ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল

প্রকাশিত: ০৬:২০, ২৮ মে ২০১৫

চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণাঞ্চল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগের (বিসিএল) লঙ্গারভার্সন ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চল। দলটির শিরোপা জয়ের মধ্য দিয়ে বুধবার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বিসিএলের ২০১৪/২০১৫ মৌসুম শেষ হলো। ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে লীগের শেষ পর্বে ড্র করেও পয়েন্ট তালিকায় উপরে থেকে শিরোপা জেতে নেয় দক্ষিণাঞ্চল। শেষ পর্বে ম্যাচ সেরা শুভগত হোমের দুর্দান্ত নৈপুণ্যে বিসিবি উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে ৮০ রানের জয় পায় ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল। উত্তরাঞ্চল একটি জয়ও পায়নি। পয়েন্ট তালিকায় ব্যাট-বলের বোনাস পয়েন্টসহ ৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ ড্র’তে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণাঞ্চল সবার উপরে থাকে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা পূর্বাঞ্চল ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্র’তে ৩৯ পয়েন্ট পায়। তৃতীয় স্থানে থাকা মধ্যাঞ্চল ৩ ম্যাচে ১ জয়, ১ হার ও ১ ড্র’তে ৩৩ পয়েন্ট ও পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা উত্তরাঞ্চল ৩ ম্যাচে ২ হার ও ১ ড্র’তে ১৮ পয়েন্ট অর্জন করতে সক্ষম হয়। শেষ পর্বের আগেই শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হিসেবে এসে পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চল ৩৫ ও পূর্বাঞ্চল ৩২ পয়েন্টে থাকায় এ দুটি দলের লড়াইয়ে যে দল পয়েন্টের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে তারাই যে চ্যাম্পিয়ন হবে, তা বোঝাই গেছে। শেষপর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলই বাজিমাত করল। চট্টগ্রামে দক্ষিণাঞ্চল-পূর্বাঞ্চল ম্যাচটি হয়। টস জেতে পূর্বাঞ্চল ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। দক্ষিণাঞ্চল সুযোগটি পেয়ে শাহরিয়ার নাফীসের ৯৬ ও মোঃ মিঠুনের ৯৫ রানে প্রথম ইনিংসে ৩৮৫ রান করে। জবাবে পূর্বাঞ্চল ২৪৭ রান করতেই অলআউট হয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যাওয়ার সুবাদে বোনাস পয়েন্ট পায় দক্ষিণাঞ্চল। শিরোপা পেতে সুবিধা হয়। এরপর যখন দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামে দলটি, সৌম্য সরকারের ১২৭ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ১১৯ রানে ৯ উইকেটে ৪৫২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। পূর্বাঞ্চলের সামনে জিততে ৫৯১ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। এ রান করতে গিয়ে ৩ উইকেটে ১৬৬ রান করতেই দিন ফুরোয়। সেই সঙ্গে চারদিনের খেলাও শেষ হয়। চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় দক্ষিণাঞ্চল। মিরপুরে বলতে গেলে রোমাঞ্চকর জয়ই তুলে নিয়ে মধ্যাঞ্চল। ম্যাচের চতুর্থ ও শেষ দিন ছিল বুধবার। এদিন জয়ের জন্য বিসিবি উত্তরাঞ্চলের সামনে লক্ষ্য ছিল ১৯২ রান। মধ্যাঞ্চলের প্রয়োজন ছিল ৮ উইকেট। একদিনে তা করতে পারল না উত্তরাঞ্চল! দেখা গেছে ১২২ রান করতেই অলআউট হয়ে গেছে। শুভগত হোম দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন একাই। তাতে ম্যাচ সেরাও হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চল টস জিতে ব্যাট করে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ১১৩ রানে ২৮৯ রান করে। জবাবে প্রথম ইনিংসে উত্তরাঞ্চল সাব্বির রহমানের ৭৫ রানে ২৮৭ রান করে। শুভগত হোম ৫ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যাঞ্চল ২০০ রানেই অলআউট হয়ে গেলে উত্তরাঞ্চলের সামনে জিততে ২০৩ রানের টার্গেট দাঁড় হয়। সেখান থেকে তৃতীয় দিনে ২ উইকেট হারিয়ে ১১ রান করলে, জিততে উত্তরাঞ্চলের লাগে ১৯২ রান। তাও করতে পারেনি উত্তরাঞ্চল। স্কোর ॥ দক্ষিণাঞ্চল প্রথম ইনিংস ৩৮৫/১০; ১০৯.২ ওভার (শাহরিয়ার ৯৬, মিঠুন ৯৫, ইমরুল ৫৬; আবুল ৩/৩১, অপু ৩/৭৮) ও দ্বিতীয় ইনিংস- আগেরদিন ২৩১/৪; ৫৪ ওভার (সৌম্য ৭৫*, এনামুল ৭০, মোসাদ্দেক ৪৩*; জায়েদ ২/৪৮, আবুল ১/১৪, অপু ১/৫৮) ও চতুর্থদিন ৪৫২/৯; ইনিংস ঘোষণা (সৌম্য ১২৭, মোসাদ্দেক ১১৯); আবুল ৩/২৬)। পূর্বাঞ্চল প্রথম ইনিংস ২৪৭/১০; সাদমান ৮৭, আবুল ৫০; সোহাগ ৪/৬২, আলআমিন ৩/৪৫, রাজ্জাক ২/৭৩) ও দ্বিতীয় ইনিংস ১৬৬/৩; ৩৪ ওভার (লিটন ৭৪, কাপালী ৫৫*; আল আমিন ৩/৪৩)। ফল ॥ ম্যাচ ড্র। ম্যাচসেরা ॥ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (দক্ষিণাঞ্চল)। মধ্যাঞ্চল প্রথম ইনিংস ॥ ২৮৯/১০; ৯২ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ১১৩, মার্শাল ৮৭; তাইজুল ৫/১১৩, দেলোয়ার ২/৪২) ও দ্বিতীয় ইনিংস- ২০০/১০; ৮৩.১ ওভার (মেহরাব ৫৪*, শুভাগত ৩৬, মাহমুদুল্লাহ ৩৫; মাহমুদুল ৪/৫৩, মুক্তার ২/৩৬, তাইজুল ২/৭৩)। উত্তরাঞ্চল প্রথম ইনিংস- ২৮৭/১০; ৭১.৫ ওভার (সাব্বির ৭৫, ফরহাদ ৬৭, মুক্তার ৪২, নাসির ৩৪; শুভাগত ৫/৭৮, শহিদুল ৪/৫৫) এবং দ্বিতীয় ইনিংস আগেরদিন ১১/২; ২ ওভার (জুনায়েদ ৩, তাইজুল ৮*; শহীদ ১/৩, শুভাগত ১/৮) ও চতুর্থদিন ১২২/১০; মাহমুদুল ৩৪, সাব্বির ৩২); শুভাগত ৫/৩৫)। ফল ॥ মধ্যাঞ্চল ৮০ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ শুভগত হোম (মধ্যাঞ্চল)।
×