ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ননী ও তাহের আমার মামাসহ ৫ জনকে গুলিতে হত্যা করে

প্রকাশিত: ০৬:৫৫, ১২ জুন ২০১৫

ননী ও তাহের আমার মামাসহ ৫ জনকে গুলিতে হত্যা করে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা জেলার দুই রাজাকার মুসলিম লীগ নেতা আতাউর রহমান ননি ও নেজামে ইসলামের ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের ৮ম সাক্ষী মোঃ আব্দুল মান্নান সবুজ জবানবন্দী প্রদান করেছেন। জবানবন্দী শেষে আসামি পক্ষের আইনজীবী সাক্ষীকে জেরা করেছেন। পরবর্তী সাক্ষীর জন্য ২২ জুন দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ বৃহস্পতিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। ট্রাইব্যুনালে অন্য দুই সদস্য ছিলেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি আনোয়ারুল হক। জবানবন্দীতে সাক্ষী বলেন, রাজাকার তাহের ও ননী আমার মামা বদিউজ্জমান মুক্তাসহ ৫ জনকে গুলি করে হত্যা করে। মোক্তারপাড়া ব্রিজের কাছে আমার মামা বদিউজ্জামানের স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা আছে। সাক্ষী জবানবন্দীর সময় তাকে সহায়তা করেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল। আর আসামি পক্ষে ছিলেন আব্দুস সুবহান তরফদার। সাক্ষী তার জবানবন্দীতে বলেন, আমার নাম মোঃ আব্দুল সবুজ, আমার বর্তমান বয়স আনুমানিক ৫৯ বছর। আমার ঠিকানা, গ্রাম-নরেন্দ্রনগর, থানা ও জেলা-নেত্রকোনা। আমি প্রাইমারী স্কুলের একজন শিক্ষক। ১৯৭১ সালে আমি বেখইহাটি হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলাম। ১৯৭১ সালে ১৫ নবেম্বর বেলা আনুমানিক ১১টার সময় আমি আমাদের বাড়ি হতে নদী পার হয়ে বিরামপুর বাজারে যাই। বাজারে গিয়ে দেখতে পাই যে, আসামি রাজাকার ওবায়দুল হক তাহেরের নেতৃত্বে একদল রাজাকার বিরামপুর বাজারে গিয়ে ফাঁকা গুলি করতে থাকে। ঐ অবস্থা দেখে আমি ও আমার মামাত ভাই ফারুককে নিয়ে বাজারের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে আশ্রয় নেই। ঐ খান থেকে আমরা দেখতে পাই যে, রাজাকাররা আমার মামা বদিউজ্জমান মুক্তা ও সিদ্দিকুর রহমানকে আটক করে বেঁধে ফেলে। এরপর বাজারের একটি দোকান থেকে আব্দুল মালেক শান্ত ও লেবুকে আটক করে বেঁধে ফেলে। একইভাবে রাজাকাররা ইসলাম উদ্দিনকে আটক করে বেঁধে ফেলে। তাদের আটক করার পর রাজাকাররা বাজারের বিভিন্ন দোকানপাটে লুটপাট চালায়। এরপর রাজাকাররা বাজারের পাশে অবস্থিত মিজানুর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে মিজানুর রহমানকে আটক করে।
×