ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দৈনন্দিন জীবন সহজ করছে অনলাইন কেনাকাটা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ৬ জুন ২০১৫

দৈনন্দিন জীবন সহজ করছে অনলাইন কেনাকাটা

এমদাদুল হক তুহিন ॥ প্রতিনিয়তই অনলাইনে বাড়ছে কেনাকাটা। ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এ সংখ্যাও। বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্যমতে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। বিশাল এ জনগোষ্ঠীর ক্ষুদ্র একটি অংশ অনলাইন মার্কেটিং বা ই-কমার্সের সঙ্গে জড়িত। তবে পদ্ধতিটি দেশে নতুন হওয়ায় ই-কমার্স সাইট কিংবা অনলাইন শপের সঠিক সংখ্যা কারও জানা নেই। কয়েকটি তথ্য থেকে জানা যায়, দেশে প্রায় হাজার খানেক ই-কমার্স সাইট রয়েছে। আর অনলাইন শপের সংখ্যা শ’খানেক। তবে সংখ্যা যাই হোক সংশ্লিষ্ট সবার দাবি মতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে এর কদর। নাগরিক যান্ত্রিকতা থেকে মুক্তি মিলছে, বেঁচে যাচ্ছে সময়। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না যানজটেও। বর্তমান সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ওতপ্রোত প্রভাবে ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে মানুষের সখ্য বাড়ছে। ইন্টারনেটে নিত্যনৈমিত্তিক কর্মকা- বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ও বাড়ছে সমান তালে। জানা যায়, নাগরিক জীবনের ব্যস্ততা ও যানজটসহ একাধিক কারণে অনলাইনে বেড়েছে কেনাকাটা। অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকা-ে রয়েছে এর ইতিবাচক প্রভাব। আর ২০১৮ সালের মধ্যেই সরকারের সব সেবাকে ই-কমার্সের আওতায় আনা হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া সারাদেশে বিদ্যমান ৪,৫৫৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারকে ই-কমার্স হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি জানান। জানা যায়, ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্যের অপর নাম ইলেকট্রনিক কমার্স। বাণিজ্যের যে ক্ষেত্রে ইলেক্ট্রনিক মাধ্যম বা সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তাকে ই-কমার্স হিসেবে অভিহিত করা হয়। মূলত ইন্টারনেট ব্যবহার ক্রয়-বিক্রয়ই এক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়ে থাকে। আধুনিক ই-কমার্সে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েভ ব্যবহার করে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। আর ই-কমার্স মূলত ৫ ভাবে হয়ে থাকে। ব্যবসা থেকে ব্যবসা, ব্যবসা থেকে গ্রাহক, ব্যবসা থেকে সরকার, গ্রাহক থেকে গ্রাহক ও মোবাইল কমার্স। ই-কমার্সের অপর অংশেই অনলাইন শপ। দিন দিন বেড়ে চলছে অনলাইন শপের সংখ্যা। তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে শ’খানেক অনলাইন শপ থাকলেও সেসবের ৩০ থেকে ৪০ শপ চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে বড় শপগুলো হচ্ছে বিক্রয় ডটকম, এখনই ডটকম ও বাংলাদেশ ব্র্যান্ডস। এছাড়াও প্রিয়শপ ডট কম, রূপকথা জামদানি ডটকম, আজকের ডিল ডটকম, ইসুফিয়ানা ডটকম, হাটবাজার ডটকম, আমার গ্যাজেট ডটকম, উপহার বিডি ডটকম, উৎসব বিডিকম, এসো ডটকম উল্লেখযোগ্য। আরেকটি তথ্যমতে, দেশের শীর্ষ দশ সাইট হচ্ছে কাইমু ডট কম বিডি, আজকের ডিল ডট কম, রকমারি ডট কম, এখানেই ডট কম, দারাজ ডট কম বিডি, ইঘর ডট কম, বায়ান্ন ডট কম, এসো ডট কম, প্রিয়শপ ডট কম, বিডিহাট ডট কম। