ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পাচারকারীর কবল থেকে রাজশাহীর তিন নারীর রক্ষা

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৭ জুন ২০১৫

পাচারকারীর কবল থেকে রাজশাহীর তিন নারীর রক্ষা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ পুলিশী তৎপরতায় পাচারকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন তিন নারী। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চাকরির নাম করে সংঘবদ্ধ পাচারকারীচক্র তাদের পাচার করে দেয়ার পরিকল্পনা করছিল। তবে ওই তিন নারীকে উদ্ধারসহ পাচারকারী চক্রের এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রাজশাহী পুলিশ। উদ্ধার হওয়া তিন নারী হলেন, গোদাগাড়ী উপজেলার বংপুর গ্রামের মিলিআরা খাতুন (১৭), আশা খাতুন (১৭) ও খাদিজা খাতুন (১৬)। পুলিশ তাদের গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার ডাইকিনি গ্রামের রজব আলী ওরফে মজনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পাচারকারী চক্রের এক নারী সদস্য গোদাগাড়ীর বংপুর এলাকার আকতারা বেগম কে গ্রেফতার করেছে। শনিবার দুপুরে রাজশাহী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাচারকারীদের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া তিন নারীকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়। এ সময় ভিকটিমরা সাংবাদিকদের জানায়, মধ্যেপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভাল বেতনে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদের প্রলোভন দেয় একই গ্রামের আকতারা বেগম। গত ১৮ মে গোপনে তাদের তিনজনকে বাসে করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ডাইকিনি গ্রামের রজব আলী ওরফে মজনুর বাড়িতে রাখে। শুক্রবার তাদের নন্দন পার্কে নিয়ে গিয়ে জীবন, লতিফ ওরফে কাজেম ও রমজানসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে আকতারা বেগম তাদের জানায়। পুলিশ বিষয়টি খোঁজখবর নেয়ার জন্য মাঠে নামে। পুলিশ তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট চিহ্নিত করে খোঁজ শুরু করে। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ডাইকিনি গ্রামের রজব আলী ওরফে মজনুর বাড়িতে ওই তিন নারী আছে বলে পুলিশ জানতে পারে। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে গোদাগাড়ী থানা পুলিশ কালিয়াকৈর থানার সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে তাদের উদ্ধার করে। কালকিনিতে ২৯ ঘণ্টা পর অপহৃত শিশু উদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, কালকিনি (মাদারীপুর) ৬ জুন ॥ মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বালীগ্রাম এলাকায় সানজানা আক্তার নামের এক শিশুকন্যা (৯) অপহরণের ২৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাতে উদ্ধার করেছে ডাসার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় থানা পুলিশ এ পর্যন্ত ২ জনকে আটক করেছে। এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বালীগ্রাম এলাকার বাঘোরিয়া গ্রামের আজাদ খানের শিশুকন্যাকে চকলেটের প্রলোভন দিয়ে জান্নাত নামের এক যুবতী ও ইব্রাহিম নামের এক যুবক মিলে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন টের পেয়ে প্রথমে ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। এদিকে অন্য অপহরণকারী জান্নাত বেগম শিশু সানজানা আক্তারকে নিয়ে পালিয়ে যায়। আটককৃত অপহরণকারী ইব্রাহিমের তথ্য অনুসারে পালিয়ে যাওয়ার ২৯ ঘণ্টা পর উপজেলার ডাসার থানার এস আই প্রশান্ত দাসের নেতৃত্বে একটি পুলিশের টিম অভিযান চালিয়ে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার বোয়ালিয়া বাজার থেকে শিশুকন্যাকে উদ্ধার করে এবং প্রধান অপহরণকারী জান্নাতকে আটক করা হয়। এ ব্যাপারে ডাসার থানায় ওসি তদন্ত মোঃ কাশেম বলেন, আমরা প্রথমে ইব্রাহিমকে অপহরণের দায়ে আটক করি এরপর মূলহোতা জান্নাতকে আটক করা হয়।
×