ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় ২৫ কোটি টাকার সরকারী জমি দখল

প্রকাশিত: ০৪:০৩, ১০ জুন ২০১৫

কলাপাড়ায় ২৫ কোটি টাকার সরকারী জমি দখল

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৯ জুন ॥ পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় প্রভাবশালী চক্র পানি উন্নয়ন বোর্ডের এবং নতুন লাইট হাউস নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিসহ প্রায় ২৫ কোটি টাকা মূল্যের সরকারী জমি দখল শুরু করেছে। বর্তমানে এসব জমিতে বালু ভরাটের কাজ চলছে। বালু তোলা হচ্ছে সরকারী দীঘি থেকে। ইতোপূর্বে চারদিক ঘিরে বাউন্ডারি দেয়া হয়েছে। আর বাউন্ডারি দিতে গিয়ে পাউবোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বেড়িবাঁধের পাশে লাগানো গাছের পরিচর্যাকারী অন্তত সাতটি পরিবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। জালিয়াতি এবং গায়ের জোরে ভূমি অফিসের যোগসাজশে এসব করা হয়েছে। জালিয়াতির ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় কথিত ওই লুজ খতিয়ানটি (১২০৩) বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু দখল বন্ধ হয়নি। পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা শূন্যপয়েন্ট থেকে পুবে দখল করা এই জমির অবস্থান। লতাচাপলী মৌজার এসএ ৬৬২ নম্বর খতিয়ান থেকে ১৯৬৮Ñ৬৯ সালে ১১৭ নম্বর নামজারি কেসের মাধ্যমে ১১ একর আট শতক জমি হাতিয়ে নেয় জনৈক সেরাজুল ইসলাম। খোলা হয় ১২০৩ নম্বর একটি ভুয়া লুচ খতিয়ান। এ খতিয়ান ভুয়া হওয়ায় ২০০৯ সালে সেপ্টেম্বরে তা বাতিল করা হয়। কিন্তু ঢাকার কেআর ফ্যাশন লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠান ভূমি অফিসের যোগসাজশে তিনটি নামজারি কেস সৃজন করে প্রায় আট একর জমির মালিকানা বনে যায়। এর মধ্যে পাউবোর প্রায় দুই একর জমি রয়েছে। রয়েছে নতুন লাইট হাউস নির্মাণের জন্য অধিগ্রহণ করা এক একর ৩২ শতক জমি। এ বিষয়ে জনৈক আবুল হোসেন ইতোপূর্বে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রয়েছে চুপচাপ। বর্তমানে সরকারী দীঘির বালু তুলে সরকারী জমি দখল চলছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়া নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক অমিতাভ সরকার জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। কয়েক বছর আগে ওখানে পাউবোর সাইনবোর্ড টাঙানো ছিল। তা এখন নেই। ফলে সরকার কুয়াকাটার উন্নয়নে অবকাঠামো গড়ে তোলার সুযোগ হারাচ্ছে। এসব জমি বেহাতের পেছনে ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোটা অঙ্কের লেনদেনের বিষয়টি মানুষের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে। বাঁধের ঢালুতে বসবাসকারী হানিফ শিকদারের স্ত্রী সালেহা বেগম জানান, রাস্তার দুই পাশের লাগানো গাছ পরিচর্যা করার জন্য তাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ১২ বছরের চুক্তি রয়েছে।
×