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চোখে পড়ে হাজারো সাইট। এসব সাইটের পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ে অনলাইন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ক্যাশ অন ডেলিভারি ও বিকাশের মতো একধিক মাধ্যমে ক্রেতারা পণ্যের দাম পরিশোধ করতে পারেন। ধারণা করা হয়ে থাকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও পণ্য বিপণনে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডের জনপ্রিয় এ মাধ্যমে বড় বড় কোম্পানিকেও নিজস্ব পণ্যের প্রচার চালতে দেখা যায়। এমনকি তাদের সকলের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো নিজস্ব ফ্যান পেজের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো সর্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছে ক্রেতাদের সঙ্গে। ফ্যান পেজে জানাচ্ছেন নতুন নতুন অফার। এমনকি অংশ নিচ্ছেন ক্রয় বিক্রয়ে। বিষয়টি ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছেন ক্রেতারাও। এক জরিপে বলা হয়, দেশের ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ফেসবুকে তাদের পণ্য বা প্রাতিষ্ঠানিক বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। দেশের শীর্ষ স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও রয়েছে এ তালিকায়। ওই তালিকায় ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে রয়েছে। তবে হাজারো সাইটের ভিড়ে সংবাদকর্মী পরিচয়েও কেনা-বেচার শীর্ষ স্থানীয় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সামগ্রিক প্রসঙ্গে কথা হয় আজকে ডিল ডট কম ও কারিগর ডট কম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় দেশে প্রতিনিয়তই অনলাইনে বেড়ে চলছে কেনাবেচা। নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রতিটি পণ্যই মিলছে এসব সাইট থেকে। গাড়ি-বাড়ি বিক্রয়ের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত না হয়ে নিজস্ব পণ্য বিক্রিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী। তবে ক্রেতারা সব ধরনেরই সেবা পেতেই আগ্রহী। প্রতারণা কিংবা মিথ্যে বিজ্ঞাপন প্রদানকে তোয়াক্কা না করে এগিয়ে চলছে দেশের অনলাইন শপগুলো। ক্রেতাদের সঙ্গে বাড়ছে তাদের সখ্য। সেবা পেয়ে খুশি বহু ক্রেতা। আর তাদের একজন জোনায়েত উল্লাহ রনি। অনলাইন শপ থেকে প্রায়ই নানা পণ্য ক্রয় করেন তিনি। একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রনি জনকণ্ঠকে বলেন, অফিসের ব্যস্ততা ও নাগরিক জীবনের যান্ত্রিকতার কারণে প্রায় সময়ই অনলাইন শপ থেকে নানা পণ্য ক্রয় করি। বিপনি ডট কম থেকে কিছুদিন আগে গেঞ্জি ও শার্ট কিনেছি। এই ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে উভয়ের সময় বাঁচে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক। অন্যদিকে নিজের ব্যবহৃত পুরনো মোবাইল বিক্রি করতে মোঃ শাহাদাত নামের এক ব্যক্তি এখানেই ডট কম’র ফেসবুক পেজে কমেন্টের মাধ্যমে লেখেন, মাত্র ৮ হাজার টাকায় ওয়াল্টন প্রিমিও এস২ বিক্রি হবে। কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন। ঢাকায় বসবাসকারী ওই ব্যক্তির ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ফেসবুকে কমেন্ট করার পর সংশ্লিষ্টদের পরামর্শে বিজ্ঞাপনটি সাইটে পোস্ট করি। অল্প কিছু সময় পর সেটি বিক্রিও হয়ে যায়। কেনাবেচার ক্ষেত্রে এটি একটি সহজ মাধ্যম। জানা যায়, বাংলাদেশে ক্ল্যাসিফাই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সবার শীর্ষে অবস্থান করছে বিক্রয় ডট কম। তারপরের অবস্থানটিতে রয়েছে এখানেই ডট কম। অনলাইন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম এ দুটি সাইটের