ্ঞ’। নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে রাবণ বধ শেষে সীতাকে উদ্ধার করে শ্রী রামচন্দ্র অযোধ্যা ফিরে রাজ সিংহাসনে উপনীত হন। সব আয়োজন যখন পূর্ণ, তখন অযোধ্যার প্রজাদের সন্দেহের পরিপ্রেক্ষিতে শ্রীরামচন্দ্র সীতার কোন মতামত না নিয়েই তাঁকে পাঠান গঙ্গা তীরের তপোবনে নির্বাসনে। প্রজাদের সন্দেহে আস্থা রেখে পতি রামচন্দ্রের এ ভূমিকায় স্ত্রী সীতা লজ্জিত, আহত ও অপমানিত। নিন্দা, অখ্যাতি কিংবা রাজত্বের লোভই রামচন্দ্রের কাছে বড় হলো। স্ত্রী তাঁর কাছে কিছুই না। সব লজ্জার বিপরীতে সীতার তখন একটাই সান্ত¡না, গর্ভে আসা নবসন্তান। ভূমিষ্ঠ হওয়া দুই সন্তান লব ও কুশকে ঘিরেই তাঁর যাপিত জীবন। লঙ্কাপতি রাবণ এবং লঙ্কাবাসী প্রজাকে বধ করার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্য কুলগুরু বশিষ্টের নির্দেশে রামচন্দ্র করে অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন। অযোধ্যা রাজ্যের পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর দিক অশ্বের অধীনে এলেও দক্ষিণে গিয়ে লব কুশের হাতে অশ্ব হয় বন্দী। অশ্বকে ছাড়াতে গিয়ে একে একে প্রাণ হারায় ভ্রাতা লক্ষ্মণ, শত্রুঘœ, ভরত এবং অবশেষে শ্রী রামচন্দ্র। একসময় সীতার ওপর শ্রী রামচন্দ্রের অন্যায় আরোপিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামীর মুমূর্ষু বেলায় ঋষি বাল্মীকির আধ্যাত্মিক শক্তির জোরে দেবর-স্বামীকে সীতা করে তোলেন সুস্থ। সুস্থ-স্বাভাবিক শ্রী রামচন্দ্র যদি আবার সীতার ওপর অবিচার করেন, তবুও তাতে ভীত নন সীতা। সীতা বিশ্বাস করে, বাঁচার শক্তি খুঁজে নেবে সীতা নিজে নিজেই।
×