ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় ভুয়া পুত্র সেজে সম্পত্তি দাবি!

প্রকাশিত: ০৪:০৪, ১০ জুন ২০১৫

নওগাঁয় ভুয়া পুত্র সেজে সম্পত্তি  দাবি!

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৯ জুন ॥ নওগাঁর পত্নীতলা ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগ-সাজশে ওয়ারিশান সার্টিফিকেট মুলে ভুয়া ছেলে দাবী করে পবিত্র খয়ার নামে এক যুবক মৃত যতীন্দ্রনাথ উরাও নামে আদিবাসীর সম্পত্তির অংশ নেয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে যতীন্দ্রনাথ উরাওয়ের স্ত্রী ও তিন সন্তান বর্তমানে অনিশ্চিত জীবন যাপন করছেন। যতীন্দ্রনাথ উরাওয়ের স্ত্রী ও তিন সন্তান মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে মা ভারতী কুজুরের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, যতীন্দ্রনাথ উরাওয়ের একমাত্র পুত্র ধনরঞ্জন ওরফে উকিল। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়েছে, নওগাঁ জেলাধীন পতœীতলা উপজেলার হোসেনবেগপুর গ্রামের যতীন্দ্রনাথ বিগত ২০০৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মৃত্যুবরন করেছেন। তিনি তাঁর স্ত্রী ভারতী কুজুর, পুত্র ধনরঞ্জন ওরফে উকিল এবং দুই কন্যা শিউলী রানী ও শিল্পী রানীকে রেখে গেছেন। তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে এবং অন্যান্য কাগজপত্রে স্বামী ও পিতার নাম যতীন্দ্রনাথ উরাও হিসেবে পরিচিতি নিশ্চিত রয়েছে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের হুইপ শহিদুজ্জামান সরকার বাবলু এমপি, স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গাফ্ফার এবং বিগত ২০০৭ সালে দায়িত্বরত ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম সরকার যথারীতি প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছেন। অথচ যতীন্দ্র উরাওয়ের মৃত্যুর পর মহাদেবপুর উপজেলার দেওয়ানপুর গ্রামের লবানু উরাও এবং বিশ্ববালা’র পুত্র পবিত্র খয়ার হঠাৎ করে নিজেকে মৃত যতীন্দ্রনাথ উরাওয়ের পুত্র দাবী করে তার সম্পত্তির অংশিদার দাবী করতে শুরু করে। জাতীয় পরিচয়পত্রে এবং স্থানীয় ভোটার তালিকায় পবিত্র খয়ারের পিতার নাম লবানু উরাও এবং মাতার নাম বিশ্ববালা হিসেবে উল্লেখ থাকা সত্বেও পতœীতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএনপি ক্যাডার ও এলাকায় ভুমিদস্যু হিসেবে খ্যাত আশরাফুল ইসলাম রহস্যজনকভাবে পবিত্র খয়ারকে যতীন্দ্রনাথ উরাওয়ের পুত্র হিসেবে ওয়ারিশান সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন। সেই ওয়ারিশান মুলে নিজেকে যতীন্দ্রনাথ উরাওয়ের সন্তান দাবী করে সম্পত্তির অংশিদারিত্ব দাবী করে চলেছে। বর্তমানে যতীন্দ্রনাথ উরাওয়ের বিধবা স্ত্রী এবং নিজের তিন সন্তান নিরাপত্তাহীন জীবন যাপন করছেন।
×