ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দিনরাত

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৯ মে ২০১৫

ঢাকার দিনরাত

ঢাকা বা অন্য কোন শহরে নয়, চমৎকারভাবে বৃষ্টি উপভোগ করা যায় শুধু গ্রামেই। অবশ্য গ্রাম আর নেই সেই আগের গ্রাম, বাঁধানো ছবির মতো অপরূপ। তবু এখনও গ্রামে আছে সবুজ প্রান্তর, ধানক্ষেত, গাছগাছালির সমাবেশ, এমনকি ভাগ্যবতী অনেক গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিরতিরে নদী। প্রায় রুদ্ধস্রোতের, কিংবা বিগতযৌবনা যাই হোক না কেন, তবু তো নদী। তাই বলে কি রাজধানীর বৃষ্টি একেবারেই উপভোগ্য নয়! অবশ্য এটা নির্ভর করে ব্যক্তির অবস্থানের ওপর। ঘরে না বাইরে, রাজপথে নাকি রিকশা বা কোন যানবাহনের ভেতর আপনার অবস্থান। এতসব কথা বলতে হচ্ছে জ্যৈষ্ঠ মাসের প্রথম দিনই বিকেলের দিকে চারদিক অন্ধকার করে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমে আসায়। আষাঢ়ের প্রথম দিন হলে না হয় বিষয়টা মানিয়ে যেত। কাব্যও করা যেত। এবার কি তাহলে আগাম বর্ষা নেমে এলো! তার আগের দু’দিন সকালে, যেন ঘড়ি ধরে, বৃষ্টি হয়েছে ঢাকার অনেক এলাকায়। প্রতিদিনই আকাশ মেঘলা করে আসছে। মনে হচ্ছে বর্ষাকাল চলছে এখন। ভারি বৃষ্টিতে রাজধানী?র বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়া এখন অতি সাধারণ নিয়মে পরিণত হয়েছে। একটু ভারি বৃষ্টি হলেই ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। আগের দু’দিনের তীব্র গরমের পর শুক্রবারের বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তির আভাস দিলেও জলাবদ্ধতা নগরবাসীকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে। বহু জায়গায় হাঁটু পানির ভেতর দুর্ভোগ সাথী করে নগরবাসীকে পথ চলতে হয়েছে। আবার কোথাও বা ছিল কোমর সমান পানি। আর বৃষ্টি হলেই নিজস্ব গাড়ি নেই এমন মানুষের গন্তব্যস্থলে পৌঁছনো ভীষণ সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় যানবাহনের স্বল্পতায়। গুলশান-বনানী রাজধানীর অভিজাত এলাকা। এসব এলাকার ছোট ছোট সড়ক তো বটেই অনেক জায়গায় প্রধান রাস্তার দু’পাশেও বেশ পানি জমে যায়। দেশসেরা দামী এলাকা বলে আর তৃপ্তি লাভের কোন অবস্থা থাকে না বৃষ্টিতে বনানী-গুলশানবাসীদের। বাড্ডা-বাসাবো আর বনানী-বারিধারা শুক্রবারের বারিধারায় যেন দূরত্ব ঘুচিয়ে একই দশায় পতিত হয়। এক বেলার বৃষ্টিতে ঢাকার যে দুরবস্থা দেখলাম তাতে শঙ্কিত হতে হয় বর্ষাকালে কী হবে তা ভেবে। উন্মুক্ত আধার ঢাকার সড়কগুলোর পাশে যেসব দোকানপাট গড়ে উঠেছে সেসব দোকানের দোকানিদের তাদের সামনের রাস্তাকে ডাস্টবিন জ্ঞান করার এক অদ্ভুত মানসিকতার পরিচয় আমরা বার বার পেয়ে আসছি। রাস্তার পাশে নয়, একেবারে মাঝখানে সিটি করপোরেশনের মুখ খোলা কন্টেইনার রাখার কথা এর আগে আমরা একবার বলেছি। সেখান থেকে চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পচে যাওয়া ও পচনশীল দ্রব্যের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণের কথা নয়, আজ বলতে হচ্ছে