স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত দ-প্রাপ্ত রাজাকার শিরোমণি মরহুম গোলাম আযমের স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা দেয়ায় আইন ভঙ্গ হয়েছে মর্মে দোষীদের বিরুদ্ধে যে প্রতিবেদন দেয়ার কথা ছিল রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে তা দাখিল করা হয়েছে। সিভিল এ্যাভিয়েশনের (বেবিচক) চেয়ারম্যান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব দেলেনা বেগমের পক্ষে তাদের আইনজীবী প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। প্রতিবেদনের দেলেনা বেগম নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে ২০ মে বুধবার। বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মোঃ সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ প্রদান করেছে।
ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, সাবেক অতিরিক্ত সচিব দেলেনা বেগম আইনজীবীর মাধ্যমে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানের পক্ষে তার আইনজীবী প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আদালত বুধবার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেছে। উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল গোলাম আযমের স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি মর্যাদা দেয়ায় আইন ভঙ্গ হয়েছে মর্মে দোষীদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না জানতে চেয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট। রুলে আরও বলা হয়েছে, তাদেরকে কিভাবে ভিআইপি মর্যাদা দেয়া হলো, কেন দেয়া হলো। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা তা বিমানের সিভিল এ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যানকে এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, চেয়ারম্যান সিভিল এ্যাভিয়েশন, উত্তরা জোনের ডিসি, বিমানবন্দর থানার ওসি, বিমানবন্দর পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন জাকির হোসেন, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা ইফতেখার জাহান ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব দেলেনা বেগমকে জবাব দিতে বলা হয়।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: