ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মূল্যস্ফীতির হার কমে ৬.১৯

প্রকাশিত: ০৬:০৭, ১১ জুন ২০১৫

মূল্যস্ফীতির হার কমে ৬.১৯

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সার্বিক ও খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার কমলেও বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে। মে মাসে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৩২ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৬ দশমিক ২৩ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্যে ৮ শতাংশ। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল এসব তথ্য প্রকাশ করেন। পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হচ্ছেন কর্মী অর্থনীতিবিদ তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতিকে ব্যাপক প্রশংসা করেছেন। আর আমাদের দেশের চিন্তাশীল অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশ ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির ফাঁদে আটকে আছে। আসলে কোনটা ঠিক, মোদি ঠিক নাকি চিন্তাশীল অর্থনীতিদরা ঠিক? তিনি আরও বলেন, রমজান ও বাজেট এলে আগে জিনিসপত্রের দাম নিয়ে হাহাকার পড়ত। এখন আর সেই হাহাকার নেই। মূল্যস্ফীতি কমার কারণ হিসেবে মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল, শিল্পের কাঁচামাল, মূলধনী যন্ত্রপাতি, পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থসহ সকল পণ্যের দাম কমে গেছে। এজন্য দেশেও মূল্যস্ফীতি কমেছে। তাছাড়া ভারতের মূল্যস্ফীতিও কমেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে তার একটি প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব কানিজ ফাতেমা বলেন, বিলাস দ্রব্যের দাম বাড়ায় এক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব অনুযায়ী, গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্টে কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্যে ৩ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৫ দমমিক ৯৯ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্যে ৯ শতাংশ। অন্যদিকে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার পয়েন্ট টু পয়েন্ট হারে কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ৬ দশমিক ৮৮ শতাংশ। খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৪ শতাংশে, যা তার আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্যে ৭ শতাংশ। এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এবছর শতভাগ এডিপি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। তবে যতটা সম্ভব বাস্তবায়ন করা হবে। আগামী ১ জুলাই থেকে যেসব সংস্কার কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হবে। এর ফল পাওয়া যাবে আগামী অর্থবছরের এডিপি বাস্তবায়নে মধ্যে। আপনারা ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন দেখবেন।
×