নাম এলেও প্রকৃত পক্ষে সাইটগুলো ই-কমার্সের একটি অংশমাত্র। পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের পরিচিত মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে তারা। মাধ্যম হিসেবে ক্রয়-বিক্রয়ে সংযুক্ত হয়ে মোটা অঙ্কের আয় করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এ পথে প্রায়ই বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। মাধ্যমটি ব্যবহার করে ক্রেতা-বিক্রেতাকেও সমান তালে প্রতারণার স্বীকার হতে হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে ভুল কিংবা মিথ্যে বিজ্ঞাপন প্রদানকে দায়ী করা হচ্ছে। পণ্য বিক্রয়ে বিজ্ঞাপন প্রদানে সরাসরি কোন অর্থের প্রয়োজন না হওয়ায় একটি অসাধু শ্রেণী মিথ্যে বিজ্ঞাপন পোস্ট করে ক্রেতা ও বিক্রেতার সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে মাধ্যমটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকেই বাড়তি বেগ পেতে হচ্ছে। নষ্ট হচ্ছে প্রয়োজনীয় সময়। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিক্রয় ডট কমের একজন উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, মিথ্যে বিজ্ঞাপন পোস্ট করার কারণে অনেক বিজ্ঞাপন আমরা সরিয়ে দিচ্ছি। পোস্টে উল্লিখিত ফোন নম্বরটি মিথ্যে মনে হলে সেই পোস্টটি সঙ্গে সঙ্গে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। শুধু বিজ্ঞাপন যাচাই-বাছাইয়ের জন্যে একটি টিম চালু করা হয়েছে। সম্প্রতি সাইটির উন্নয়নেও আমরা মনোনিবেশ করেছি। প্রচলিত সাইটগুলোতে মিথ্যে বিজ্ঞাপন প্রদান রোধ করতে মোবাইল ভেরিফিকেশন চালু করার দাবি করেন ভুক্তভোগী নাবিদ আলম অন্তু। এই ভুক্তভোগী জনকণ্ঠকে বলেন, ফেসবুক ও গুগলের মতো ক্রয়-বিক্রয়ের এ সাইটগুলোতে বিজ্ঞাপন প্রদানে মোবাইল ভেরিফিকেশন চালু করা যেতে পারে। দেশে এয়ারটেল ছাড়াও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এ পদ্ধতি চালু আছে। তবে, বাংলাদেশে গুগলের কোন অফিস না থাকায় পদ্ধতিটি চালু করা সম্ভব নয় বলে জানান বিক্রয় ডট কমের এক উধর্তন কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ফোন ভেরিফিকেশন চালু করা সম্ভব নয়। আমরা কয়েকবার চেষ্টা করে প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছি। ফলে বর্তমানে আমাদের প্রতিনিধি টিম বিজ্ঞাপন প্রদানের সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নম্বরে কল করে তা যাচাই করছেন। মূলত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে কেনাবেচার হার বাড়ছে। বাড়ছে ই-কমার্সে ক্রেতা বিক্রেতার হার। জনপ্রিয়তার শীর্ষে এখন বিষয় দুটির অবস্থান। মিলছে সর্বাত্মক সাড়া। অনলাইনে ক্রয়-বিক্রয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আজকের ডিলের হেড অব অপারেশন দেবাশীষ ফণী জনকণ্ঠকে বলেন, অনলাইনে কেনাবেচার ক্ষেত্রে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকেই বেশি সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এ মার্কেটে তাদের সংখ্যাই বেশি। গত এক বছরে আমরা ঢাকার বাইরে বেশ কিছু কাস্টমার পেয়েছি। ব্যস্ততা ও যানজটের কারণে ক্রমাগত অনলাইন মার্কেটের কদর বাড়ছে। আগামী কয়েক বছরে এ মার্কেট আরও অধিক জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। তবে জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে প্রতারণাও। