ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বগুড়ার পিরাপাট ঢিবি খননে মিলছে পুরাকীর্তি

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২৬ মে ২০১৫

বগুড়ার পিরাপাট ঢিবি খননে মিলছে পুরাকীর্তি

সমুদ্র হক ॥ বগুড়ার কাহালুর একটি উঁচু ঢিবি খনন শুরু করে প্রতœতাত্ত্বিকগণ আশাবাদী হয়েছেন মাটির নিচে পাল যুগের কোন বড় স্থাপনা থাকতে পারে। সোমবার প্রতœতত্ত্ব অধিদফতরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা জানালেন, প্রতœ সংরক্ষিত এই জায়গার মাউন্টে (ঢিবি) প্রাথমিক খননে যে পোড়ামাটির ফলক (টেরাকোটা) পাওয়া গেছে তা ইতোপূর্বে মহাস্থানগড়ের কাছে ভাসুবিহার ও নওগাঁর জগদ্দল বিহারে পাওয়া ফলকের অনুরূপ। এ ছাড়াও সামান্য খননেই দেয়াল ও প্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ দেখা যাচ্ছে। এ থেকে ধারণা করা যায় মাউন্টের গভীরে পাল ডাইনাস্টির কোন মন্দির বা বৌদ্ধদের কোন বিহার থাকতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে দীর্ঘ সময় ধরে খননের ওপর। বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে কাহালু উপজেলার পিরাপাট গ্রামের মানুষের কাছে এই ঢিবি ছিল কৌতূহলের বিষয়। বছর কয়েক আগে কাহালু উপজেলা এলাকার এক ঢিবি রাতের অন্ধকারে খুঁড়ে ভিতর থেকে প্রতœসম্পদ চুরি হয়। এই ঘটনার পর ওই এলাকা প্রতœ সম্পদের সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে যে ঢিবি খনন করা হচ্ছে তা ছিল বাঁশ ও ঝোপজঙ্গলে ভরা। স্থানীয় কথায় বলা হয় বাঁশের আঁড়া। নিত্যদিন লোকজন ঢিবির ধার দিয়েই চলাচল করে। এই ঢিবি থেকে কিছুটা দূরে যোগীর ভবন মন্দির। প্রতœতাত্ত্বিকগণের ধারণা প্রাচীন পুন্ড্রবর্ধভূক্তির রাজধানী পুন্ড্রনগর খ্যাত মহাস্থানগড়ের চারদিকে বিশাল এলাকাজুড়ে কয়েক যুগের কয়েক আমলের নিদর্শন রয়েছে। পিড়াপাট ঢিবি তারই একটি হতে পারে। এর আগে কোন খননে সাধারণত কোন পুরাকীর্তির উপরিভাগ বা ওপর কাঠামো পাওয়া যায়নি। পিরাপাট মাউন্টের সারফেসে কিছুটা হলেও তার অস্তিত্ব মিলেছে। এ থেকে একটা ধারণা করা যায় খননে প্রাচীন সুপার স্ট্রাকচার পাওয়া গেলে প্রাচীন স্থাপনার বড় কিছু পাওয়া যাবে। গেল ২ মে থেকে শুরু হওয়া এই খনন কাজ চলবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
×