রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সিনেটের ২১তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ অধিবেশন শুরু হয়। প্রায় ১৪ বছর পরে অনুষ্ঠিত এ সিনেট অধিবেশনে কর্মকর্তাদের চাকরির বয়স বাড়ানো ও একটি নতুন ইনস্টিটিউটের অনুমোদনসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিনের সভাপতিত্বে সিনেটের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে রীতি অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক আচার্য ও রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানসহ ২০০১-১৫ সাল পর্যন্ত দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় এবং তাদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সিনেটর ও আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশে অভিভাষণ প্রদান করেন।
প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন তার অভিভাষণে বলেন, সর্বকালের অন্যতম বিচিত্র প্রতিভা লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি আকাক্সক্ষাবিহীন শিক্ষাগ্রহণকে অকার্যকর বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, একুশ শতকের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আকাক্সক্ষা কিংবা চাহিদা ও প্রতিযোগিতামূলক একাডেমিক বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়। এরই উপর ভিত্তি করে সেই বিষয়, বিভাগ, স্কুল, ডিসিপ্লিন সংযোজন, একত্রীকরণ কিংবা বিয়োজন করা হয়ে থাকে। সেই চাহিদার কথা বিবেচনা করেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আগামীতে আরও ১৩টি বিভাগ ও একটি ইনস্টিটিউট খোলার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে শিক্ষাসহ সব ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সপ্রশংস উন্নয়ন সাধিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধারা লক্ষণীয়।
অভিভাষণে ২০০১ সালের সিনেট অধিবেশন থেকে ২০১৫ সালের সিনেট অধিবেশন পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সংক্ষিপ্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। রাবির জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক প্রফেসর ইলিয়াছ হোসেন জানান, সিনেট সভায় ২০১৪-১৫ সালের ২৭০ কোটি ৮০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট এবং ২৯৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার ২০১৫-১৬ সালের মূল বাজেট প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
সভায় ৫৩ জন সিনেটর উপস্থিত ছিলেন। সভাটি সঞ্চালন করেন সিনেটের সচিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হক।