ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১ জুন ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

মুক্তিযোদ্ধারা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। এ হিসেবে সরকারীভাবে স্বীকৃতিও রয়েছে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান মুক্তিযোদ্ধারা মৃত্যুবরণ করলে তাদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়। দাফন-কাফন খরচ বাবদ ৫০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়। ১৯ জুন ২০১৩ খ্রি তারিখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মোঃ মশিউর রহমান তালুকদার, সিনিয়র সহকারী সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে দেখা যায় যে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীগণ মৃত্যুবরণ করলে তার দাফন-কাফন খরচ বাবদ-৫০০০/- টাকার পরিবর্তে ২৫,০০০/-(পঁচিশ হাজার) টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধির এই বাজারে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত পাঁচ হাজার টাকা খুবই অপ্রতুল। তাই বর্তমানে, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের দাফন-কাফন খরচ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা থেকে বৃদ্ধি করে (পরিবহন খরচ ব্যতীত) ন্যূনতম ৩০,০০০/- (ত্রিশ হাজার) টাকায় পুনর্নির্ধারণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানাই। মুহম্মদ আবু তাহের সেনবাগ, নোয়াখালী মেয়রের দৃষ্টি পড়ুক নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ৯নং ওয়ার্ডের জালকুড়ি গ্রামের মাতবর বাজারটি খুবই অবহেলিত। ২০০৭ সাল থেকে মাতবর বাজারের রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে রাস্তাটি মেরামতও করা হয় নাই। ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আমরা আশা করেছিলাম অনেক উপকৃত হব। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত চিত্র আমরা গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করছি। সিটি কর্পোরেশন হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করলেও দীর্ঘদিনেও জালকুড়ি ৯নং ওয়ার্ডে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। ২০১২-১৩ অর্থবছর হতে আমরা ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা নিয়মিতভাবে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন কর দিয়ে আসছি। কিন্তু বিগত ২ বছর ধরে সিটি কর্পোরেশনকে কর দিলেও উক্ত জালকুড়ি এলাকায় সামান্যতম কাজটুকুও হয়নি। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ সংযোগ সড়কের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড হতে মাতবর বাজার পর্যন্ত এবং তালতলা হতে দুই নম্বর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত রাস্তাটি ২০১২ সালে একবার মেরামত করা হয়েছিল। মেরামতের দুই মাসের মধ্যে উক্ত রাস্তাটি আবার পূর্বের চেহারা ফিরে পায়। জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড হতে মাতবর বাজার এক কিলোমিটার রাস্তা এবং তালতলা থেকে ২ নম্বর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা এত করুণ যে, একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া তো দূরের কথা রিক্সায় যাতায়াত করা কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড হতে মাতবর বাজার পর্যন্ত এক কিলোমিটার রাস্তা বৃষ্টির সময় রিক্সাওয়ালাও যেতে চায় না। অনেক সময় দুর্ঘটনায় পড়তে হয়। গ্রামবাসীর দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করে যাতায়াতের সুবিধা করে দেয়ার নির্দেশ প্রদানের জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আবুল কাশেম শিকদার সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ হায় সড়ক! আমরা ৩৫ নং বক্সীরহাট তথা, আছদগঞ্জের অধিবাসী অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছি। ৩৫ নং বক্সীরহাট ওয়ার্ডের সড়কটি এতটাই বিধ্বস্ত যে, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ি চালানো অসাধ্য হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন চাক্তাই খাতুনগঞ্জের ট্রাক ও কার্ভাড ভ্যানের দাপটে রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক এবং সঙ্কটাপন্ন। রিক্সা কিংবা ঠেলাগাড়ি প্রতিদিন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। এতে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের অবস্থা এত প্রকট যে, স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী বা সাধারণ মানুষ পারাপারের কোন সুযোগ পায় না। এ রকম অবস্থায় ৩৫ নং বক্সীরহাট ওয়ার্ডের আছদগঞ্জ-চাক্তার সড়কটি জরুরী সংস্কার প্রয়োজন। রণজিত মজুমদার চট্টগ্রাম। এই কি গো শেষ গান... সত্তর বছর আগে