ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ ক্লিনিক ও নকল কারখানা সিলগালা

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২৮ মে ২০১৫

অবৈধ ক্লিনিক ও নকল কারখানা সিলগালা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ দুর্গাপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত অবৈধ ক্লিনিকে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুস সোবাহান। বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত বিভিন্ন অভৈধ ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে বৈধ কোন কাগজপত্র না থাকায় জননী ক্লিনিক সিলগালা করে দেয়া হয়। এ সময় ক্লিনিকটির সকল মালামাল জব্দও করা হয়। এদিকে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ পবার বাগসারা এলাকার নির্জন স্থানে নকল সিগারেট কারখানার সন্ধান পেয়েছে র‌্যাব। সেখান থেকে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট তৈরির পর তা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছিল। বুধবার দুপুরে বাগসারা এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল সিগারেট, তামাক ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩৬ লাখ পিস সিগারেট, ৪২ হাজার কেজি তামাক ও বিপুল পরিমাণ অন্যান্য উপকরণ। এ সময় আটক করা হয় কারখানার আট শ্রমিককে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত জব্দ করা মালামাল ধ্বংস করে। তবে আটক শ্রমিকদের জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। কারখানার মালিক ঢাকার বোরহান উদ্দিনের নাগাল পায়নি র‌্যাবের সদস্যরা। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের অভিযানে ৩৬ লাখ পিস নকল সিগারেট ও ৪২ হাজার কেজি তামাক আটক করা হয়। কিশোরগঞ্জে নকল ওষুধ কারখানায় অভিযান নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ থেকে জানান, কিশোরগঞ্জ শহরের আমলীতলায় বুধবার রাত ১টায় নকল ওষুধের কারখানায় র‌্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে ৫ লক্ষাধিক টাকার নকল ওষুধ ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করেছে। এ সময় কারখানার মালিক শহীদুল ইসলাম ও তার সহযোগী একজনকে আটক করা হয়। জামায়াত ক্যাডারদের হুমকিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবার গ্রামছাড়া জমি নিয়ে বিরোধ স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা ॥ জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে এলাকার চিহ্নিত জামায়াত-শিবির ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে আহত করে আশাশুনির কাপসন্ডা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের পরিবারকে। এই ঘটনায় মামলা দায়ের করায় আসামি জামায়াত ও শিবির ক্যাডারদের অব্যাহত জীবননাশের হুমকির মুখে গত ৪ দিন ধরে গ্রাম ছেড়ে শহরে আশ্রয় নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের পরিবারসহ তার নিকট আত্মীয়রা। হামলার শিকার মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ এনে বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা দাবি করে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশাশুনি থানার এসআই রশিদ বলেন, মামলার ২ আসামি পলাতক রয়েছে। বাকি ৮ জন জামিনে আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হুমকির বিষয়ে তার কাছে কোন তথ্য নেই এবং বাদীপক্ষ এ বিষয়ে নতুন করে কোন জিডি করেননি। সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে তার ভাইপো আলতাপ হোসেন বকুল বলেন, এলাহী বক্স ঢালী বাদী হয়ে আইয়ুব আলী সানাসহ ১০ জনের নামে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার করার পর আসামিরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও সাক্ষীদের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। জামিনে মুক্তি পেয়ে ১নং আসামি কেরামত আলী গাজী প্রকাশ্যে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ইমদাদুলকে মামলা তুলে না নিলে গলা কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেব বলে হুমকি দেয়।
×