ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দ্বীপ নির্মাণ বন্ধে ওয়াশিংটনের দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ১ জুন ২০১৫

দ্বীপ নির্মাণ বন্ধে ওয়াশিংটনের  দাবি প্রত্যাখ্যান চীনের

দক্ষিণ চীন সাগরে সকল ভূমি পুনরুদ্ধার কাজ বন্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে চীন এবং বলেছে, তারা তাদের সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করছে এবং আন্তর্জাতিক দায়িত্ব পালনের জন্য পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রগুলো ব্যবহার করছে। খবর এএফপির। পিপলস লিবারেশন আর্মির জেনারেল স্টাফ বিভাগের উপপ্রধান এডমিরাল সান জিয়াংগু সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ নিরাপত্তা বৈঠকে বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে পরিস্থিতি মোটের ওপর শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল এবং নৌচলাচলের স্বাধীনতায় কখনও সমস্যা দেখা দেয়নি। তিনি বলেন, চীন দক্ষিণ চীন সাগরে কয়েকটি দ্বীপ ও শৈলশ্রেণীতে নির্মাণকাজ শুরু করেছে প্রধানত সংশ্লিষ্ট দ্বীপ ও শৈলশ্রেণীর কার্যক্রম এবং সেখানে অবস্থান নেয়া কর্মচারীদের কাজকর্ম ও জীবনযাত্রা উন্নয়নের লক্ষ্যে। সান জিয়াংগু বলেন, প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষা প্রয়োজন ছাড়াও সামুদ্রিক তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ, দুর্যোগ প্রতিরোধ ও ত্রাণ, সমুদ্র বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণা, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, পরিবেশ রক্ষা, নৌচলাচলে নিরাপত্তা, মৎস্য উৎপাদন, সেবা প্রদান ও ইত্যাদি বিষয়ে চীনের আন্তর্জাতিক দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ আরও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নিয়েছে চীন। চীন জোর দিয়ে বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাতে সার্বভৌমত্ব রয়েছে বেজিংয়ের। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী দাবিদার রাষ্ট্রগুলো সম্প্রসারণ তার অভিযোগ তুলছে চীনের বিরুদ্ধে। তেল ও গ্যাস সংরক্ষিত এলাকা বলে বিবেচিত বৈশ্বিক নৌচলাচলের এক বড় রুট এ সাগরের এ দ্বীপগুলো ও শৈলশ্রেণীতে বিভিন্ন ধরনের দাবি রয়েছে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও তাইওয়ানেরও। সান শাংগ্রি-লা ডায়ালগ বলে পরিচিত বার্ষিক বৈঠকে সান বলেন, সংশ্লিষ্ট পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সমুদ্র বিরোধ প্রসঙ্গে অবতারণা হলেই চীন সমুদ্র নিরাপত্তার বৃহত্তর স্বার্থের বিষয়টির ওপরই তারা গুরুত্ব দেন সব সময়। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত ঐতিহাসিক ও আইনগত দলিল এবং অবিসংবাদী দাবি, অধিকার ও স্বার্থ সত্ত্বেও চীন এ অঞ্চলে এবং বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি ইতিবাচক অবদান রেখে প্রভূত সংযম দেখিয়েছে। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ্যাশটন কার্টার দক্ষিণ চীন সাগরে সকল ভূমি পুনরুদ্ধার কাজ অবিলম্বে বন্ধের জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানানোর একদিন পর সান এ বক্তব্য রাখছিলেন। কার্টার বলেছিলেন, বেজিং বিরোধপূর্ণ জলরেখায় এ ধরনের আচরণ করে আন্তর্জাতিক নীতি-আদর্শ পরিপন্থী কাজ করছে। তিনি শনিবার একই ফোরামে সান ও তার প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে বলেছেন, প্রথমত, আমরা এ অঞ্চলে সকল বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানই চাই। যে লক্ষ্যে সকল দাবিদারের ভূমি পুনরুদ্ধার অবিলম্বে ও টেকসইভাবে বন্ধ হওয়া উচিত। তিনি বলেছেন, আমরা বিতর্কিতভাবে যে কোন ধরনের সামরিকীকরণেরও বিরোধী। তিনি এ কথাও স্বীকার করেছেন যে, অন্যান্য দাবিদারও বিভিন্ন ধরন ও মানের ফাঁড়ি গড়ে তুলেছেন। দেশগুলোর মধ্যে ভিয়েতনাম ৪৮টি, ফিলিপিন্স ৮টি, মালয়েশিয়া ৫টি এবং তাইওয়ানের রয়েছে ১টি ঘাঁটি। তারপরও একটি দেশ অগ্রসর হয়েছে অনেক দূর।
×