ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ১২ জুন ২০১৫

ঝলক

১০২ বছরের যুবতী নাতি-পুতির সংখ্যা তার পঞ্চাশের বেশি। ছেলেমেয়ের বয়সও প্রায় আশির কোটায়। তাতে কী! ১০২ বছরের (যুবতী!) গৌতিমাম্মার কাছে বয়সটা কেবল একটা সংখ্যা মাত্র। এই বয়স নিয়েও গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়ে জিতেছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, সর্বসম্মতিক্রমে পঞ্চায়েত প্রধানও নির্বাচিত হয়েছেন। ঘটনাটি ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের দোদ্দালাতুরুতে। গৌতিমাম্মার আত্মীয় রবিকুমার ও নাতি মঞ্জুনাথ তাকে নির্বাচনে লড়তে উৎসাহ দেন। কারণ, আসনটি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। দ্বিতীয়ত, এদেরই আর এক আত্মীয় চেন্নাজাম্মা এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। খানিকটা কৌতূহলবশেই নির্বাচনে নেমে পড়েন এক শ’ পার করা এই বৃদ্ধা। প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তিশালী হওয়ায় এই বয়সেও গ্রামে ঘুরে ঘুরে প্রচার কাজ চালাতে হয়েছে তাকে। জলের সুব্যবস্থা, ভাল রাস্তাঘাট নির্মাণের কথা ছিল তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। আর এতেই বাজিমাত করেন গৌতিমাম্মা। ১৩৬ ভোটের ব্যবধানে তিনি হারিয়ে দেন চেন্নাজাম্মাকে। প্রস্রাবে পুরস্কার! সঠিক জায়গায় প্রস্রাব করলে পাওয়া যাবে পুরস্কার! রাস্তাঘাটের পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধির মান বজায় রাখতে এমনই চমকপ্রদ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারতের আমেদাবাদ পুর কর্তৃপক্ষ। শহরের সরকারী বিভিন্ন শৌচালয় ব্যবহার করলে নাগরিকদের এক টাকা পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কেউ যেন শহরের পথঘাট বেছে না নেয়; তাই এমন অভিনব কৌশলের আশ্রয় নিয়েছে আমেদাবাদ পুর কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, রাস্তার যে সমস্ত জায়গা বেশি নোংরা করা হচ্ছে, সেখানে বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করবে কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে, কাছাকাছি যে কোন সরকারী গণশৌচালয়ে প্রস্রাব করলে এক টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, পুরস্কারের আকর্ষণে অন্তত সুমতি ফিরবে নাগরিকদের। আমেদাবাদ পুরসভার এই উদ্যোগ অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগে একই কৌশল আরোপ করে সুফল পেয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু শহরও। পা দিয়ে গাড়ি চালানো! বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে যখন হাত দুটি হারান তখন তিনি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। সেই থেকে তার সংগ্রাম শুরু। অদম্য ইচ্ছাশক্তির সাহায্যে দুটি পা-ই হাতের মতো ব্যবহার করা শুরু করেন তিনি। সেই ইচ্ছাশক্তির জোরেই দু’পায়ে সফলভাবে গাড়ি চালিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী বিক্রম অগ্নীহোত্রি। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্সই নয়, পা দিয়ে তার নিখুঁত গাড়ি চালানো দেখে মুগ্ধও হয়েছেন ইন্দোরের ড্রাইভিং লাইসেন্সের পরীক্ষা নেয়া কর্মকর্তারা। পেশায় ব্যবসায়ী বিক্রম ব্যবসার যাবতীয় কাজ করেন পায়ের সাহায্যেই। সম্প্রতি তিনি একটি গাড়ি কেনেন। পরিবারের লোকেরা নিষেধ করলেও বিক্রম জানিয়ে দেন, তিনি পা দিয়ে গাড়ি চালিয়েই লাইসেন্স নেবেন। তারপর থেকে শুরু করেন প্র্যাকটিস। বিক্রম বলেন, অফিসাররা আমার ড্রাইভিং স্কিলকে বিশ্বাস করতে চাইছিলেন না। এ সময় তাদের বলি, আমার গাড়িতে বসুন, আমি চালাচ্ছি। এর পর তারা আমার গাড়ি চালানো দেখে হতবাক হয়ে যান। পাহাড়ে কাঁচের ব্রিজ! কাঁচের ব্রিজ! হ্যাঁ, এমনই এক ব্রিজ পাহাড়ের পাদদেশে বানিয়ে গোটা পৃথিবীকে চমকে দিল চীন। ব্রিজটি তৈরি হয়েছে চীনের ঝাংজিয়াজি ন্যাশনাল পার্কে। প্রায় ৩০০ মিটার গভীর ঝাংজিয়াজি গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ওপর তৈরি হয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে দীর্ঘ ও উঁচু কাঁচের এই ব্রিজ। ব্রিজটি দেখে স্বাভাবিকভাবেই আপনার চোখ বড় হয়ে যাবে। এই ব্রিজের ওপর দিয়ে হাঁটলে আপনি পায়ের তলায় স্পষ্ট দেখতে পাবেন সবুজ গাছে ঘেরা গভীর গর্ত। মুহূর্তের মধ্যে মনে হতে পারে, পায়ের তলা থেকে পৃথিবীটাই যেন সরে গেছে। বিস্ময়কর ব্রিজটি তৈরি করেন ইসরাইলের আর্কিটেক্ট হায়িম দোতান, যার ডিজাইনে তৈরি হয়েছে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের একটি। ব্রিজটি ৩৮০ মিটার লম্বা ও ৬ মিটার চওড়া । তার মতে, জিয়াজি গ্লাস ব্রিজটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে, মেঘলা দিনে বা বরফবৃষ্টির সময় দূর থেকে এটিকে অদৃশ্য বলেই মনে হবে।
×