ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মিসরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যুদণ্ড

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৭ মে ২০১৫

মিসরে ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট মুরসির মৃত্যুদণ্ড

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ সামরিক বাহিনীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে মৃত্যুদ-াদেশ দিয়েছে দেশটির এক আদালত। ২০১১ সালে জেল ভাঙ্গা মামলায় শনিবার আদালত এই রায় দেয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়, জেল ভাঙ্গার সময় কারারক্ষী ও সেনা সদস্যদের হত্যা করেন মুরসি এবং তার সঙ্গীরা। তবে রায়কে প্রত্যাখ্যান করেন মুরসি। আর মুসলিম ব্রাদারহুড এ রায়কে প্রহসন বলে অভিহিত করেছে। খবর বিবিসি, এএফপি ও আলজাজিরা অনলাইনের। মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনৈতিক শাখা ফ্রিডম এ্যান্ড জাস্টিজ পার্টির এই নেতা মিসরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ইতোমধ্যে অপর এক মামলায় ২০ বছর সাজা ভোগ করছেন ৬৩ বছর বয়সী মুরসি। ফাঁসি কার্যকরের আগে আদালতের এই রায় মিসরের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ গ্রান্ড মুফতি বরাবর পাঠানো হবে। তবে গ্রান্ড মুফতি মুরসির ফাঁসি বহাল রাখলেও পরবর্তীতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপীল করা যাবে। আগামী ২ জুন আদালত এই মামলার চূড়ান্ত রায় দেবে। আদালত যদি চূড়ান্ত রায়ে মুরসির মৃত্যুদ- বহাল রাখে তবে মিসরের ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফাঁসিতে ঝুলবেন তিনি। শনিবার আদালতে শুনানি চলাকালে মুরসিকে জোরপূর্বক একটি শব্দ নিরোধক কাঁচঘেরা কক্ষে বসানো হয়। এ সময় নীল রঙা ইউনিফর্ম পরা ছিলেন মুরসি। তবে মুরসিপন্থীরা এই মামলাকে স্রেফ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে। রায়ের পর মুরসি সরকারের সাবেকমন্ত্রী আমর দারাগ এক বিবৃতিতে বলেন, এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক রায়। আজকের (শনিবার) দিনটি মিসরের ইতিহাসে সবচেয়ে অন্ধকারময় দিনের একটি। এই রায়ে মিসরের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে চিরতরে মুছে ফেলার প্রক্রিয়ার অংশ। ওদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এই রায়ের নিন্দা জানিয়েছে। নিন্দায় এরদোগান বলেছেন, মিসর আবার প্রাচীনযুগে ফিরে যাচ্ছে। আর এই রায়কে বিরোধী পক্ষকে শেষ করার হাতিয়ার বলেছে এ্যামনেস্টি।
×