ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ২৯ মে ২০১৫

ঝলক

১১-তেই তিন স্নাতক! বয়স মাত্র ১১। এরই মধ্যে মার্কিন কলেজের তিন তিনটি ডিগ্রী তানিশক আব্রাহমের! অঙ্ক, বিজ্ঞান এবং বিদেশী ভাষায়। ক্যালিফোর্নিয়ার আমেরিকান রিভার কলেজ থেকে এ বছরই স্নাতক ডিগ্রী পেয়েছে আব্রাহম। পরীক্ষার্থী ছিল ১৮০০। তার মধ্যে আব্রাহমই সবচেয়ে ছোট। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত কম বয়সী স্নাতক ডিগ্রীধারীর তালিকায়ও সে। গত বছর কম বয়সী পরীক্ষার্থী হিসেবে হাইস্কুলের গ-ি উত্তীর্ণ হয়েছে আব্রাহম। ক্যালিফোর্নিয়ার ইন্দো-মার্কিন এই ‘বিস্ময় বালক’কে দেখে অভিভূত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। তার এই সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ওবামা। চারপাশের লোকজন উচ্ছ্বসিত হলেও নিজের সাফল্যকে বড় করে দেখতে রাজি নয় আব্রাহম। তার কথায় ‘একটা কলেজ থেকে স্নাতক হওয়া এমন বড় কোন ব্যাপার নয়।’ ইচ্ছেমতো ফিরবে স্মৃতি! মস্তিষ্ক প্রক্ষালক যন্ত্রটির কথা মনে পড়ছে? যে যন্ত্রের সাহায্যে হীরক রাজ্যে সকলের মগজ ধোলাই হচ্ছিল। হীরক রাজার গবেষকদের দীর্ঘ গবেষণার ফল। এটাও খানিকটা সে রকমই। বাস্ততে মগজ ধোলাইয়ের রসায়ন আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা। এবার মানুষের মস্তিষ্ক থেকে যাবতীয় স্মৃতি যখন ইচ্ছে তখনই মুছে ফেলা যাবে। আবার ইচ্ছে হলে তা ফিরিয়েও আনা যাবে। মস্তিষ্কের স্মৃতি ধরে রাখার জটিল রসায়নটি আবিষ্কার করেছেন সুইজারল্যান্ডের একদল চিকিৎসাবিজ্ঞানী। দেশটির ইপিএফএল (ইকোল পলিটেকনিক ফেডারেল ডি লুজান) বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক দীর্ঘদিন ধরে এ বিষয়ে গবেষণা করছিলেন। অবশেষে তারা এই সাফল্য পেয়েছেন। ইঁদুরের ওপর বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, ইঁদুর যখন ঘুমাচ্ছে তখন কিভাবে তার মস্তিষ্কের প্রক্রিয়াগুলোর পরিবর্তন হচ্ছে। ইঁদুরের মস্তিষ্কে সেই প্রক্রিয়া প্রয়োগ করে বিজ্ঞানীরা অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছেন। তাদের বক্তব্য, ‘একই প্রক্রিয়ায় অচিরেই মানুষের মস্তিষ্ক থেকে স্মৃতি মুছে ফেলা যাবে, কিংবা পুরনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।’ ক্যান্সার নির্ণয়ে কুকুর! ‘কুকুরের নাক’ কথাটা ব্যঙ্গাত্মকই শোনায়। তবে কুকুরের নাকেরও যে বিশেষ কেরামতি আছে, তা আবিষ্কার করেছেন ইতালির একদল গবেষক। সম্প্রতি তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গন্ধ শুঁকে কয়েক ধরনের ক্যান্সার নির্ণয় করতে পারে কুকুর। প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ওরা সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়। গবেষকরা আশা করছেন, ক্যান্সার নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এটি ফলপ্রসূ হবে। বিষয়টি নিয়ে বিশদ গবেষণা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। এ ব্যাপারে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘মেডিক্যাল ডিটেকশন ডগ চ্যারিটি’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা ড. ক্লারি গেস্ট বলেন, ‘যখন আমরা প্রমাণ পাব এই পদ্ধতিতে হাজারো নমুনার সঠিক পরীক্ষণ হচ্ছে তখন বুঝব আসলেই মেডিক্যাল সায়েন্সে নতুন অবদান রাখতে পেরেছি।’
×