নায়িকা কাননবালা যখন যুবতী তিনি ঘটিহাতা ব্লাউজ পরে সাধারণ মানুষের মনে রং লাগিয়েছিলেন। অপরূপ সুন্দরী কাননবালাকে দেখার জন্য কেউ কেউ টালিগঞ্জ স্টুডিওর গেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে থাকতেন। সে সময় লেডি ব্রাবোর্ন কলেজের ছাত্রী থেকে শুরু করে উপমহাদেশের যুবতী মেয়েরা যেন কাননবালার ফ্যাশনটাই অনুকরণ করতে চাইত। তিনি বৃদ্ধা হলেন। ছবির নায়ক-গায়ক রবীন মজুমদার তার এক গানে যৌবনকে বসন্তের সঙ্গে তুলনা করে গেয়েছিলেন, এই কি গো শেষ গান/বিরহ দিয়ে গেলে ... আমার ভুবন হতে বসন্ত চলে যায় ...। হ্যাঁ, গানের এ কথা একদিন কত না বিখ্যাত তারকা, সমাজসেবক, বড় বড় ব্যক্তিত্বসহ সবার বেলায় সত্য হয়ে দেখা গেছে। যৌবন হারানোর বেদনায় হলিউড তারকা গ্রেটা গার্বো বহু নিজেকে বছর লুকিয়ে চলতেন। সাধারণ মানুষে সামনে তিনি আসতেই চাইতেন না। আজ যারা বয়স নিয়ে বাহাদুরি করে তাদের রূপের চমক, বৈভব, গায়ের বল, শক্তি একদিন তো শেষ হয়ে যাবে- এটা যৌবনে ক’জনেই-বা ভাবে! যৌবনই শেষ নয়, বৃদ্ধকাল ধরা দেবেই দেবে। এমন ভাবনা ক’জনই-বা ভাবেন! কমলা ঝরিয়া একটি গানে গেয়েছিলেন, মনকে রাখা বড় দায় লো/মহুল ফুলে আগুন ছাওয়ালো/ যৌবন বাতাসে কি যায় লো ...। যৌবন হারিয়ে বৃদ্ধকালে কতই না অনুশোচনা জেগে ওঠে। কানে কম শোনে, হাঁটতে অসুবিধা হয় আর নানা রোগে জর্জরিত হয়ে কেউবা বিছানায় শুয়ে যৌবনের নানা রঙের দিনগুলোর কথা বেশ ভাবেন। তখন মনে পড়ে, পঙ্কজ কুমার মল্লিকের গাওয়া-চৈত্র দিনের ঝরা পাতার পথে দিনগুলো মোর কোথায় গেল-গানের কথাগুলো। লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা। বিদ্যুত চাই শরীয়তপুর জেলার নাড়িয়া উপজেলাধীন মোক্তারের চর ইউনিয়নে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে মোক্তারের চর আধুনিক কলেজ। পরিতাপের বিষয় কলেজ থেকে মোল্লাকান্দি গ্রামের গেয়ালিয়াপাড়া মাদবর বাড়ি পর্যন্ত বিদ্যুতের খুঁটি ও তার লাগনো হয়েছে, যা দ্রুত সংযোগ দেয়া হবে। অথচ মাত্র ১০০ ফুট দূরত্বের মধ্যে নবনির্মিত কলেজটিতে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া হলে মাধ্যমিক স্তরের বাধ্যতামূলক তথ্য ও কম্পিউটার প্রযুক্তি কোর্সে পাঠদান সহজ হতো। তাছাড়া এ কলেজের ৩০০ গজের মধ্যে রয়েছে পোড়াগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, চারটি জামে মজিদ, ভাষাসৈনিক ডা. গোলাম মওলা পাঠাগার ও ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। এ অবস্থায় বিদ্যুত সংযোগ প্রকল্পটিতে কলেজসহ উল্লিখিত এলাকা সংযুক্ত করে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও কুটিরশিল্প বিকাশে সহায়তা দিতে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মোঃ ওয়াজেদ কামাল নড়িয়া, শরীয়তপুর। শিশুদের সাঁতার শেখান বর্ষা মৌসুমের শেষে দেশের অধিকাংশ পুকুর খাল-বিল, নদ-নদী পানিতে ভরপুর থাকে। এই সময় পুকুর বা খাল-বিলে খেলতে নেমে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় দৈনিক খবর পত্রিকায়। এটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে অভিভাবকদের অসচেতনতা ও অসাবধানতার কারণে। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে প্রয়োজন-শিশুর বয়স ৪/৫ বছর বয়সেই সাঁতার শেখানো। অতি সহজেই ২টা শুকনা নারিকেল অথবা প্লাস্টিকের গোল টব দিয়ে সাঁতার শেখানো যায়। এ প্রক্রিয়ায় শিশুদের সাঁতার শেখালে অতি সহজে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর হার অনেকটাই কমে আসবে। মোঃ রুহুল আমিন (দুলাল) কাউখালী পিরোজপুর। পিছিয়ে যাবে দেশ বেগম জিয়া, তারেক রহমান তাঁদের অনুসারী কিছু জ্ঞানপাপীর মিথ্যাচার আর অপপ্রচারে বিভ্রান্ত দেশের কিছু সাধারণ মানুষ। দিকভ্রান্ত বর্তমান তরুণ সমাজের একাংশ স্বাধীনতার ৪ বছরে এসেও বাংলাদেশের জনক বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কটূক্তি করে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি করার অপচেষ্টা করে। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুদিনে বিকৃত মানসিকতার পরিচয় দিয়ে, ভুয়া জন্মদিনে দানবীয় কেক কাটেন অথচ একটি জাতির চরম চাওয়া এবং পরম পাওয়া হচ্ছে সে দেশের স্বাধীনতা আর স্বাধীনতার স্থপতি হন সে দেশের সবার শ্রদ্ধার পাত্র। অথচ দেশের কিছু অর্বাচীন ব্যক্তি ও তাদের অনুসারী দেশের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করার জন্য, ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তারা স্বপ্ন দেখছে আবার ক্ষমতার মসনদে বসার অথচ এদের কারণেই বারো আউলিয়ার পুণ্যভূমিতে, শান্তি আর সম্প্রীতির দেশে জঙ্গীবাদ ও মৌলবাদ সৃষ্টি হয়। আশঙ্কা জাগে, ভয় হয় দেশবাসীর, যদি আবার ক্ষমতার মসনদ দখল করতে পারে, তাহলে ৫০ বছর পেছনে ফিরে যাবে বাংলাদেশ। র. মজুমদার ফেনী।
×