ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

৩ লাখ কোটির সাহসী বাজেট

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ৫ জুন ২০১৫

৩ লাখ কোটির সাহসী বাজেট

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ অর্থনীতি ওড়ানের জন্য সাহসী ‘টেক-অফ’-ই নিলেন অর্থমন্ত্রী। ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধির বৃত্ত ভেঙ্গে ‘আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়ার’ জন্য ব্যাপক সংস্কারের পথেই গেলেন তিনি। সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধির উচ্চতর সোপানে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে দিলেন দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট। বিশাল ব্যয়ের এ বাজেটের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী ব্যবসায়ী মহল এবং মধ্যবিত্তকে খুশি করার চেষ্টা করেছেন। করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়িয়ে মধ্যবিত্তকে যেমন কর ছাড় দিয়েছেন, তেমনি কর্পোরেট কর কমিয়ে শিল্প মহলকেও সন্তুষ্ট রেখেছেন। পাশাপাশি নানা রকম ছাড় দিয়েছেন ব্যক্তি বিনিয়োগে গতি আনার। শুধু তাই নয়, দেশে কর্মসংস্থানমুখী ভারি শিল্প গড়ে তোলার জন্য অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারিং শিল্প স্থাপনে কর অবকাশ সুবিধা প্রদান করেছেন। অর্থমন্ত্রীর এবারের বাজেটের লক্ষ্য হলো প্রবৃদ্ধির উচ্চতর সোপানে পৌঁছানো। আর এ লক্ষ্য অর্জনে অর্থমন্ত্রী ব্যাপক কর সংস্কারের পাশাপাশি কর আদায়ের এক সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিশাল এই বাজেটের দুই-তৃতীয়াংশ অর্থই রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্য স্থির করেছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মোট দুই লাখ আট হাজার ৪৪৩ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের প্রাক্কলন করেছেন। আর এ লক্ষ্য অর্জনে করের হার না বাড়িয়ে শুধু করের আওতা বাড়িয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা আদায়ের উচ্চাভিলাষী চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন, যা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩০ দশমিক ৬২ শতাংশ বেশি। অর্থমন্ত্রী মনে করেন, এই লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাভিলাষী হলেও বাস্তবসম্মত। উচ্চ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য অর্জনে অর্থমন্ত্রী এবারের বাজেটে একটি পথনক্সা দিয়েছেন। এই পথনক্সায় তিনি স্বপ্ন পূরণের কৌশল দেশবাসীর সামনে তুলে ধরেছেন। এজন্য তিনি উচ্চতর প্রবৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিত করে তা দূরীকরণের উদ্যোগ দেশবাসীকে অবহিত করেছেন। ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ স্থবিরতা দূর করে তা মধ্যমেয়াদে জিডিপির ২৪ শতাংশে উন্নীত করা এবং সরকারী বিনিয়োগ জিডিপির ৭ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এজন্য তিনি সরকারী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি সহায়ক খাতসমূহকে অগ্রাধিকার প্রদান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর সফল বাস্তবায়ন, ৮ বৃহৎ প্রকল্প দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়ন, আইন প্রণয়ন করে সরকারী-বেসরকারি অংশীদারিত্ব কার্যক্রম জোরদার, শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগের প্রতিবন্ধকতা অপসারণের কথা উল্লেখ করেছেন। সেই সঙ্গে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, বিদ্যুতায়ন এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত করার পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানিয়েছেন। অর্থমন্ত্রী স্বপ্ন দেখছেন ২০২১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার। সে কারণেই ছয় শতাংশ প্রবৃদ্ধির বৃত্ত ভেঙ্গে উচ্চ প্রবৃদ্ধি সোপানে আরোহণ করতে এবারের বাজেটের মাধ্যমে স্বপ্নের দিগন্তকে আরও প্রসারিত করেছেন। এজন্য তিনি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা চেয়েছেন। এ সহযোগিতা পেলে ২০১৮ সালের মধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিন সূচকেই বাংলাদেশ নির্ধারিত মাপকাঠি অর্জন করতে সক্ষম হবে। অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সবার সহযোগিতা পেলে বিশেষ করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে এ মেয়াদেও দেশ অনেক দূর এগিয়ে যাবে। অর্থমন্ত্রীর বিশ্বাস, চলতি মেয়াদ শেষেই বাংলাদেশের কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পের ব্যাপক হারে প্রসার ঘটবে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। রাজধানীসহ বিভাগীয় শহরগুলো যানজটমুক্ত হবে। কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ব্যাপকভাবে প্রসারিত হবে এবং তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে। অর্থমন্ত্রী সব ধরনের অকল্যাণকর ও জনবিরোধী কর্মকা- থেকে বিরত থেকে দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে উজ্জীবিত একটি গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, উন্নয়নকামী সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। বাজেটের আকার ॥ সাত দশমিক এক শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে অর্থমন্ত্রী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য মোট দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট দিয়েছেন, যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। আগামী বাজেটে মোট অনুন্নয়ন ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা এবং উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে এক লাক দুই হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার হচ্ছে ৯৭ হাজার কোটি টাকা। আর অনুন্নয়ন ব্যয়ের মধ্যে রাজস্ব ব্যয়ের পরিমাণ হচ্ছে এক লাখ ৬৪ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। এ বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে দুই লাখ আট হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা এবং রাজস্ব ব্যয়ের পরিমাণ ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৫৯ কোটি টাকা। ফলে রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২৩ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা। এ রাজস্ব উদ্বৃত্ত চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের মূল বাজেটের রাজস্ব উদ্বৃত্তের চেয়ে প্রায় চার হাজার ৮২৯ কোটি টাকা কম। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ রাজস্ব উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ২৮ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। মূলত সরকারী কর্মকর্তাদের নতুন বেতন স্কেল কার্যকর করতে গিয়ে আগামী অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। এ কারণে উদ্বৃত্তের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। ফলে উন্নয়ন কর্মকা-ে সরকারের অর্থ যোগানও কমে যাচ্ছে আগামী বছরে। আগামী বাজেটে সামগ্রিক বাজেট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮০ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির চার দশমিক সাত শতাংশ। এই ঘাটতি বৈদেশিক ঋণ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এই ঘাটতি পূরণে বৈদেশিক উৎস থেকে ২৪ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ৫৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ৩৮ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে আর ব্যাংকবহির্ভূত খাত থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে সঞ্চয়পত্র থেকে সংগ্রহ করা হবে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আগামী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষণার মাধ্যমে আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থমন্ত্রী হিসেবে জাতীয় সংসদে নিজের নবম বাজেট পেশ করেছেন। স্বাধীনতার পর এটি দেশে কোন একক ব্যক্তির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজেট পেশ। একই সঙ্গে তিনি একটানা সাত বছর বাজেট দেয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট পাশের রেকর্ড রয়েছে বিএনপি আমলের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমানের। তিনি বাজেট দিয়েছেন মোট ১২টি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের নতুন বাজেট স্বাধীন দেশের ৪৪তম বাজেট। রাজস্ব আয় ॥ প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে দুই লাখ আট হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা। এরমধ্যে কর রাজস্ব থেকে আসবে এক লাখ ৮২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা এবং করবহির্ভূত রাজস্ব থেকে পাওয়া যাবে ২৬ হাজার ১৯৯ কোটি টাকা। কর রাজস্বের মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করসমূহ থেকে পাওয়া যাবে এক লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এরমধ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) থেকে ৬৪ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা, আয়কর থেকে ৬৪ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা, আমদানি শুল্ক থেকে ১৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা, আবগারি শুল্ক থেকে এক হাজার ২৪০ কোটি টাকা, সম্পূরক শুল্ক থেকে ২৫ হাজার ৮৭৫ কোটি টাকা রফতানি শুল্ক থেকে পাওয়া যাবে ৩৭ কোটি টাকা এবং অন্যান্য কর ও শুল্ক থেকে এক হাজার ২৩১ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেট ॥ অর্থমন্ত্রী মনে করেন, এগিয়ে যেতে হলে লক্ষ্য উচ্চাভিলাষী হওয়া প্রয়োজন। আর উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়েও চলতি অর্থবছরের বাজেটের ৯৫ দশমিক ৬০ শতাংশ বাস্তবায়িত হচ্ছে। সে আলোকেই চলতি অর্থবছরের বাজেট সংশোধন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে রাজস্বপ্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক লাখ ৮২ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা। এ লক্ষ্যমাত্রা ১৯ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা হ্রাস করে সংশোধিত বাজেটে তা এক লাখ ৬৩ হাজার হাজার ৩৭১ কোটি টাকায় পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি মূল বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ছিল ৮৬ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। এরমধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আকার ছিল ৮০ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে এই আকার কমিয়ে ৭৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর মোট উন্নয়ন ব্যয় সংশোধন করা হয়েছে ৮০ হাজার ৪৭৬ কোটি টাকা। উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয়সহ ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটে সর্বসাকল্যে ব্যয়ের পরিমাণ ছিল দুই লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা। এই ব্যয় ১০ হাজার ৮৩৮ কোটি টাকা কাটছাঁট করে দুই লাখ ৩৯ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকায় সংশোধন করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতির প্রাক্কলন করা হয়েছিল ৬৭ হাজার ৫৫২ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে এই বাজেট ঘাটতি বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৭৬ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ শতাংশ। সংসদের পরিবেশ ॥ বাজেট পেশ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয় বিকেল সাড়ে ৩টায়। অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ অধিবেশনকক্ষে প্রবেশ করেন ৩টা ২৫ মিনিটে। কোরান তেলাওয়াতের পর অর্থমন্ত্রী স্পীকারের অনুমোদন নিয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন ঠিক বিকেল সড়ে ৩টায়। সংসদ সদস্যদের মুহুর্মুহু করতালির মধ্য দিয়ে অর্থমন্ত্রী সংসদে বাজেট পেশ শুরু করেন। গত কয়েক বছরের মতো এবারও পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাজেট উপস্থাপন করেন তিনি, যাতে সংসদ সদস্যদের বুঝতে সুবিধা হয়। এ সময় পুরো সংসদ অধিবেশনকক্ষ ছিল পরিপূর্ণ। এবারে একটি বাজেট বক্তৃতার মধ্যেই সরকারের উন্নয়ন এবং শুল্ক ও কর প্রস্তাববলী তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। রাত সোয়া ৮টায় বাজেট বক্তৃতা শেষ হলে তিনি সংসদে অর্থবিল ২০১৫ উত্থাপন করেন। বাজেট পেশের আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বৈঠকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ সংসদ ভবনে রাষ্ট্রপতির সংরক্ষিত লাউঞ্জে বসে সরাসরি বাজেট অধিবেশন পর্যবেক্ষণ করেন। বাজেট পেশ অনুষ্ঠান সরাসরি পর্যবেক্ষণের জন্য এদিন প্রচুর দর্শকের সমাগম হয় সংসদে। ফলে সংসদের দর্শক গ্যালারিগুলো ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। রেডিও এবং টিভিতে অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আর বাজেটের ওপর আলোচনা শেষে আগামী ২৯ জুন জাতীয় সংসদে পাস হবে নতুন বাজেট।
×