অসুন্দর সৃষ্টিকারী আবর্জনার কথা। বাংলামোটর মোড়ে টাইলসের সারি সারি দোকান। সেখানে বাথরুম ফিটিংসও বিকোয়। কমোড বা এ জাতীয় কিছু না কিছু ভেঙে যায় অসতর্কতায়। সেসব ফেলার জন্য কি বেছে নিতে হবে রাস্তার মাঝখানটাকে কিংবা এক চিলতে সড়ক বিভাজক? এতে যে শুধু পথচারীদের চলাচলে বা রাস্তা পারাপারে বিঘœ ঘটে তা তো নয়, দেখতেও কী বাজেই না লাগে। কেবল দোকানদাররা নয়, পথচলতি মানুষের ভেতরেও যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার প্রবণতা রয়েছে। আর বাসের ভেতরও পরিলক্ষিত হয় অবাক মানসিকতা। বাদামের ঠোঙা, টিস্যু অথবা বাতিল কলম বা কাগজ, কিংবা পরিত্যাজ্য কোন বস্তু বাসের জানালা গলিয়ে রাস্তার ওপরে ফেলে থাকে যাত্রীরা। বাসের ভেতরেই সেসব ফেলে দেয়া হলে রাতে বাসের ট্রিপ বন্ধ করে ঝাড়ু দেয়ার সময় সেসব আবর্জনা এক জায়গায় ফেলার সুযোগ থাকে। কিন্তু মানুষ এক অজ্ঞাত কারণে রাস্তাটাকেই বাতিল বস্তুর বিশাল উন্মুক্ত আধার মনে করে। সত্যি বলতে কি মহানগরীর বেশিরভাগ মানুষই এখন পর্যন্ত নাগরিক সভ্য হয়ে ওঠেনি। নগরীর রীতিনীতি সভ্যতা-ভব্যতা থেকে তাদের অবস্থান বহু দূরে। খনার অর্ধশতক কৃষিভিত্তিক সমাজে বিদূষী খনার বচন ছিল উপকারী পাথেয়। এখনও গ্রামীণ সমাজে খনার বচন শোনা যায়। যদিও খনার ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে আমাদের জানার বিশেষ আগ্রহ নেই। খনার বিদ্যা, যশ ও খ্যাতি সহ্য করতে পারেনি পুরুষতান্ত্রিকতা। তার জিহ্বা কর্তনের মধ্য দিয়ে তাকে দমন করা হয়। খনার জীবন নিয়ে ঢাকার নাট্যদল বটতলা ‘খনা’ নামে নাটকের মঞ্চায়ন শুরু করে পাঁচ বছর আগে। এর নাট্যকার সামিনা লুৎফা নিত্রা খনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন। গত সপ্তাহে নাটকটির ৫০তম প্রদর্শনী দলটির জন্য উৎসবের উপলক্ষ বয়ে এনেছিল। নাটক শেষে তরুণ-প্রবীণ ক’জন নারী নাট্যকর্মী/ নাট্যনির্দেশককে মঞ্চে ডেকে এনে সম্মানিত করা হয়। মঞ্চনাটকের ভাষা ও রীতি বটতলার খনায় দর্শনীয়ভাবেই প্রতিফলিত। পোশাক নির্বাচন, সঙ্গীত যোজনা এবং আলোক প্রক্ষেপণ, এমনকি অভিনয়- সবদিক দিয়েই চিন্তা ও সৃষ্টিশীলতার পরিচয় পাওয়া গেছে। দর্শকরা নাটকটিকে একটি উপভোগ্য, দর্শনযোগ্য উত্তম প্রযোজনা হিসেবেই গ্রহণ করেছে বলে প্রতীয়মান হলো। আশা করি এর শততম মঞ্চায়ন সম্পন্ন হতে পাঁচ বছর নাও লাগতে পারে। নাটকটির নির্দেশক মোহাম্মদ আলী হায়দার। আলোচিত বিষয় গত সপ্তাহে রাজধানীর একটি স্কুলে এক শিশু শিক্ষার্থীর সঙ্গে গর্হিত যৌন আচরণের জের অনেকদূর গড়িয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল একজনের মন্তব্য ক্ষুব্ধ করে অনেককে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচিত হয়। ফেসবুক থেকে একটি পোস্ট আংশিক তুলে দিচ্ছি। সালমা লুনা লিখেছেন- আমি নিজে গিয়েছিলাম মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। কথা বলেছি প্রায় ২৫-৩০ জন অভিভাবকের সঙ্গে। স্কুলে গিয়ে শুনেছি ... ১. মেয়েদের স্কুলে পুরুষ কর্মচারী অনেক। তাছাড়াও আছে নির্মাণ শ্রমিক। যারা যখন-তখন যত্রতত্র যেতে পারে, যায়ও। ২. স্কুলটির ভেতরে আছে কর্মচারীদের জন্য থাকার জায়গা। যেখানে তারা নাকি বংশ পরম্পরায় থাকে এবং এখানেই চাকরি পায় এবং করে। ৩. স্কুলের ভেতরে আছে একটি ক্যান্টিন যার সকল কর্মচারী পুরুষ। ৪. মেয়েদের ওয়াশরুমের সামনে সর্বদা আয়া থাকে না এবং সব দরজার ছিটকিনি বা লক ঠিক নেই। এতে করে যে কেউ চাইলেই ঢুকে পড়তে পারে এবং পড়েও। ৫. অতীতে দু’জন পুরুষ শিক্ষক বড় ক্লাসের মেয়েদের সঙ্গে উল্টাপাল্টা আচরণ করায় তাকে বালক শাখায় ট্রান্সফার করা হয়েছে। ৬. এই স্কুলের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক নাকি ‘টিসি আতঙ্ক!’ যে কোন অভিযোগ বা অনিয়মের কথা বললেই তাকে ভয় দেখানো হয় এক্ষুনি টিসি দেয়া হবে। ঘটনার বিষয়ে যা শুনেছি... ক্লাস ওয়ানের বাচ্চাটির সঙ্গে ঘটনা ঘটেছে ৫ তারিখ। যা জানাজানি হয় তিন চারদিন পরে। এবং জানাজানি হওয়ার পর যে স্পেসিফিক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সে অকস্মাৎ ছুটি নেয় তার দেশ ভারতে যাবে বলে। অভিভাবকরা যখন কর্তৃপক্ষকে বিশ্বাস করাতে ব্যস্ত যে সত্যিই তাদের বাচ্চার সঙ্গে কিছু একটা হয়েছে যা স্বাভাবিক নয়, ইত্যবসরে অপরাধী পগার পার তাও আবার ছুটি নিয়ে! জানাজানি হওয়ার পর টিভিতে অধ্যক্ষ ক্ষমা চেয়েছেন অপরাধীর পক্ষ হয়ে। উপাধ্যক্ষ বলেছেন, মধু ছড়ালে মৌমাছি আসবেই। আবার সঙ্গে সঙ্গে অস্বীকারও করেছেন কিছুই ঘটেনি, এমনকি টিসিও দিতে চেয়েছেন মেয়েটিকে। ধমক হুমকি ভয়ভীতি সবই দেখিয়েছেন। এসব কিছু মিলিয়েই অভিভাবকরা ফুঁসছিলেন দুপুর ১টা পর্যন্ত। এরপরে আমি চলে আসি। পরে যা হলো আমি লোকমুখে শুনেছি এবং পত্রিকা এবং ফেসবুক থেকে জেনেছি। স্কুলের বাইরে যে অবস্থা দেখেছি তাতে আমি একজন মা, নারী হিসেবে স্বস্তি পাইনি। বহিরাগত কিশোর তরুণরা দাঁড়িয়েছিল। তারা ছুটির পরে বের হওয়া মেয়েদের লক্ষ্য করে যেসব অশ্লীল বাক্য ছুড়ে দিচ্ছিল তাতে কানে হাত চাপা দিতে হয়।... রাতের ঘুম ও বাসের জানালা ফুটপাথের গল্পের কোন শেষ নেই, প্রতিদিনই সে রচনা করে চলেছে আনন্দবেদনা সংগ্রাম ও বঞ্চনার কাব্য। ব্যস্ত মহানগরবাসীর সময় কোথায় এসব দেখার। আবার চোখ পড়লেও এড়িয়ে যেতে সে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। ফুটপাথ যদি সবাক হতে পারত তাহলে তার সে কথকতায় নিশ্চয়ই মানুষের শ্রুতি বধির হয়ে যেত। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবার রাত এগারোটার চিত্র: সায়েন্স ল্যাবমুখো গাড়ির ভিড় অনেক পাতলা হয়ে এসেছে। ফুটপাথেও পথচারী তেমন নেই। পিজি হাসপাতালের উল্টোদিকের ফুটপাথে রাতের ঘুম ঘুমোচ্ছেন এক মধ্যবয়সী শ্মশ্রƒধারী ব্যক্তি। না কিছু বিছিয়ে নেননি রাত্রিবাসের জন্য, শক্ত পেভমেন্টই তার শয্যা, মাথার নিচে একটি হাত বালিশ হয়েছে। চট করে আকাশের দিকে তাকালাম। সন্ধ্যাবেলা মুখ ভার দেখেছি মেঘের। বৃষ্টি এলে লোকটির ঘুম ভেঙে যাবে, তখন খোলা আকাশের নিচে আর থাকা যাবে না। মাথার ওপরে ছাদ খুঁজতে হবে। কে জানে পিজির নিচে ওষুধের