ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আগামীর প্রজন্ম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু বিসিবির

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ২৬ মে ২০১৫

আগামীর প্রজন্ম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু বিসিবির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ রিচার্ড ম্যাকিন্স বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক পথিকৃতের নাম। অস্ট্রেলিয়ান এ কোচের অধীনে ২০০৪ সালে প্রথমবারের মতো হাইপারফর্মেন্স (এইচপি) ইউনিট গঠন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ম্যাকিন্সের কর্মগুণে বাংলাদেশ ক্রিকেট পেয়েছে বেশ কয়েকজন উজ্জ্বল নক্ষত্র। বর্তমানে বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম ও শাহরিয়ার নাফীসরা বেরিয়ে এসেছেন ম্যাকিন্সের প্রশিক্ষণে গড়ে উঠে। তবে ২০০৭ সালে এইচপি ইউনিট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ আট বছর পর আবার সেই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে। ২২ সদস্যের এইচপি স্কোয়াড গঠনের পাশাপাশি আরও ৪টি বিশেষায়িত বিভাগ গঠন করেছে বিসিবি। সোমবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে দল ঘোষণা করেন বিসিবির সহসভাপতি ও এইচপি ইউনিটের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এইচপি কর্মসূচীর কোচিং ডিরেক্টর পল টেরি ও ম্যানেজার স্টুয়ার্ট কারপিনেন। প্রাথমিক অবস্থায় চার মাস চলবে এ কার্যক্রম। প্রধান কোচ হিসেবে যোগ দেবেন ইংল্যান্ডের ম্যালচি রয়। সঙ্গে গঠিত বিশেষায়িত বিভাগগুলোর কার্যক্রম চালাতে দেশের চারজন কোচও থাকবেন বলে জানিয়েছেন মাহবুব আনাম। চলতি মাসের ৪ তারিখে এইচপির দায়িত্ব নিতে বাংলাদেশে আসেন জার্মান বংশোদ্ভূত ইংলিশ ৫৫ বছর বয়সী ভিভিয়ান পল টেরি। কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন তিনি। গত ২০ দিন তিনি দেশের ক্রিকেটের অবস্থা খতিয়ে দেখেছেন। এবার চূড়ান্ত কাজ শুরুর সময় এসে গেছে। জুনের প্রথম সপ্তাহেই তা শুরু করবেন। সেজন্য তিনি এখন ক্রিকেটারও পেয়ে গেছেন। প্রাথমিক ফিটনেস টেস্টের পর স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটাররা বগুড়ায় চলে যাবেন। সেখানে শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে এক সপ্তাহ কাটাবেন ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের পরখ করতেই বগুড়া যাওয়ার পরিকল্পনা। বগুড়ায় তিন ফরমেটেই দুটি করে ম্যাচ খেলবেন ক্রিকেটাররা। টি২০, ওয়ানডে ও দু’দিনের ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে। ক্রিকেটারদের দেখা ও তাদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার সুযোগ মিলবে কোচদের বগুড়ায়। এটি পল টেরির পরিকল্পনা। তিনি ক্রিকেটারদের সঙ্গে স্থানীয় কোচদেরও পরখ করতে চান। এইচপিতে স্থানীয় কোচদের মধ্যে কাজ করবেন পেস বোলিংয়ে সারোয়ার ইমরান, ব্যাটিংয়ে জাফরুল এহসান, স্পিনে ওয়াহিদুল গণি এবং উইকেটকিপিং ও ফিল্ডিং গোলাম মর্তুজা। এইচপি ইউনিটের প্রধান কোচ হিসেবে ইংল্যান্ডের ম্যালচি লয়ের যোগ দেয়া প্রায় নিশ্চিত। জুনের শুরুতেই ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তার। চার মাসের এই কার্যক্রমের পাশাপাশি বছরজুড়ে উদীয়মান ও জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে হাইপারফর্মেন্স ইউনিটের অধীনে থেকে ‘এলিট প্রোগাম’ নামে আলাদা একটি কর্মসূচী চালু করতে যাচ্ছে বিসিবি। এই কর্মসূচীর কাজ হবে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে। বিভাগগুলো হলোÑ পেস বোলিং (৪ সপ্তাহ), স্পিন বোলিং (৬ সপ্তাহ), ব্যাটিং (৬ সপ্তাহ), ফিল্ডিং (২ সপ্তাহ) ও উইকেটকিপিং (২ সপ্তাহ)। এলিট প্রোগাম নিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘যারা জাতীয় দলের বাইরে চলে যান তাদের আমরা হারিয়ে যেতে দিতে চাই না। এই প্রোগ্রামে বছরজুড়ে ক্রিকেটাররা স্কিল ট্রেনিং করার সুযোগ পাবে। কারও ইনজুরি থাকলে এই প্রোগ্রামের আওতায় থেকে নিজেকে সারিয়ে নিতে পারবে।’ হাইপারফর্মেন্স স্কোয়াড ॥ রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস, সাদমান ইসলাম, তাসামুল হক, মাহমুদুল হাসান, মেহেদী হাসান রানা, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোঃ মিঠুন, তৈয়বুর রহমান, জুবায়ের হোসেন, সাকলাইন সজীব, নাহিদুজ্জামান, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, শুভাশীষ রায়, কামরুল হাসান রাব্বি, দেওয়ান সাব্বির, নুরুল হাসান সোহান, জাবিদ হোসেন ও ইরফান শুক্কুর। এলিট কার্যক্রম পেস বোলার ॥ আবুল হাসান রাজু, আল আমিন হোসেন, রবিউল ইসলাম, শুভাশীষ রায়, শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সোহেল, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, মেহেদি হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, দেওয়ান সাব্বির, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার রনি, মাশরাফি বিন মর্তুজা, অনিক ইসলাম, সোহাগ রেজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও মুক্তার আলী। স্পিন বোলার ॥ জুবায়ের হোসেন, সাকলাইন সজীব, নাহিদুজ্জামান, নাসুম আহমেদ, নুরুল হোসেন মুন্না, সোহাগ গাজী, সাঞ্জামুল ইসলাম, ইফতেখার সাজ্জাদ, আহম্মেদ সাদিকুর ও রাহাতুল ফেরদৌস। ব্যাটসম্যান ॥ রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস, সাদমান ইসলাম, তাসামুল হক, মাহমুদুল হাসান লিমন, সাব্বির হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মোঃ মিঠুন, তৈয়বুর রহমান, সৈকত আলী, আসিফ আহমেদ রাতুল, মেহেদী মারুফ, আরিফুল হক, মার্শাল আইয়ুব, মেহরাব হোসেন, মাইশুকুর রহমান, নাঈম ইসলাম, শামসুর রহমান শুভ, রকিবুল হাসান ও শাহরিয়ার নাফীস। উইকেটরক্ষক ॥ নুরুল হাসান সোহান, জুবায়ের হোসেন, ইরফান শুক্কুর, হামিদুল ইসলাম হিমেল, মোহাম্মদ জসীম, লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ মিঠুন।
×