ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ইডিএফ’র পরিমাণ ও ঋণের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান

প্রকাশিত: ০৪:৫৮, ৭ জুন ২০১৫

ইডিএফ’র পরিমাণ ও ঋণের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ রফতানি উন্নয়ন ফান্ডের (ইডিএফ) পরিমাণ ও ঋণের সময়সীমা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ম্যানুফেকচারিং এ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। শনিবার সকালে রাজধানীর কাওরানবাজারে বিটিএমএর কনফারেন্স হলে এক সেমিনারে বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরী এ আহ্বান জানান। ‘টেক্সটাইল শিল্পের প্রবৃদ্ধিতে রফতানি উন্নয়ন ফান্ডের (ইডিএফ) ভূমিকা’ শীর্ষক এই সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক কাজী সাইদুর রহমান। বিটিএমএ সভাপতি তপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আহসান উল্লাহ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম, ডাচ্্-বাংলা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিদুল ইসলাম, প্রাইম ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ শাহীন, বিটিএমএর সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী ও বাদশা টেক্সটাইল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ বাদশা মিয়া প্রমুখ। তপন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রফতানি বাড়াতে ইডিএফ অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ইডিএফ ফান্ডের ঋণ এখন ১৮০ দিনের মধ্যে রিপেমেন্ট করতে হয়। এই সময়ের মধ্যে রিপেমেন্ট করতে না পারলে অতিরিক্তি চার্জ কাটা হয়। তাই উদ্যোক্তাদের বেশি সুদে বিকল্প ঋণ নিয়ে ইডিএফে রিপেমেন্ট করতে হয়। এতে তারা ইডিএফের প্রকৃত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। তিনি বলেন, আগে এক স্টেপের মধ্যে রফতানি করা সম্ভব হতো, এখন ৪টি ধাপ অতিক্রম করতে হয়। তাই এ সময়সীমা বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি এই ঋণের তহবিলের পরিমাণ আরও বাড়ানোর দাবি জানান তপন চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আহসান উল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। এ জন্য আমাদের বিনিয়োগ ও মাথাপিছু আয় আরও বাড়াতে হবে। জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ঘর থেকে বের করে ৮ শতাংশে নিতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। তিনি বলেন, এখন ব্যালেন্স অব পেমেন্ট পরিস্থিতি বেশ ভাল। কারণ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার সুরক্ষা দিচ্ছে। ডলারের দাম পড়ে গেলে রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। না হয় ডলারের দাম এতদিনে ৭০ টাকায় নেমে আসত বলে উল্লেখ করেন তিনি। ঋণের সীমা বাড়ানোর ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক কাজী সাইদুর রহমান বলেন, সবার জন্য তা উন্মুক্ত করা যাচ্ছে না। তবে, তুলা আমদানি ও রফতানিকারকরা চাইলে উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) একক ঋণের সীমা আরও ৯০ দিন বাড়াতে পারবেন। যারা এই সুবিধা পেতে চান, তাদের এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করতে হবে। তা বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অনুমোদন দেবে। এর আগে মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ইডিএফের বেশিরভাগ ঋণ পেয়েছেন পোশাক শিল্পের মালিকগণ। এর মধ্যে বিজিএমইএ ৫৬ শতাংশ, বিটিএমএ ২১ শতাংশ, বিকেএমইএ ১১ শতাংশ ও বিজিএপিএমইএ ৭ শতাংশ ঋণ নিয়েছে। এ ছাড়া চামড়া শিল্পও ১ শতাংশ ঋণ নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। কাজী সাইদুর রহমান বলেন, বিভিন্ন এ্যাসোসিয়েশনের ৯ হাজার ১২৬ সদস্যের মধ্যে মাত্র ১ হাজার ২৭১ জন ব্যবসায়ী ইডিএফ সুবিধা নিয়েছেন। তবে, ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়লে ইডিএফ ফান্ডের আকার আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। বিটিএমএর সাবেক সভাপতি মতিন চৌধুরী বলেন, এ শিল্প বিকাশে রফতানি উন্নয়ন ফান্ড বেশ গুরুত্ব হয় দাঁড়িয়েছে। আমাদের অর্থনীতিতে গত বছরও ৬ শতাংশে অবস্থান করছে। গার্মেন্ট শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে নিট ও ওভেন যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ৮০-৮৫ শতাংশ নিট এবং ৩৫-৪০ শতাংশ ওভেন থেকে আসে।
×