ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নেত্রকোনায় ঘূর্ণিঝড় ॥ ১৫ গ্রাম লণ্ড ভণ্ড, নিহত ১

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ২৪ মে ২০১৫

নেত্রকোনায় ঘূর্ণিঝড় ॥ ১৫ গ্রাম লণ্ড ভণ্ড, নিহত ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২৩ মে ॥ শুক্রবার রাতে নেত্রকোনার সদর ও বারহাট্টা উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে অন্তত ১৫ গ্রাম লণ্ড ভণ্ড হয়ে গেছে। এতে এক বৃদ্ধা নিহত এবং শিশু ও নারীসহ অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া দেড় হাজার কাঁচা ও টিনশেড ঘর এবং অসংখ্য গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। জানা গেছে, রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোয় টর্নেডো আঘাত হানে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো হচ্ছে- সদর উপজেলার কালিয়ারা-গাবরাগাতি ইউনিয়নের বাঁশাটি, পাটলী, হাতকুণ্ডলী, গলুহা, চন্দ্রকোনা, নাড়িয়াপাড়া, কুমারপুর, মৌগাতি ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর, ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের বেতাটি এবং বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ফকিরের বাজার, চল্লিশকাহনীয়া, চরপাড়া ও চন্দ্রপুর। এ সময় গাছের নিচে চাপা পড়ে বাঁশাটি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী উকিলেরনেছা (৯০) নিহত হন। কালিয়ারা-গাবরাগাতি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান জানান, টর্নেডোতে গ্রামগুলোর অধিকাংশ ঘর, গাছপালা ও বিদ্যুত লাইন বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সহায়-সম্পদ সব নষ্ট হয়ে গেছে। এ মুহূর্তে সাহায্য ছাড়া এদের আর ঘুরে দাঁড়ানোর কোন উপায় নেই। বারহাট্টার রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, টর্নেডোতে ফকিরের বাজার ও আশপাশের এলাকাটি পুরো ল-ভ- হয়ে গেছে। শনিবার সকালে জেলা প্রশাসক ড. তরুণ কান্তি শিকদার ও সদর উপজেলার ইউএনও মোশতারী কাদেরী ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহত উকিলের নেছার পরিবারকে ১৫ হাজার এবং গুরুতর আহত হাতকু-লী গ্রামের ইন্নছ আলীকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে সহায়তা করা হয়। কুমিল্লায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ ওয়াকফ এস্টেট নিয়ে বিরোধ নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৩ মে ॥ কুমিল্লায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের গুলিতে এমদাদ হোসেন নামে এক যুবলীগ নেতা আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার রায়পুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত এমদাদ কুমিল্লা সিটির ২৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও রায়পুর গ্রামের মৃত মমিন মিয়ার পুত্র। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আহত এমদাদের ভাই আবুল হাসান বাদী হয়ে শনিবার দুপুরে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা বাজার ওয়াক্ফ এস্টেট ও চৌয়ারা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাত ও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপে বিরোধ চলে আসছে। আহত এমদাদের ভাই আবুল হাসান জানান, ওই বিরোধের জের ধরে এস্টেটের অনুমোদনহীন কমিটির সভাপতি একেএম আবদুল আলীর নেতৃত্বে আবদুর রাজ্জাক, আবু তাহের, জিল্লুর রহমান, জাহাঙ্গীর, সোহাগ, ভুট্টো, মনির, আলী হোসেন, আলী আকবর, জুয়েলসহ ১৭-১৮ জনের একটি সশস্ত্র দল শুক্রবার রাতে যুবলীগ নেতা এমদাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ও গুলি করে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে এমদাদের ওপর হামলার ঘটনায় ওই এলাকায় দুই গ্রুপে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
×