ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৯ মে ২০১৫

আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস আজ। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত শান্তিরক্ষীদের স্মরণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হচ্ছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী বিশ্বের সকল দেশের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য অবদানকে এই দিন গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়ে থাকে। দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। খবর আইএসপিআর ও বাসসর। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষায় অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের পেশাদারিত্ব, সাহসিকতা, নিষ্ঠা ও সততার ফলেই আজকের এই অর্জন সম্ভব হয়েছে। দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র ও জার্নাল প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন বেসরকারী চ্যানেলে দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ টক-শো প্রচারিত হবে। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা তাদের অনন্য অবদানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের সুনাম বৃদ্ধির পাশাপাশি জাতিসংঘের ভাবমূর্তিও সমুন্নত করেছে। তিনি বলেন, আমরা গর্বিত যে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বাধিক সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণ করে বাংলাদেশের অবস্থান আজ শীর্ষে। এটা বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীদের যোগ্যতা ও আন্তরিক কর্মদক্ষতার ফলেই অর্জিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘ কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অস্থিতিশীল ও সংঘাতময় এলাকায় শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশ আজ আস্থার প্রতীক। এ মহতী ধারা অব্যাহত রাখতে আধুনিক প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশের সদস্যগণ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সারাবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করবেন-এটাই আমার প্রত্যাশা।’ তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন সংঘাতময় অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শুরু থেকেই বাংলাদেশী শান্তিরক্ষীরা সর্বোচ্চ পেশাদারি মনোভাব, আনুগত্য ও সাহসিকতার সঙ্গে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
×