ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দশমিনায় উদ্বোধনের আগেই স্কুলভবনে ফাটল

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৪ মে ২০১৫

দশমিনায় উদ্বোধনের আগেই স্কুলভবনে ফাটল

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার হাজীরহাট নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত তিনতলা ভবনটি উদ্বোধনের আগেই বিভিন্ন স্থানে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। ছাদ চুঁইয়ে পড়ছে পানি। প্লাস্টার খুলে পড়তে শুরু করেছে। ব্যবহার হয়েছে নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সামগ্রী। এমনকি সোলার প্যানেল স্থাপনের নির্দেশনা থাকলেও তা কার্যকর করা হয়নি। দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৪৭ নম্বর প্যাকেজের আওতায় ২ কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার টাকা ব্যয়ে ‘হাজীরহাট নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কাম বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র’ নামে তিনতলা এ ভবনটি নির্মাণ করে। পটুয়াখালীর একজন ঠিকাদার এটি নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়া হলেও বাস্তবে স্থানীয় একজন ঠিকাদার ভবনটি নির্মাণ করেন। কার্যাদেশে ২০১৩ সালের ৩০ নবেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা এবং তা হস্তান্তরের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সে নির্দেশনাও উপেক্ষা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন জানান, অতি সম্প্রতি স্থানীয় এমপি আখম জাহাঙ্গীর হোসাইন আনুষ্ঠানিকভাবে ভবনটির উদ্বোধন করেছেন। উদ্বোধনের আগে এমপিকে বিদ্যালয়ের ফাটলসহ নির্মাণ কাজে যে ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়ম হয়েছে তা দেখানো হয়। তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভবনটির দ্বোতলা নির্মাণের সময়ই ছাদ ও বিমে ফাটল ধরা পড়ে। তারা সে সময় এর প্রতিবাদ করেছেন। এক পর্যায়ে ঠিকাদার ভবনটির চারপাশে এমনভাবে বেড়া দিয়েছেন, যাতে কেউ প্রবেশ না করতে পারে। ফলে ঠিকাদার ইচ্ছামতো নি¤œমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করেছেন। এ বিষয়ে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে দশমিনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজহারুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। গফরগাঁওয়ে ১২ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস নিজস্ব সংবাদদাতা গফরগাঁও, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড় ও কয়েক দফা ভূমিকম্পে ১২ বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী আতঙ্কের মধ্যে ক্লাস করছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উপজেলার ডিগ্রীভূমি, দুগাছিয়া, দুগাছিয়া, ধামাইল, চরমছলন্দ কান্দাপাড়া, দুবাশিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ২০১৩ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে মাঠে বা গাছতলায় ক্লাস নেয়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাধ্য হয়ে ওইসব বিদ্যালয় ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস চালাচ্ছেন শিক্ষকরা। অপরদিকে গত ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দফা কালবৈশাখী ঝড় ও তিন দফা ভূমিকম্পে উপজেলার দাওয়াদাইর উত্তর পাড়া, পোড়াবাড়ীয়া, চরশাখচূড়া, বাগুয়া, কালদাইর, পাকাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়ধরখালী, পাচুঁয়া (জব্বারনগর) বেগম রাবেয়া ও টাঙ্গাব আবুল হাসেম খান উচ্চ বিদ্যালয় ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি একাধিক স্থানে ফাটল দেখা দেয়।
×