ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এফবিসিসিআইয়ের নতুন নেতৃত্বের নির্বাচন আজ

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৩ মে ২০১৫

এফবিসিসিআইয়ের নতুন  নেতৃত্বের নির্বাচন আজ

কাওসার রহমান ॥ আজ শনিবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) নির্বাচন। শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সমৃদ্ধ অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যবসায়ীরা আজ তাদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় তারা মেতে উঠবেন নির্বাচনী উৎসবে। ইতোমধ্যে ভোটগ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। কোন প্রকার বিরতি ছাড়াই চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এফবিসিসিসিআইয়ের ২০১৫-১৭ দ্বিবার্ষিক পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাল্টে গেছে দেশের ব্যবসায়ী অঙ্গনের দৃশ্যপট। ব্যবসায়ী কার্যালয়গুলো এতোদিন ছিল নির্বাচনী প্রচারের আমেজে সরগরম। প্রার্থীরা সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁ ও কমিউনিটি সেন্টারে চালিয়েছে প্রচারণা। আজ ভোটের মধ্যদিয়ে সেই নির্বাচনী আমেজের সমাপ্তি ঘটবে। প্রার্থীরাও নিজেরাও এতোদিন নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য রেখে নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেল ও প্রার্থীরা ভোটারদের সমর্থন পেতে তুমুল জনসংযোগ করছেন। রাজধানীর তারকা হোটেল-ক্লাবগুলোতেও বিরাজ করেছে উৎসবের আমেজ। বিভিন্ন পার্টির নামে চালানো হয়েছে প্রচার। অনেক প্রার্থী সমর্থন আদায়ে সরকারের শীর্ষপর্যায়ে দৌড়ঝাঁপ করেছেন। শেষ পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে কোন প্রার্থীকেই গ্রীন সিগন্যাল দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে। বলা হয়েছে, যে পাস করে আসবে তাকেই সরকার সমর্থন দেবে। তবে সরকারের আনুকূল্যের বিষয়টি বোঝা যাবে ভোটের পর। কারণ ভোটের পর নির্বাচিত ও মনোনীত পরিচালকরা মিলে একজন সভাপতি, একজন সিনিয়র সহ-সভাপতি ও একজন সভাপতি নির্বাচন করবেন। এক্ষেত্রে সভাপতি পদে সরকার কাউকে সমর্থন দেবেন নাকি পরিচালকরাই স্বাধীনভাবে ভোট দিয়ে সভাপতি নির্বাচন করবেন সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। তবে পরিচালকরা স্বাধীনভাবে সভাপতি নির্বাচিত করতে গেলে কে সভাপতি নির্বাচিত হবেন তা নির্ভর করবে কোন প্যানেল ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় তার ওপর। এবারের নির্বাচনে তিনটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। প্যানেলগুলো হলোÑনিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন পরিষদ, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসাইন, ড. কাজী এরতেজা হাসান ও শাফকাত হায়দারের নেতৃত্বে ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ (এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ) এবং বর্তমান সিনিয়র সহসভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ (চেম্বার গ্রুপ)। প্রতিটি প্যানেলে রয়েছে নতুনদের আধিপত্য। নতুনদের ইমেজকে কাজে লাগিয়ে প্যানেলগুলো জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ প্রকাশ করছেন। তবে এক্ষেত্রে মাতলুব আহমাদের নেতৃত্বাধীন উন্নয়ন পরিষদই পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে সমর্থ হয়েছে। মনোয়ারা হাকিম আলী ও সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আংশিক প্যানেল দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ভোটের মাঠে এই দুটি প্যানেল ঐকব্যদ্ধ হয়ে কাজ করতে পারে। যদি তাই হয়, তাহলে তা উন্নয়ন পরিষদের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াবে। এ প্রসঙ্গে উন্নয়ন পরিষদের প্যানেল লিডার আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, ব্যবসায়ীদের কোন ক্ষতি হলে ঝাঁপিয়ে পড়ব। তিনি বলেন, ‘এ প্যানেল নির্বাচিত হলে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ব্যাংকঋণ সিঙ্গেল ডিজিট করা ও দুর্নীতিমুক্ত এফবিসিসিআই গড়াসহ গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করব।’ নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বলেছেন। আর আমরা নির্বাচিত হলে ঘরে ঘরে ব্যবসায়ী তৈরি করব।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় শিল্পনগরী গড়ে তোলা এবং সবুজ শিল্পায়নের সূচনা করব। প্রতিটি চেম্বারের অধীনে ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের ক্ষমতা নিয়ে আসব। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করব। জেলা চেম্বারে নিজস্ব ভবন প্রতিষ্ঠা ও পুরাতন ভবন সংস্কার, আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সম্পন্ন করে গড়ে তোলা হবে। একটি কার্যকরী গবেষণা সেল তৈরি করব।’ অপরদিকে, নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদের ইশতেহার ঘোষণা বরকে গিয়ে পরিষদের প্যানেল লিডার ও এফবিসিসিআই বর্তমান প্রথমসহ সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পন্ন ও যুগোপযোগী এফবিসিসিআই গড়ার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ গড়ার লক্ষ্যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন করতে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা, তথ্য প্রযুক্তি সম্পন্ন এফবিসিসিআই প্রতিষ্ঠা করা, চেম্বারগুলোর আর্থিক উন্নয়ন ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অর্জনে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো, সদস্যপদ বাধ্যতামূলককরণ, ট্রেনিংসহ সব বিষয়ে সক্ষমতা অর্জন সহায়তা, চেম্বারগুলোর অবকাঠামো বিনির্মাণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) সেক্টরের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্পায়নের জন্য জেলা চেম্বারগুলোকে সম্পৃক্তকরণ, এফবিসিসিআইর পরিচালকসহ সব পদে সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এফবিসিসিআই সচিবালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সেবার মান উন্নয়ন, ব্যাংক সুদের হার কমানোর দাবি বাস্তবায়ন (সুদের হার কমিয়ে ৯ শতাংশ) করা হবে। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ নির্বাচিত হলে ইশতেহার বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করব। স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ শুধু ভোটাদের ভোটের অধিকার রক্ষার জন্য সৃষ্টি হয়েছে।’ ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুন। আপনাদের ভোট আপনারা দিবেন, যাকে খুশি তাকে দিবেন। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি কাজে বিশ্বাস করি। আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে বিভিন্ন জেলা চেম্বারগুলোতে যে কাজ শুরু হয়েছে তা অব্যাহত রাখার সুযোগ দিন। তবে নির্বাচিত না হলেও আপনাদের পাশে (ব্যবসায়ীদের) থেকে কাজ করব, সহযোগিতা করব।’ উন্নয়ন পরিষদে প্যানেল পরিচিতি ॥ উন্নয়ন পরিষদের ১৬ সদস্যবিশিষ্ট এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপে আছেন- এফবিসিসিআইয়ের বর্তমান সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির আবদুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ প্লাস্টিক প্যাকেজিং এ্যাসোসিয়েশনের আবু মোতালেব, পেপার ইমপোর্ট এ্যাসোসিয়েশনের মোঃ সফিকুল ইসলাম ভরসা, ফার্নিচার এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের কে এম আকতারুজ্জামান, গ্রে এ্যান্ড ফিনিসড ফেব্রিক্স মিলস এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশনের হারুন-অর-রশিদ, প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ এ্যাসোসিয়েশনের রাব্বানি জব্বার, ইলেকট্রিক মার্চেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের এনায়েত হোসেন চৌধুরী, রিকন্ডিশনড ভেহিক্যাল ইমপোর্ট এ্যান্ড ডিলারস এ্যাসোসিয়েশনের মোঃ হাবিব উল্ল্যাহ ডন, জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এ্যাসোসিয়েশনের শোয়েব চৌধুরী, আউটসোর্স এ্যান্ড লজিস্টিক সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের আবু নাসের, বাংলাদেশ কোল্ডস্টোরেজ এ্যাসোসিয়েশনের মুনতাকিম আশরাফ, নিজাম উদ্দিন রাজেশ, বেসিসের সভাপতি শামীম আহসান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন ও আমিন হেলালী। চেম্বার গ্রুপে ১৬ প্রার্থী হলেন- বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের হাসিনা নেওয়াজ, মেহেরপুর চেম্বারের নাগিবুল ইসলাম দিপু, ফরিদপুর চেম্বারের মাহবুবুর রহমান খান, গোপালগঞ্জ চেম্বারের শেখ ফজলে ফাহিম, কিশোরগঞ্জ চেম্বারের গাজী গোলাম আসরিয়া, চুয়াডাঙ্গা চেম্বারের দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, কক্সবাজার চেম্বারের হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, বরিশাল চেম্বারের নিজাম উদ্দিন, গাইবান্ধা চেম্বারের আবুল খায়ের মুরসালিন পারভেজ, সুনামগঞ্জ চেম্বারের নুরুল হুদা মুকুট, নারায়ণগঞ্জ চেম্বারের বজলুর রহমান, ময়মনসিংহ চেম্বারের আমিনুল হক শামীম, নরসিংদী চেম্বারের প্রবীর কুমার সাহা, ফেনী চেম্বারের এ কে এম সাহিদ রেজা, জামালপুর চেম্বারের রেজাউল করিম রেজনু ও গাজীপুর চেম্বারের আনোয়ার সাদাত সরকার। স্বাধীনতা পরিষদের প্যানেল পরিচিতি ॥ এফবিসিসিআই’র প্রথম সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলীর নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা পরিষদ চেম্বার গ্রুপ থেকে ১৬ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করেছে। প্রার্থীরা হলেন- দেওয়ান সুলতান আহমেদ, সাতক্ষীরা চেম্বারের আাবুল কাসেম আহমেদ, কুষ্টিয়া চেম্বারের বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, মুন্সীগঞ্জ চেম্বারের মোহাম্মদ কোহিনুর ইসলাম, মানিকগঞ্জ চেম্বারের আবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান টিটু, শেরপুর চেম্বারের মোহাম্মদ মাসুদ, সিলেট মেট্রোপলিটন চেম্বারের হাসিন আহমেদ, জয়পুরহাট চেম্বারের মোহাম্মদ আমিনুল বারী, নড়াইল চেম্বারের মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান, কুমিল্লা চেম্বারের মাসুদ পারভেজ খান (ইমরান), ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের তানজিল আহমেদ, নেত্রকোনা চেম্বারের হূমায়ুন রশীদ খান পাঠান, নীলফামারী চেম্বারের মোহাম্মদ আবুল ওয়াহেদ সরকার, বরিশাল উইমেন চেম্বারের আঞ্জুমান সালাউদ্দিন ও রাঙ্গামাটি চেম্বারের রেজা শাহ ফারুক। ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের প্যানেল পরিচিতি ॥ নির্বাচনে ‘উন্নয়ন পরিষদ’ ও ‘স্বাধীনতা ব্যবসায়ী পরিষদ’ ব্যানারে দুটি প্যানেল ঘোষিত হওয়ার পর ‘ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ’ নামে আরেকটি প্যানেল আত্মপ্রকাশ করে। শুধু এ্যাসোসিয়েশন ক্যাটাগরিতে পরিচালক পদে এ প্যানেল থেকে প্রর্থীদের নাম দেয়া হয়েছে। প্যানেলটিতে প্রচলিত রীতি ভেঙে একজনের বদলে তিনজনকে প্যানেল নেতা নির্বাচন করা হয়েছে। এরা হলেন- বর্তমান পরিচালক এবং বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের প্রতিনিধি শাফকাত হায়দার, বাংলাদেশে ইনডেন্টিং এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসাইন এবং বাংলাদেশে কংক্রিট প্রোডাক্ট এ্যান্ড ব্লক ম্যানু. এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি ড. কাজী এরতেজা হাসান। এ প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন- ফোর স্ট্রোক সিএনজি এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধি খন্দকার রুহুল আমিন, বাংলাদেশ স্টিল মিল ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বাবুল, ট্যুরিজম ডেভেলপার্স এ্যাসোসিয়েশনের জামিউল আহম্মেদ, বাংলাদেশ স্মল এ্যান্ড মিডিয়াম ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের আলি জামান, বাংলাদেশ বুটিক হাউজ ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ, বাংলাদেশ অটো স্পেয়ার পার্টস মার্চেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের আবুল আয়েস খান, বাংলাদেশ ফুটওয়্যার এ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সেসরিস ইমপোটার্স এ্যাসোসিয়েশনের মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলাদেশ সাব কান্ট্রাক্টিং শিল্প মালিক এ্যাসোসিয়েশনের আসলাম আলী, বাংলাদেশ ইনবাউন্ড ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশনের এমজিআর নাসির মজুমদার, বাংলাদেশ এগ প্রডিউসার্স এ্যাসোসিয়েশনের তাহের আহম্মেদ সিদ্দিক, বাংলাদেশ মাস্টার স্টিভেডর্স এ্যাসোসিয়েশনের মোঃ ইব্রাহীম, বাংলাদেশ এসিড মার্চেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের মোহাম্মদ উল্লা পলাশ এবং বাংলাদেশ বিউটি পার্লার ওনার্স এ্যাসোসিয়েশনের মাহমুদা মুস্তাকিমা রুবি। এবারের এফবিসিসিআই নির্বাচনে সর্বোচ্চসংখ্যক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় নির্বাচনের হিসাবও জটিল হয়ে পড়েছে। চেম্বার ও এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে সর্বমোট ৮৬ প্রার্থী পরিচালক পদে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু চেম্বার ও এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে একটি প্যানেলে ১৬ জন করে ৩২ জন নির্বাচিত হবেন। আর ৩২ পদের বিপরীতে চেম্বার গ্রুপ থেকে ৪৪ জন এবং এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ৪২ জন মোট ৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে চেম্বার ও এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে মোট ২ হাজার ১৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ৩২ প্রার্থী নির্বাচন করবেন। উল্লেখ্য, সর্বমোট ৫২ পরিচালক নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালনা বোর্ড গঠন হবে। এর মধ্যে ৩২ পরিচালক সরাসরি নির্বাচন করবেন। বাকি ২০ পরিচালক দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ চেম্বার ও এ্যাসোসিয়েশন থেকে মনোনীত হয়ে আসবেন। এবারের নির্বাচনে শক্তিশালী সভাপতি প্রার্থী মাতলুব আহমদ এফবিসিসিআই নির্বাচনে অতীতে এ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ভোটার হয়ে আসলেও এবার রাজশাহী চেম্বার থেকে মনোনীত পরিচালক হয়েছেন। তাই তাকে সরাসরি ভোটে নির্বাচন করতে হবে না।
×