ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোদি-খালেদার বৈঠক সম্পর্কে জাতি জানতে চায় ॥ হানিফ

প্রকাশিত: ০৭:২৯, ১১ জুন ২০১৫

মোদি-খালেদার বৈঠক  সম্পর্কে জাতি জানতে চায় ॥ হানিফ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ১০ জুন ॥ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ এমপি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে একান্ত বৈঠকে কি আলোচনা হয়েছে জাতি সেটা জানতে চায়। ওই আলোচনা সম্পর্কে একটু খোলাসা করে বললে জাতি উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। হানিফ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া পৌর অডিটোরিয়ামে করদাতা উদ্বুদ্ধকরণ সেমিনারে যোগ দেয়ার পূর্বে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সব কথা বলেন। বিএনপি ও খালেদা জিয়ার কর্মকা-ের সমালোচনা করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন উনি একবার ভারত সফরে গিয়েছিলেন। তার এজেন্ডার মধ্যে ছিল গঙ্গার পানি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করা। উনি সেই সফর শেষে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, গঙ্গার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। যে দলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় এজেন্ডার একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতে ভুলে যান। সেই দলের নেতারা নরেন্দ্র মোদির সফরকে বাঁকা চোখে দেখবেন ও বিতর্কিত করার জন্য নানা বিভ্রান্তিমূলক কথা বলবেন এটাই স্বাভাবিক। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আমতলীতে টিন খুলে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা জাপানী ব্যারাক হাউস শূন্য নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১০ জুন ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের যুগিয়া গ্রামের জাপানী ব্যারাক হাউজের ৪টি ব্যারাকের ৪০টি কক্ষের টিন লুট করে নিয়ে গেছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। জানা গেছে, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের পরে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের যুগিয়া গ্রামে জাপান সরকারের আর্থায়নে জাপানী ব্যারাক হাউস নির্মাণ করা হয়। ৪ ব্যারাকে ৪০টি কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি কক্ষে একজন করে ৪০টি হতদরিদ্র পরিবারের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়। ওই সময়ে ১০টি পরিবার বসবাস শুরু করে। স্থানীয়রা জানান, ব্যারাক হাউজ নির্মাণ করা হলেও যাতায়াতের জন্য কোন রাস্তা করা হয়নি। হাউসের চারপাশে জোয়ারের পানিতে থৈ থৈ করে। বর্ষা মৌসুমে ব্যারাক হাউস বসবাসের অনুপোযোগী হওয়ায় পরিবারগুলো বাধ্য হয়ে হাউস ত্যাগ করে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কক্ষগুলো শূন্য থাকার সুযোগে স্থানীয় হারুন ফকির, জাফর ফকির, জালাল, নাসির মুন্সি, বশির মুন্সিসহ প্রভাবশালীরা ব্যারাক হাউসের ছাউনি ও বেড়ার টিন খুলে নিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়েছি। যারা টিন খুলে নিয়ে গেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এবং টিন উদ্ধারের কাজ শুরু করেছি।
×