ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টুঙ্গিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হামলা

গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ॥ ভোগান্তি চরমে

প্রকাশিত: ০৬:২১, ২৪ মে ২০১৫

গোপালগঞ্জ জেলাজুড়ে চিকিৎসা সেবা বন্ধ ॥ ভোগান্তি চরমে

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপালগঞ্জ, ২৩ মে ॥ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালসহ সকল সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসক ও নার্সদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে হামলা-ভাংচুর এবং চিকিৎসক ও নার্সকে মারধরের প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ গোপালগঞ্জ জেলা শাখা এ ধর্মঘটের ডাক দেয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরও অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। শুক্রবার রাতের বৈঠকের পর শনিবার সকালেও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বিএমএর ডাকে চিকিৎসকরা গোপালগঞ্জ হাসপাতালের হলরুমে এক জরুরী বৈঠকে বসেন। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ ধর্মঘট চলবে। ফলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্স বাদে জেলার অন্য হাসপাতালগুলোতে শুধু জরুরী বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগে চিকিৎসা সেবা দান বন্ধ রয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা দান বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য বিএমএ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দফায় দফায় মিটিং করছেন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ এ পর্যন্ত ১০ জনকে আটক করেছে। অন্যদের আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা ফরিদপুর জেলার ভাংগার সোহেল মাতুব্বর, জেলার টুঙ্গিপাড়ার উপজেলার মাওলানা মিজানুর রহমান ও সুন্দর কুমার মন্ডলসহ বহু রোগী ও রোগীর স্বজনরা বলেন, আমরা অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি কোন চিকিৎসক চেম্বারের বসছেন না বা হাসপাতালে ভর্তি রোগীদেরও দেখছেন না। তারা চিকিৎসা-সেবা বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা ফিরে যাচ্ছেন। ভর্তি রোগীদের তাদের স্বজনরা অন্যত্র নিয়ে যাচ্ছে। এতে আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। লালমনিরহাটে দুই সংখ্যালঘু পরিবার বাড়ি ছাড়া নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ২৩ মে ॥ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে জেলা সদরের মহেন্দ্রনগরে শুক্রবার রাতে দুইটি হিন্দু সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর প্রভাবশালী মহলের পক্ষ নিয়ে দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে হিন্দু পরিবার দুইটির দুই ভাইয়ের কাছে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে। পরিবার দুটি ভিটামাটি ছেড়ে প্রাণ ভয়ে শহরে পালিয়ে এসেছে। তারা স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সকালে দুই ঘণ্টা অবস্থান নেয়। এ ঘটনায় সদর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, জেলা সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া গ্রামে নছিমন দাসের পুত্র শিবনাথ রায়ের (৫০) সঙ্গে একই এলাকার মানিকের (৫১) কিছুদিন হতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে আসছে। একটি প্রভাবশালী মহল মানিকের পক্ষ নিয়ে দুর্বৃত্তদের সহায়তায় শিবনাথের পরিবারকে বাব দাদার ভিটা বাড়ি দখল করতে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে। এই দুর্বৃত্ত দলটি গভীর রাতে শিবনাথ ও তার বড় ভাই জগন্নাথের পরিবারকে একটি ঘরের কক্ষে আটকে রেখে দুই ভাইয়ের কাজে নন জুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পের ওপর জোর করে স্বাক্ষর নিয়েছে।
×