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রতারণার আশ্রয় নিলেও এদের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোন প্রমাণ নেই। পণ্য-ক্রয় বিক্রয়ে প্রতারিত ব্যক্তি কর্তৃক লিখিত কোন অভিযোগও দেয়া হয়নি। কোথায় অভিযোগ দিতে হবে সেটিও জানা নেই কারও। গুটিকয় প্রতারণার কথা সংশ্লিষ্ট সকলেরই জানা। প্রতারণার অভিযোগটি মেনে নিয়ে দেবাশীষ ফণী জনকণ্ঠকে আরও বলেন, প্রতারণার বিষয়টি অস্বীকার করা যায় না। তবে মনে রাখতে হবে, ব্যবসার সঙ্গে রয়েছে সততার নিবিড় সম্পর্ক। ব্যবসায়ীরা সততা বজায় রেখেই ব্যবসা পরিচালনা করেন। প্রতারণা ও প্রতারকরা ব্যবসার কোন অংশ নয়। জানা যায়, অনলাইন মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বড় একটি অংশ দখল করে আছে বইয়ের বাজার। এ মার্কেটে রয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিেিয় থাকা প্রায় সকল বই-ই সংগ্রহ করা যাচ্ছে সাইটগুলো থেকে। আর তা সম্ভব হচ্ছে ঘরে বসেই। অনলাইন বইয়ের বাজারে সর্ব প্রথম যে নামটি আসে তা হচ্ছে রকমারি ডট কম। পরের স্থানটিতে আছে নারী উদ্যোক্তা দ্বারা চালিত কারিগর ডট কম। ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নূর নবী দুলালী জনকণ্ঠকে বলেন, দেশে তথ্যপ্রযুক্তির সুযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে মার্কেটটি দ্রুত বর্ধমান হচ্ছে। এ মার্কেটে প্রতিনিয়তই ক্রেতা বাড়বে, কোনক্রমেই কমার সুযোগ নেই। একটি লাইব্রেরিতে খুবই অল্পসংখ্যক বই রাখা যায়। কিন্তু এখানে হাজার হাজার বই রাখা সম্ভব হচ্ছে। অনলাইন বইয়ের দোকানে প্রায় ধরনেরই বই পাওয়া যাচ্ছে; যা ক্রেতা আকর্ষণের একটি অনুঘটক হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু ক্রেতা আকর্ষণ নয়, ই-কমার্স পণ্যের ভোগ ও চাহিদা বাড়াতে সক্ষম। পণ্যের গুণগত মান রক্ষা ও সরকারী তদারকি অব্যাহত রাখা হলে অনলাইনে বেচাকেনার ক্ষেত্রে মানুষের আরও আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন একাধিক ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদ। ই-কমার্সের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে সরকারী তিতুমীর কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক তা. শা. শামীম সিদ্দিকী জনকণ্ঠকে বলেন, হাতের কাছে পণ্য পেলে মানুষের ব্যয় করার প্রবণতা বাড়ে, পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ভোগ যদি না হয়, তবে উৎপাদন বাড়বে না। চাহিদা সৃষ্টি হবে না। এক্ষেত্রে সহজেই চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে। ভোগ বৃদ্ধি ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে পদ্ধতিটি ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। গুণগত মান নিশ্চিত করে বিষয়টিকে বহুল প্রচলিত করা সম্ভব হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উন্নয়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন অর্থনীতির এ শিক্ষক। অন্যদিকে ই-কমার্স ও অনলাইন মার্কেটিংয়ের সামগ্রিক প্রসঙ্গ নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের মূল উদ্দেশ্যই হলো তথ্যপ্রযুক্তি যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের জীবন-মান সহজ করা এবং প্রান্তিক পর্যায়ে যে সকল উৎপাদনকারী রয়েছে তাদের ই-কমার্সের আওতায় আনা। ইতোমধ্যে আমরা বাংলাদেশ রেলওয়ে, বিআরটিএসহ সরকারের কিছু সেবাকে ই-কমার্সের আওতায় আনতে পেরেছি। দেশে ব্যাপক হারে ই-কমার্স প্রচলন করা হবে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে আমরা সরকারের সব সেবাকে ই-কমার্সের আওতায় আনার জন্য কাজ করে চলেছি। এছাড়াও সারাদেশে বিদ্যমান ৪,৫৫৭টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারকে ই-কমার্স হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
×