ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘের খসড়া প্রতিবেদন

হাইতি ও লাইবেরিয়ায় যৌনতার বিনিময়ে পণ্য দিয়েছে শান্তিরক্ষীরা

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১২ জুন ২০১৫

হাইতি ও লাইবেরিয়ায় যৌনতার বিনিময়ে পণ্য দিয়েছে শান্তিরক্ষীরা

সহায়তার কথা বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মোতায়েন করা হলেও শান্তিরক্ষীদের অনেকে যৌনতার বিনিময়ে পণ্য দেয় বলে জাতিসংঘের একটি খসড়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। জাতিসংঘের অফিস অব ইন্টারনাল ওভারসাইট সার্ভিস (ওআইওএস) প্রতিবেদনটির তৈরি করেছে, বৃহস্পতিবার জানিয়েছে বিবিসি। এতে বলা হয়েছে, হাইতি ও লাইবেরিয়ার কয়েক শ’ নারী ক্ষুধা ও দারিদ্র্যের তাড়নায় যৌনতা বিক্রি করতে প্ররোচিত হয়েছেন। এসব নারীকে নগদ অর্থ, অলঙ্কার, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য পণ্য দেয়া হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ৪৮০টি যৌন অসদাচরণ ও হেনস্থার অভিযোগ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এক-তৃতীয়াংশ অভিযোগের সঙ্গে শিশুরা জড়িয়ে আছে। হাইতি ও লাইবেরিয়ার কয়েক শ’ নারী জানিয়েছেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও জীবনমান উন্নয়নের তাড়নায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষীদের কাছে যৌনতা বিক্রি করেছেন। ওই খসড়া প্রতিবেদনের উদ্ধৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তিরক্ষা মিশনে আছে এমন দুটি দেশের সাক্ষ্যপ্রমাণে দেখা গেছে, বাণিজ্যিক যৌনতা একটি সাধারণ বিষয় হলেও শান্তিরক্ষা মিশনে বিষয়টি নিয়ে কোন প্রতিবেদন দাখিল করা হয় না। খসড়া প্রতিবেদনটি হাতে পাওয়া অপর একটি বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, হাইতির ২৩১ জন জানিয়েছেন, তারা শান্তিরক্ষীদের সঙ্গে ‘বাণিজ্যিক যৌনতায়’ লিপ্ত হয়েছিলেন। আইএসবিরোধী লড়াইয়ে আঞ্চলিক সহযোগিতা চাই ॥ এ্যাবোট অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টনি এ্যাবট জিহাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহযোগিতার জন্য এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ বিষয়ে একটি আঞ্চলিক শীর্ষ সম্মেলন উদ্বোধনকালে বৃহস্পতিবার তিনি এ আহ্বান জানান। একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, কেবল স্থানীয়ভাবে নয় জিহাদী গ্রুপ ইসলামিক স্টেটের (আইএস) লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। খবর এএফপি ও বিবিসির। অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হওয়া দু’দিনব্যাপী এ সম্মেলনে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান, লাওস, ভিয়েতনাম ও নিউজিল্যান্ডসহ ৩০টি দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধি এবং যোগাযোগ সাইট ফেসবুক, টুইটার ও গুগলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সম্মেলনে এ্যাবট বলেছেন, চরমপন্থীদের মতাদর্শ মোকাবেলায় কৌশল খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি ইরাক ও সিরিয়ায় ছড়িয়ে পড়া আইএসের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, এ ধরনের চরমপন্থী গ্রুপগুলোর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে কেবল লড়াই চালাতে হবে। কেবল স্থানীয়ভাবে নয় আইএসের লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরাকী বাহিনীকে প্রশিক্ষিত করতে সেখানে অতিরিক্ত সাড়ে ৪০০ সৈন্য মোতায়েনের অনুমোদন দেয়ার প্রেক্ষাপটে অস্ট্রেলিয়া এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষের হিসেব মতে, একশ’রও বেশি অস্ট্রেলীয় আইএসে যোগ দিয়েছে।
×