ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কলাবাগানে গ্যাস বিস্ফোরণ

চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হেরে গেলেন মমতাজ বেগম

প্রকাশিত: ০৮:২৫, ৫ জুন ২০১৫

চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে  লড়ে হেরে গেলেন মমতাজ বেগম

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে হার মানলেন রাজধানীর কলাবাগানে বিস্ফোরণে আহত একই পরিবারের সাতজনের একজন মমতাজ বেগম (৬৫)। বুধবার রাত দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়। আইসিইউতে থাকা মমতাজ বেগমের মেয়ে রোজিনা বেগমের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। অপর পাঁচজনের অবস্থা প্রাথমিকভাবে আশঙ্কামুক্ত। মমতাজ বেগমের দীর্ঘ ৬৫ বছরের জীবনের অবসান হলো বড় কঠিন কষ্টের মধ্যদিয়ে। তার চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের অন্যরা। একমাত্র তিনিই সবাইকে আগলে রেখেছিলেন। গত ৩০ মে ভোর সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর লেক সার্কাস কলাবাগানের ২৯ নম্বর বাড়িতে রান্না করার জন্য ম্যাচ জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে একতলা টিনশেড বাড়ির টিনের চালা ও দেয়াল ধসে পড়ে। আগুন ধরে যায় রান্নাঘর লাগোয়া বাথরুম ও দুটি শোবার ঘরে। শোবার ঘরে তখন গভীর ঘুমে ছিল মমতাজ বেগমের ছেলে প্রাইভেটকার চালক সুমন (৩০), তার স্ত্রী রেশমা বেগম (২৫) ও তাদের ছেলে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র রাব্বি (১০), মমতাজ বেগমের বড় মেয়ে রোজিনা বেগম ওরফে রোজি (৩৭) ও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া রোজির মেয়ে ফাতেমা আক্তার বীথি (১২) এবং রোজির ছেলে অয়ন (১৬)। মমতাজ বেগম ও তার মেয়ে রোজি বেগমকে ওইদিনই আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। তাদের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থানাধীন চরসুমন্ত গ্রামে। আগুনে থাকার ঘরের খাট, কাঠের আলমারি, টেলিভিশন, কাপড়চোপড়সহ যাবতীয় কিছু পুড়ে যায়। পুরান ঢাকার জুতোর কারখানায় আগুন ॥ বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে রাজধানীর বংশাল থানাধীন সিক্কাটুলিতে একটি জুতো তৈরির কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ফায়ার সার্ভিস মাত্র আধঘণ্টার মধ্যে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে।
×