ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গন ॥ ৮ গ্রাম বিলীন

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৯ মে ২০১৫

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙ্গন ॥ ৮ গ্রাম বিলীন

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ জেলার চিলমারী উপজেলায় গত ১ সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনে ৮টি গ্রামের প্রায় ১ হাজার পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের দু’পার্শ্বে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এদিকে হুমকির মুখে রয়েছে ১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ হাজার হাজার একর ফসলি জমি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নদী পাড়ের মানুষজন ভাঙ্গনের হাত থেকে ঘরবাড়ি সরাতে ব্যস্ত সময় পার করছে। ইতোমধ্যে উপজেলার রমনা ইউনিয়নের টোনগ্রামের ২৫টি পরিবার, ব্যাপারী পাড়ার ৫শ’ পরিবার, হিন্দুপাড়ার ২৫টি পরিবার, মাস্টারপাড়ার ১০টি পরিবার, মুদাফৎ থানার ৩শ’টি পরিবার, বাসন্তী গ্রামের ১শ’ পরিবার, জোড়গাছ বাজার এলাকার ৭০টি পরিবারসহ ঝালোপাড়ার ৫০টি পরিবার ভিটে মাটি হারিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে হিন্দুপাড়া ও ব্যাপারীপাড়া এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে তীর রক্ষা বাধ থেকে প্রায় ১২০ ফিট দূরে ব্রক্ষপুত্র নদী অবস্থান করছে এবং ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় বাঁধের দিকে এগিয়ে আসছে। হিন্দুপাড়া এলাকার ভূষণ চন্দ্র বর্মণ (৬৫), উজ্জ্বল চন্দ্র বর্মণ, সুভাসচন্দ্র বর্মণ, শান্তনা রানী জানান, এ বাঁধটি ভাঙলে তারা কোথায় গিয়ে আশ্রয় নেবেন তা নিজেরাও জানেন না। এদিকে জোড়গাছ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে নদী প্রায় ৭৫ ফিট দূরে অবস্থান করছে। ফলে হুমকির মুখে রয়েছে স্কুলটি। ভাঙ্গনকবলিত মানুষেরা জানান, এ পর্যন্ত তাদের পুনর্বাসনে সরকারী কিংবা বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে না আসায় তারা চরম হতাশায় রয়েছে। এ ব্যাপারে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসলাম মোল্লার জানান, নদী ভাঙ্গা পরিবারগুলোকে ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে তিনি জানিয়েছেন। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান নদী ভাঙ্গনের কথা স্বীকার করে জানান, আমরা ভাঙ্গনকবলিত এলাকা রিপোর্ট করছি। দুই একদিনের মধ্যে ভাঙ্গন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×