দোকানগুলোর সামনে হয়ত শোবার বন্দোবস্ত করতে হবে। এখনও সেখানে বেশকিছু দোকান খোলা রয়েছে, মানুষের আনগোনাও আছে। সে কারণেই কি সেখানে না শুয়ে আপাতত লোকটি তার ক্লান্ত দেহ বিছিয়ে দিয়েছেন এখানে? ঢাকায় বস্তিবাসীর সংখ্যাও তো বেড়েছে। ফুটপাথে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিবাসকারী মানুষের সংখ্যা কি কমেছে? একসঙ্গে এক পরিবারের কয়েকজন মিলে ফুটপাথে থাকা আর একাকী নিঃসঙ্গ একজনের ফুটপাথে থাকার মধ্যে কতই না ব্যবধান। পরিবারহীন বা পরিবারত্যাগী ভাসমান ব্যক্তির জীবনের দিকে ফিরে তাকানোর সময় কোথায় এই ব্যস্ত রাজধানীর। তবু তার পাষাণ বুকে ঠাঁই নিচ্ছে কতই না ভাগ্যহীন জীবন! ঠিক ওই সময়টায় এয়ারপোর্টগামী একগাদা লোকাল বাসের একটি জানালায় তৈরি হলো নাট্যমুহূর্ত। এমন নাটকও ঢাকার বুকে কতই না রচিত হয়ে চলেছে। বাসের জানালার ঘটনা বহু পুরনো। এ বিষয়ে বাসযাত্রীরা কমবেশি ওয়াকেবহাল। তবু একই নাটক ঢাকার কোথাও না কোথাও কোন না কোন বাসে দিনে বা রাতে ঘটে চলেছে। মুহূর্তের ব্যাপার মাত্র! মোবাইল ফোনে কথা বলছিলেন এক যাত্রী, স্বভাবতই অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে আলাপচারিতায় মগ্ন, অন্যদিকে তখন খেয়াল নেই। ফোনটা ছিল জানালার পাশের হাতটির মুঠোয়। জানালার ওপাশ থেকে এক তরুণ এসে হাত বাড়িয়ে আলগোছেই যেন বা মোবাইল সেটটা নিজের কব্জায় নিয়ে নিলেন, তারপর রাস্তা পেরুনোর জন্য দৌড়। তার হিসেবে ভুল ছিল। সড়ক বিভাজকের সঙ্গে কাঁটাতার যুক্ত হয়েছে বারডেম হাসপাতালের সামনে সেটা কি তার খেয়াল ছিল না! রাস্তা পেরুতে পারলেন না সেই তরুণটি, তাকে এখন ছিনতাইকারী নামেই ডাকা চলে। বাধা পেয়ে এবার বাসের সামনে দিয়ে দৌড় দিলেন। ইতোমধ্যে ওই বাসটির ভেতর থেকে লোকজন ধর ধর বলতে শুরু করে দিয়েছে। ছিনতাইকারীর হাতে মোবাইল ফোনের আলো তখনও নেভেনি। স্মার্টফোনের পর্দা কি একটু বেশিই উজ্জ্বল লাগল রাতের বেলা? আমাদের ভেতর বেশিরভাগ লোক নিশ্চয়ই চাইবেন ছিনতাইকারী ধরা পড়ুক। কিন্তু কোন মানুষ তো চাইতেও পারে তরুণটি পালাতে সক্ষম হোক? তবে শেষ পর্যন্ত মেজরিটিরই জয় হয়, কে না জানে। হিরঞ্চি শব্দটা কানে এলো। নেশাদ্রব্য হেরোইনসেবীদের ওই নামে সম্বোধন করা হয়। হতেও পারে ওই ছিনতাইকারী নেশা করার টাকা যোগাড়ের জন্য সহজ কৌশল হিসেবে এই কাজ বেছে নিয়েছে। আবার আমাদের মধ্যে কেউ ভাবতেই পারেন ওই ছেলেটির ঘরে কেউ না কেউ অপেক্ষায় আছে, টাকার যোগাড় হলেই তা দিয়ে খাদ্যদ্রব্য কেনা হবে, চুলো জ্বলবে। যা হোক, শেষ পর্যন্ত পালাতে পারেনি ছিনতাইকারী, ধরা পড়েছে। আর আমরা তো জানিই এসব ক্ষেত্রে কী কী ঘটে থাকে। তার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে গেছে, বেশ নির্দয় তৎপর পর্ব। ছেলেটির শরীরে লাথি আর বক্সিং প্রাকটিস করার আগ্রহী লোকের একদমই অভাব ঘটছে না। এরা অন্যায় একদম বরদাশত করতে পারে না কিনা, তাই। এরা সব ধোয়া তুলসী পাতা। রাজধানী ঢাকার রাজপথ কত নির্মম ও কৌতুককর ঘটনারই না নীরব প্রত্যক্ষদর্শী! ১৮ মে ২০১৫ [email protected]
×